আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা
সড়কের একাংশে জটে বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার লম্বা সারি। সড়কের বাকি অংশ হকারদের পসরা। সড়কসংলগ্ন ফুটপাতজুড়ে পুরোদস্তুর দোকান। তাই পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছেন যানবাহন ও হকারদের পসরার মাঝে থাকা সরু অংশ দিয়ে। কোথাও কোথাও সে সুযোগও নেই রিকশা বা মোটরসাইকেলের আগে যাওয়ার আশায় সরু পথও বন্ধ করায়।
এ চিত্র গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানের। সেখানে ফুটপাতগুলো অনেক আগেই হকারদের দখলে চলে গেছে। এরপর থেকে চলছে সড়ক দখল। দখলের কারণে কয়েকটি সড়কে যান চলাচলই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাকি সড়কগুলোতে চাপ বেড়ে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। হানিফ উড়ালসড়ক থেকে গুলিস্তান প্রান্তে নামা যানবাহন আটকে থাকায় উড়ালসড়কেও প্রতিদিন তীব্র যানজটের হচ্ছে।
জিপিওর কাছে জটে আটকে পড়া রিকশার যাত্রী সুবর্ণা কর্মকার বললেন, ‘পল্টন থেকে ফুলবাড়িয়া হেঁটে গেলেও ১০ মিনিট লাগে অথচ ২০ মিনিট একই জায়গায় বসে আছি। রোদ আর মানুষের ভিড়ের কারণে হাঁটতেও ইচ্ছা করছে না।’
শুধু সুবর্ণাই নন, বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের অনেকের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। জিরো পয়েন্ট থেকে গোলাপশাহ মাজারমুখী (নর্থ সাউথ রোড) সড়কের একাংশেও দোকান বসিয়েছেন হকাররা। গোলাপশাহ মাজার থেকে গুলিস্তান কমপ্লেক্সমুখী সড়কে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল চলার মতো জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে, বাকিটায় চৌকি ফেলে হকাররা পসরা সাজিয়েছেন। একই অবস্থা গুলিস্তান থেকে ফুলবাড়িয়ামুখী সড়কে। রমনা ভবন ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মাঝখানের সড়কে প্রায় ১৬ বছর ধরেই যান চলাচল বন্ধ। কিছু দিন আগে বন্ধ হয়েছে গুলিস্তানে ফোয়ারা ঘেঁষে নবাবপুরমুখী সড়ক। এই সড়ক দিয়ে বাসসহ বিভিন্ন যান হানিফ উড়ালসড়কে উঠতে পারত। এখন এগুলোকে গুলিস্তান পার্কের ভেতর দিয়ে ঘুরে টিকাটুলি দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে হচ্ছে। ফোয়ারার পাশের বন্ধ সড়কে এ সুযোগে বসেছেন কয়েকজন হকার।
গোলাপশাহ মাজারের সামনের সড়কে নেমে বায়তুল মোকাররমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি। বললেন, জটের কারণে যানবাহনে উঠে গরমে বসে থাকতে হবে। কিন্তু দোকান আর যানবাহনের কারণে হেঁটে যাওয়াও কষ্ট। কখন চাপা দেয়, এ ভয়।
হকাররা জানান, পুলিশ এখন খুব একটা বিরক্ত করে না। ভ্যানে করে প্যান্ট বিক্রি করছিলেন সাগর নামের একজন। তিনি জানান, এ বছর তাঁদের কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে না। তাই হকারের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। পুলিশ খুব বেশি বিরক্ত করছে না। তবে ভিআইপি কেউ গেলে তখন রাস্তা ছাড়তে বলে। তখন ১০-১৫ মিনিটের জন্য সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা। পুলিশ চলে গেলে আবার বসেন।
গোলাপশাহ মাজারসংলগ্ন সড়কের পাশে টুপি বিক্রি করা একজন বলেন, ‘আমরা তো আর রাস্তার মাঝখানে বসি নাই। এক পাশেই বসছি, তাইলে গাড়ি চলতে সমস্যা কই?’
