কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা পঞ্চম দফার দুই দিনের অবরোধের প্রথম দিন আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর জুরাইন, দোলাইরপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। আন্তজেলা বাস চলাচল কিছুটা কম থাকলেও লোকাল সার্ভিসের বাস ছিল বিগত দিনের অবরোধের তুলনায় বেশি। সেই সঙ্গে লেগুনা, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল ব্যক্তিগত গাড়িও। যাত্রাবাড়ী এলাকায় এমনকি যানজটও তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে বরাবরের মতো কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর জুরাইন, দোলাইরপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। জুরাইন রেলগেটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডের আনন্দ, বোরাক, রাইদা ও নগর পরিবহনের বিআরটিসি বাসসহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল করছে। দেখা গেছে বিভিন্ন দপ্তরের স্টাফ বাসও। ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, লড়ি, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য পণ্যবাহী পরিবহনও চোখে পড়েছে।
তবে দক্ষিণ অঞ্চলের দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিল কম। কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। এ ব্যাপারে জুরাইন রেলগেটের দায়িত্বরত গেটম্যান সোহেল জানান, হরতাল ও অবরোধেও ট্রেন চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।
বোরাক পরিবহনের হেলপার শাহালম বলেন, ‘আগের অবরোধের চেয়ে আজ অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে বেশি। যদিও গতকাল রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, তবু আমরা আতঙ্কের মধ্যে গাড়ি বের করেছি।’
সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেশি চোখে পড়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে নিউমার্কেটে যাবেন মশিউর। তিনি বলেন, গত হরতাল-অবরোধের তুলনায় আজকে যানবাহন বেশি থাকায় দুর্ভোগ কম হচ্ছে।
জুরাইন থেকে মতিঝিল যাবেন ব্যাংকার সাহানা। তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা গিয়ে দেখা যায়, লোকাল বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল গত হরতাল-অবরোধের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যানবাহন চলছে স্বাভাবিক দিনের মতোই। এমনকি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
এই রুটে চলাচলরত তুরাগ পরিবহনের চালক জনি বলেন, ‘ভাই, কত দিন বসে থাকব। পেট আছে, সংসার আছে। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। গত রাতে যদিও কিছু বাস জ্বালিয়ে দেওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা এ রকম হরতাল-অবরোধ চাই না।’
এদিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ অঞ্চলে চলাচলরত পরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম। ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী ইলিশ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের সহকারী জাহিদ জানান, সকাল থেকে তিনটি বাস ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেশি। তাই গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে পূর্বাঞ্চলের আন্তজেলার কিছু বাস ছেড়ে গেছে। অনেক বাস আবার ঢাকায়ও প্রবেশ করেছে। তবে যাত্রী কিছুটা কম হওয়ায় বাসগুলো যথাসময়ে যেতে পারছে না বলে জানান নোয়াখালী রুটের বাসের চালক বাদশা। আজ যাত্রী কিছুটা বেড়েছে। এই টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, শত শত বাস পার্কিং অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজী সেলিম সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত হরতাল-অবরোধের তুলনায় আজকে সকাল থেকে অনেক বাস চলাচল করছে। প্রতি অবরোধেই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। তাই চালকেরা জীবনের ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়েই রাস্তায় গাড়িসহ নেমে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তজেলা বাস চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে অবরোধকারীরা কিছু বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে চালকেরা আতঙ্কে আছেন।
এ বিষয়ে জুরাইনে দায়িত্বরত ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) পবিত্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, গত অবরোধের তুলনায় আজকে গাড়ির চাপ একটু বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা পঞ্চম দফার দুই দিনের অবরোধের প্রথম দিন আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর জুরাইন, দোলাইরপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। আন্তজেলা বাস চলাচল কিছুটা কম থাকলেও লোকাল সার্ভিসের বাস ছিল বিগত দিনের অবরোধের তুলনায় বেশি। সেই সঙ্গে লেগুনা, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল ব্যক্তিগত গাড়িও। যাত্রাবাড়ী এলাকায় এমনকি যানজটও তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে বরাবরের মতো কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর জুরাইন, দোলাইরপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। জুরাইন রেলগেটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডের আনন্দ, বোরাক, রাইদা ও নগর পরিবহনের বিআরটিসি বাসসহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল করছে। দেখা গেছে বিভিন্ন দপ্তরের স্টাফ বাসও। ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, লড়ি, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য পণ্যবাহী পরিবহনও চোখে পড়েছে।
তবে দক্ষিণ অঞ্চলের দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিল কম। কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। এ ব্যাপারে জুরাইন রেলগেটের দায়িত্বরত গেটম্যান সোহেল জানান, হরতাল ও অবরোধেও ট্রেন চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।
বোরাক পরিবহনের হেলপার শাহালম বলেন, ‘আগের অবরোধের চেয়ে আজ অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে বেশি। যদিও গতকাল রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, তবু আমরা আতঙ্কের মধ্যে গাড়ি বের করেছি।’
সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেশি চোখে পড়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে নিউমার্কেটে যাবেন মশিউর। তিনি বলেন, গত হরতাল-অবরোধের তুলনায় আজকে যানবাহন বেশি থাকায় দুর্ভোগ কম হচ্ছে।
জুরাইন থেকে মতিঝিল যাবেন ব্যাংকার সাহানা। তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা গিয়ে দেখা যায়, লোকাল বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল গত হরতাল-অবরোধের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যানবাহন চলছে স্বাভাবিক দিনের মতোই। এমনকি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
এই রুটে চলাচলরত তুরাগ পরিবহনের চালক জনি বলেন, ‘ভাই, কত দিন বসে থাকব। পেট আছে, সংসার আছে। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। গত রাতে যদিও কিছু বাস জ্বালিয়ে দেওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা এ রকম হরতাল-অবরোধ চাই না।’
এদিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ অঞ্চলে চলাচলরত পরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম। ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী ইলিশ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের সহকারী জাহিদ জানান, সকাল থেকে তিনটি বাস ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেশি। তাই গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে পূর্বাঞ্চলের আন্তজেলার কিছু বাস ছেড়ে গেছে। অনেক বাস আবার ঢাকায়ও প্রবেশ করেছে। তবে যাত্রী কিছুটা কম হওয়ায় বাসগুলো যথাসময়ে যেতে পারছে না বলে জানান নোয়াখালী রুটের বাসের চালক বাদশা। আজ যাত্রী কিছুটা বেড়েছে। এই টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, শত শত বাস পার্কিং অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজী সেলিম সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত হরতাল-অবরোধের তুলনায় আজকে সকাল থেকে অনেক বাস চলাচল করছে। প্রতি অবরোধেই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। তাই চালকেরা জীবনের ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়েই রাস্তায় গাড়িসহ নেমে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তজেলা বাস চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে অবরোধকারীরা কিছু বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে চালকেরা আতঙ্কে আছেন।
এ বিষয়ে জুরাইনে দায়িত্বরত ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) পবিত্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, গত অবরোধের তুলনায় আজকে গাড়ির চাপ একটু বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৭ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৮ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে