নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধর্ষণের ঘটনার পর ভুক্তভোগীর সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে দিয়ে সংকটের সমাধান আইনসম্মত নয়। একই সঙ্গে এটি নারীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত এবং এতে তার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষ্যে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা.ফওজিয়া মোসলেম।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. ফওজিয়া মোসলেম ধর্ষণকারীর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ের ঘটনা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের বিধানে এ ধরনের বিয়ে দিয়ে সমাধানের কথা বলা নেই। এতে নারীর আত্মমর্যাদার ওপরেও আঘাত আসে, তার নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। নারীর মর্যাদা ও মানবাধিকার রক্ষায় ধর্ষণকারীর সঙ্গে বিয়ে কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘শুধু দরিদ্র পরিবারেই নয় বরং মধ্যবিত্ত পরিবারেও বাল্য বিয়ে হচ্ছে। বিয়েতে যৌতুক নেওয়া বন্ধে ও যৌতুকের কারণে সৃষ্ট সহিংসতা প্রতিরোধে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।’ যৌতুকের কারণে হত্যা ও আত্মহত্যা এবং ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও আত্মহত্যার ঘটনা প্রতিরোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, গণপরিবহন ও গণপরিসর যৌন হয়রানিমুক্ত করে গড়ে তোলা, সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীদের সমঅধিকার দেওয়া, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া, মানসিক সহায়তা, কাউন্সেলিং সেবার পরিধি বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫৭৫ টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪৩৩টি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৯৭টি।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইন-নীতিমালা-কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে জেন্ডার বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ, সহিংসতার কারণ নির্ণয় এবং এর আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রেখা চৌধুরী ও শাহানা কবির, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, প্রোগ্রাম অফিসার (কাউন্সেলিং) সাবিকুন নাহার প্রমুখ।
ধর্ষণের ঘটনার পর ভুক্তভোগীর সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে দিয়ে সংকটের সমাধান আইনসম্মত নয়। একই সঙ্গে এটি নারীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত এবং এতে তার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষ্যে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা.ফওজিয়া মোসলেম।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. ফওজিয়া মোসলেম ধর্ষণকারীর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ের ঘটনা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের বিধানে এ ধরনের বিয়ে দিয়ে সমাধানের কথা বলা নেই। এতে নারীর আত্মমর্যাদার ওপরেও আঘাত আসে, তার নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। নারীর মর্যাদা ও মানবাধিকার রক্ষায় ধর্ষণকারীর সঙ্গে বিয়ে কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘শুধু দরিদ্র পরিবারেই নয় বরং মধ্যবিত্ত পরিবারেও বাল্য বিয়ে হচ্ছে। বিয়েতে যৌতুক নেওয়া বন্ধে ও যৌতুকের কারণে সৃষ্ট সহিংসতা প্রতিরোধে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।’ যৌতুকের কারণে হত্যা ও আত্মহত্যা এবং ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও আত্মহত্যার ঘটনা প্রতিরোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, গণপরিবহন ও গণপরিসর যৌন হয়রানিমুক্ত করে গড়ে তোলা, সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীদের সমঅধিকার দেওয়া, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া, মানসিক সহায়তা, কাউন্সেলিং সেবার পরিধি বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫৭৫ টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪৩৩টি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৯৭টি।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইন-নীতিমালা-কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে জেন্ডার বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ, সহিংসতার কারণ নির্ণয় এবং এর আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রেখা চৌধুরী ও শাহানা কবির, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, প্রোগ্রাম অফিসার (কাউন্সেলিং) সাবিকুন নাহার প্রমুখ।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
২ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
২১ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
৩০ মিনিট আগে