আজমেরী গ্লোরি নামের একটি বাসের চালক স্বপন বলেন, আগে এখানে সব সময় জট থাকলেও তা ছিল কম। এখন জট বেড়েছে। হকাররা সড়কের অর্ধেক নিয়ে নিয়েছে। বাস চালানো কঠিন।
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, হকারদের বারবার সড়ক ছাড়তে বললেও তাঁরা শোনেন না। একপাশ থেকে সরিয়ে দিলে আরেক পাশে গিয়ে বসেন। বলপ্রয়োগ করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন কেউ কেউ।
জিরো পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কুদ্দুস আলী বলেন, এখানে যানজটের মূল কারণ হকার ও রিকশা। পুরো রাস্তায় হাঁটার মতো জায়গা নেই। হকারদের সরানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর আবার বসে যায়। এখানে হাজার হাজার হকার। তাঁদের সরাতে গেলে যানজট লেগে যায়। আবার যান চলাচল ঠিক রাখায় মনোযোগ দিলে হকাররা সড়কে পসরা সাজান।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) জালাল উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়ক বেদখলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো হকার যেন রাস্তায় বসে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গুলিস্তানে হকার নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। সপ্তাহে অন্তত দুবার হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে সমস্যা খুব প্রকট। বিকেল ৪টায় উচ্ছেদ অভিযান করে ফিরে এলে ৫টায় আবার তাঁরা বসে যান। তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধান করতেও সময় লাগবে। পুনর্বাসনের পদক্ষেপ আগেও নেওয়া হয়েছে, মার্কেট করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু নতুন করে আবার হকার সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কের একাংশে জটে বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার লম্বা সারি। সড়কের বাকি অংশ হকারদের পসরা। সড়কসংলগ্ন ফুটপাতজুড়ে পুরোদস্তুর দোকান। তাই পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছেন যানবাহন ও হকারদের পসরার মাঝে থাকা সরু অংশ দিয়ে। কোথাও কোথাও সে সুযোগও নেই রিকশা বা মোটরসাইকেলের আগে যাওয়ার আশায় সরু পথও বন্ধ করায়।
এ চিত্র গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানের। সেখানে ফুটপাতগুলো অনেক আগেই হকারদের দখলে চলে গেছে। এরপর থেকে চলছে সড়ক দখল। দখলের কারণে কয়েকটি সড়কে যান চলাচলই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাকি সড়কগুলোতে চাপ বেড়ে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। হানিফ উড়ালসড়ক থেকে গুলিস্তান প্রান্তে নামা যানবাহন আটকে থাকায় উড়ালসড়কেও প্রতিদিন তীব্র যানজটের হচ্ছে।
জিপিওর কাছে জটে আটকে পড়া রিকশার যাত্রী সুবর্ণা কর্মকার বললেন, ‘পল্টন থেকে ফুলবাড়িয়া হেঁটে গেলেও ১০ মিনিট লাগে অথচ ২০ মিনিট একই জায়গায় বসে আছি। রোদ আর মানুষের ভিড়ের কারণে হাঁটতেও ইচ্ছা করছে না।’
শুধু সুবর্ণাই নন, বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের অনেকের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। জিরো পয়েন্ট থেকে গোলাপশাহ মাজারমুখী (নর্থ সাউথ রোড) সড়কের একাংশেও দোকান বসিয়েছেন হকাররা। গোলাপশাহ মাজার থেকে গুলিস্তান কমপ্লেক্সমুখী সড়কে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল চলার মতো জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে, বাকিটায় চৌকি ফেলে হকাররা পসরা সাজিয়েছেন। একই অবস্থা গুলিস্তান থেকে ফুলবাড়িয়ামুখী সড়কে। রমনা ভবন ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মাঝখানের সড়কে প্রায় ১৬ বছর ধরেই যান চলাচল বন্ধ। কিছু দিন আগে বন্ধ হয়েছে গুলিস্তানে ফোয়ারা ঘেঁষে নবাবপুরমুখী সড়ক। এই সড়ক দিয়ে বাসসহ বিভিন্ন যান হানিফ উড়ালসড়কে উঠতে পারত। এখন এগুলোকে গুলিস্তান পার্কের ভেতর দিয়ে ঘুরে টিকাটুলি দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে হচ্ছে। ফোয়ারার পাশের বন্ধ সড়কে এ সুযোগে বসেছেন কয়েকজন হকার।
গোলাপশাহ মাজারের সামনের সড়কে নেমে বায়তুল মোকাররমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি। বললেন, জটের কারণে যানবাহনে উঠে গরমে বসে থাকতে হবে। কিন্তু দোকান আর যানবাহনের কারণে হেঁটে যাওয়াও কষ্ট। কখন চাপা দেয়, এ ভয়।
হকাররা জানান, পুলিশ এখন খুব একটা বিরক্ত করে না। ভ্যানে করে প্যান্ট বিক্রি করছিলেন সাগর নামের একজন। তিনি জানান, এ বছর তাঁদের কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে না। তাই হকারের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। পুলিশ খুব বেশি বিরক্ত করছে না। তবে ভিআইপি কেউ গেলে তখন রাস্তা ছাড়তে বলে। তখন ১০-১৫ মিনিটের জন্য সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা। পুলিশ চলে গেলে আবার বসেন।
গোলাপশাহ মাজারসংলগ্ন সড়কের পাশে টুপি বিক্রি করা একজন বলেন, ‘আমরা তো আর রাস্তার মাঝখানে বসি নাই। এক পাশেই বসছি, তাইলে গাড়ি চলতে সমস্যা কই?’
