Ajker Patrika

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ রেখে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপায় খুঁজছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৬ জুন ২০২১, ১৭: ০৮
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ রেখে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপায় খুঁজছে সরকার

ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে তীব্র আলোচনা সমালোচনা চলছে। চলছে আন্দোলন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সমবেত হয়ে ঐতিহাসিক এই উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদ করছেন। এরই মধ্যে উদ্যানটির পুরোনো ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও ৫০টি গাছ কাটার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে সমালোচনার মুখে আর গাছ না কেটে কীভাবে এই উদ্যানের উন্নয়নকাজ করা যায়, সেই পথ এখন খুঁজছে সরকার।

এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার ওপর আজ মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কারো অবহেলার কারণে গাছ কাটা পড়লে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হলে তা দুঃখজনক। যদি এমন হয় নিশ্চয় ব্যবস্থা নেব। দায়িত্ব পালনে অসাবধান হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কোন প্রেক্ষাপটে গাছ কাটা হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৫০টির মতো গাছ কাটা হয়েছে। আরও সর্বোচ্চ ৫০টির মতো গাছ কাটা হতে পারে। তবে নির্দেশনা দিয়েছি সরেজমিনে দেখে যত কম গাছ কাটা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে।’

সমালোচনা হওয়ায় গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে এখন অন্য কাজ চলছে। (নকশায়) কতটুকু কী পরিবর্তন করতে হতে পারে, তা আলোচনা করে দেখব। (নকশায়) আরও উন্নতি করা যায় কীভাবে, সেজন্য যা যা করণীয় তাই করব। গাছ কাটা আমাদের উদ্দেশ্য না।’

 সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই উদ্যানটিতে গাছ কাটা শুরু হয় সম্প্রতি। এই মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য স্থাপন ছাড়াও ইন্দিরা মঞ্চ, ওয়াটার বডি ও ফাউন্টেইন নির্মাণ, ৫০০ গাড়ির জন্য ভূগর্ভস্থ পার্কিং ব্যবস্থা এবং নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের আলাদা টয়লেট সুবিধাসহ সাতটি ফুড কিয়স্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উদ্যানের পুরোনো মোট ১০০ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত, যা বাস্তবায়ন শুরু হলে প্রতিবাদ শুরু হয় সমাজের নানা স্তর থেকে। এ অবস্থায় সরকার তার সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে।

সে লক্ষ্যে ঈদুল ফিতরের পর পরিবেশবিদ, স্থাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনে মহাপরিকল্পনার নকশায় পরিবর্তন আনা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই উদ্যানে এসে দর্শনার্থীরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার পাশাপাশি নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিবেশে সময় কাটাতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খাবারের দোকান বা ভাতের হোটেল ইত্যাদি বানানোর জন্য গাছ কাটা হচ্ছে মর্মে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। কেবল গাছ নিধনই করব না, ১০ গুণ বৃক্ষ আমরা লাগাব।’

বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি না জানার কারণেই ভুল বোঝাবোঝি থেকেই এমন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিকে আগে অবহিত করতে পারিনি বলে এই ভুল বোঝাবুঝির জায়গা তৈরি হয়েছে। এ জন্য আমরা দুঃখিত। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আমি মনে করি সর্বস্তরের মানুষ খুশি হবেন।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।  ছবি: আজকের পত্রিকাগাছগুলো রেখে কেন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, স্থপতিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তিনি নিজেও সরেজমিনে বিষয়গুলো দেখবেন।

২০ মে পর্যন্ত গাছ না কাটার নির্দেশ
আজ মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার ওপর মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন। গত রোববার ২০০৯ সালে দেওয়া উচ্চ আদালতের একটি রায় লঙ্ঘনের দায়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা ওই মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আদালত এই নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এক রায়ে উদ্যান সংরক্ষণে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়, রমনা তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা নিছক একটি এলাকা নয়। এই এলাকা ঢাকা শহর পত্তনের সময় থেকেই এ পর্যন্ত একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে এবং এর একটি ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্য আছে। এখানে এমন কোনো স্থাপনা থাকা উচিত নয়, যা এই এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিন্দুমাত্র ম্লান করতে পারে। পরিবেশগত দিক থেকে তা আরও বিধেয় নয়। কারণ রমনার উদ্যান বা রমনা রেসকোর্স ময়দান ঢাকা শহরের দেহে ফুসফুসের ন্যায় অবস্থান করছে। কোনোভাবেই এটাকে রোগাক্রান্ত করা যায় না।

আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, আগামী ২০ মে পর্যন্ত গাছ যাতে না কাটা হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই দিন আবারও শুনানি হবে।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ নিজেই শুনানি করেন। সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে অংশ নেন।

প্রতিবাদ চলছে
গাছ কেটে উন্নয়নকাজের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকটি সংগঠন। ‘বাঁচাও বৃক্ষ আদিপ্রাণ’ শিরোনামে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেটের পাশে সংগঠনটির কর্মীরা গাছ লাগিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সংগঠক সইমিন ইবনাত ধরিত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাবার, ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু গাছ কেটেই তা বানাতে হবে—এমন কোনো কথা নেই। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আমরা চাই, প্রাণ-প্রকৃতি বজায় রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হোক।’

‘নোঙ্গর বাংলাদেশ’ ও ‘এনিমেল লাভার'স অব বাংলাদেশ’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ লাগিয়েছে। নোঙ্গরের সভাপতি সুমন শামস বলেন, ‘আমাদের দাবি গাছ রেখেই পরিবেশসম্মত পরিকল্পনা নিতে হবে। কারণ হাজারটা নতুন গাছ লাগিয়েও একটা পরিপূর্ণ গাছের ক্ষতি পোষানো যায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত