অনলাইন ডেস্ক
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৪০–৫০ জন। আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজকের পত্রিকার টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করেন কয়েক হাজার মুসল্লি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরে জোড় ইজতেমায় আয়োজনের অনুমতি চান ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির পক্ষের আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। তবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় দফায় জোড় ইজতেমার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কয়েক দিন ধরে সরকার ও মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বিদের কাছে দফায় দফায় জোড় ইজতেমা করার অনুমতি চান মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখানে আলোচনা শেষে দুপুরে ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশ দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা মসজিদে ফিরছিলেন সাদপন্থী মুরব্বিরা। টঙ্গীর মুন্নু গেট এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করা জুবায়ের অনুসারীরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাঁদের একটি প্রাইভেট কারে ভাঙচুর চালান। এ সময় প্রাইভেট কারে থাকা সাদ অনুসারীদের পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোড় ইজতেমা আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তুরাগ নদের পাড়ে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা জামে মসজিদে জড়ো হতে থাকেন কয়েক হাজার সাদ অনুসারী। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার রাত থেকেই ইজতেমা ময়দানের প্রায় সব প্রবেশপথে জড়ো হয়ে কড়া পাহারা দিতে শুরু করেন জুবায়েরপন্থীরা। আজ ভোরে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানের কয়েকটি প্রবেশপথ দিয়ে ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে অন্তত ৪০–৫০ জন আহত হন।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের রেজিস্ট্রারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৯ জন ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ সেবিকা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টা থেকে আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসতে থাকেন। একজনের মরদেহ হাসপাতালে আছে।’ তবে তিনি তাঁর পরিচয় জানাতে পারেননি।
পরে হাসপাতাল ও তাবলিগের দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘ইজতেমা ময়দানে আমাদের ঘুমন্ত সাথিদের ওপর হামলা করে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।’
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েমও তাঁদের একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক আরেকজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর তাঁদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৪০–৫০ জন। আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজকের পত্রিকার টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করেন কয়েক হাজার মুসল্লি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরে জোড় ইজতেমায় আয়োজনের অনুমতি চান ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির পক্ষের আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। তবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় দফায় জোড় ইজতেমার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কয়েক দিন ধরে সরকার ও মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বিদের কাছে দফায় দফায় জোড় ইজতেমা করার অনুমতি চান মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখানে আলোচনা শেষে দুপুরে ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশ দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা মসজিদে ফিরছিলেন সাদপন্থী মুরব্বিরা। টঙ্গীর মুন্নু গেট এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করা জুবায়ের অনুসারীরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাঁদের একটি প্রাইভেট কারে ভাঙচুর চালান। এ সময় প্রাইভেট কারে থাকা সাদ অনুসারীদের পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোড় ইজতেমা আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তুরাগ নদের পাড়ে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা জামে মসজিদে জড়ো হতে থাকেন কয়েক হাজার সাদ অনুসারী। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার রাত থেকেই ইজতেমা ময়দানের প্রায় সব প্রবেশপথে জড়ো হয়ে কড়া পাহারা দিতে শুরু করেন জুবায়েরপন্থীরা। আজ ভোরে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানের কয়েকটি প্রবেশপথ দিয়ে ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে অন্তত ৪০–৫০ জন আহত হন।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের রেজিস্ট্রারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৯ জন ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ সেবিকা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টা থেকে আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসতে থাকেন। একজনের মরদেহ হাসপাতালে আছে।’ তবে তিনি তাঁর পরিচয় জানাতে পারেননি।
পরে হাসপাতাল ও তাবলিগের দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘ইজতেমা ময়দানে আমাদের ঘুমন্ত সাথিদের ওপর হামলা করে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।’
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েমও তাঁদের একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক আরেকজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর তাঁদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাদপন্থীরা সন্ত্রাসী কায়দায় জুবায়ের অনুসারীদের ওপর হামলা করে চারজনকে খুন করে মামুনুল হক বলেন, ‘তারা (সাদপন্থীরা) বাংলাদেশবিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করা শুধু আলেম-ওলামাদের কাজ নয়, এটি রাষ্ট্র ও প্রশাসনেরও কাজ...
২০ মিনিট আগেগত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা, বিস্ফোরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পাঁচলাইশ থানায় হওয়া মামলার ২৪ নম্বর আসামি হামিদুর রহমান।
৩৪ মিনিট আগেএকজন ভালো ছাত্রকে একজন ভালো শিক্ষকের সঙ্গে বটতলায় বসালেও সেখানে শিক্ষা হবে। মানুষকে তাঁর নৈতিকতার বিষয় থেকে কখনই দূরে সরানো যাবে না...
৩৫ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৫৫) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আগের দিন সোমবার রাত ১১টার দিকে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল যশোর-চুকনগর সড়কের লাউড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
২ ঘণ্টা আগে