আজমেরী গ্লোরি নামের একটি বাসের চালক স্বপন বলেন, আগে এখানে সব সময় জট থাকলেও তা ছিল কম। এখন জট বেড়েছে। হকাররা সড়কের অর্ধেক নিয়ে নিয়েছে। বাস চালানো কঠিন।
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, হকারদের বারবার সড়ক ছাড়তে বললেও তাঁরা শোনেন না। একপাশ থেকে সরিয়ে দিলে আরেক পাশে গিয়ে বসেন। বলপ্রয়োগ করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন কেউ কেউ।
জিরো পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কুদ্দুস আলী বলেন, এখানে যানজটের মূল কারণ হকার ও রিকশা। পুরো রাস্তায় হাঁটার মতো জায়গা নেই। হকারদের সরানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর আবার বসে যায়। এখানে হাজার হাজার হকার। তাঁদের সরাতে গেলে যানজট লেগে যায়। আবার যান চলাচল ঠিক রাখায় মনোযোগ দিলে হকাররা সড়কে পসরা সাজান।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) জালাল উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়ক বেদখলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো হকার যেন রাস্তায় বসে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গুলিস্তানে হকার নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। সপ্তাহে অন্তত দুবার হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে সমস্যা খুব প্রকট। বিকেল ৪টায় উচ্ছেদ অভিযান করে ফিরে এলে ৫টায় আবার তাঁরা বসে যান। তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধান করতেও সময় লাগবে। পুনর্বাসনের পদক্ষেপ আগেও নেওয়া হয়েছে, মার্কেট করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু নতুন করে আবার হকার সৃষ্টি হয়েছে।
রমজান মাসের শেষ দিকে রাজধানীর যানজট আরও প্রকট হয়েছে; বিশেষ করে অফিস ছুটির পর। ব্যস্ত সড়কগুলোতে যানবাহন এক মিনিট চললে ১৫ মিনিট নিশ্চল থাকছে। ১০ মিনিটের পথ যেতে পার হচ্ছে ঘণ্টা। যানজটে আটকে অফিসফেরত দূরের যাত্রীদের অনেককে বাসার পরিবর্তে পথেই যানবাহনে ইফতার সারতে হচ্ছে। দিনে দিনে জট বাড়ছে।
৪ ঘণ্টা আগেমসলিন, জামদানি, তাঁত, বুটিক, বাটিক, ব্লক, সুতি কিংবা সিল্ক—সব ধরনের শাড়ির সম্মিলনস্থল হিসেবে বেইলি রোডের পরিচিতি অনেক দিনের। যাঁরা শাড়ি পরতে এবং কিনতে ভালোবাসেন, বেইলি রোডের শাড়ির দোকানগুলো তাঁদের কাছে বেশ প্রিয়। দেশের কারিগরদের তাঁতে বোনা হালকা শাড়ির পাশাপাশি ভারতীয় জমকালো শাড়িও মেলে এসব দোকানে।
৫ ঘণ্টা আগেপাবনার আমিনপুর থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ এম রফিক উল্লাহকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১১ মার্চ থেকে তিনি কারাগারে।
৫ ঘণ্টা আগেবরিশালের ৮টি বালুমহাল বাগিয়ে নিতে ইজারার দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের বাইরে থেকে একজনকে উঠিয়ে নিয়ে যায় তারা।
৫ ঘণ্টা আগে