ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার ও তাপস ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ০৬
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ০৮
অভিনেত্রী শমী কায়সার ও কৌশিক হোসেন তাপস। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী শমী কায়সার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যার চেষ্টা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

আজ বিকেলে শমী কায়সারকে আদালতে হাজির করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শমী কায়সারের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতসকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শমী কায়সারকে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে ৩ নভেম্বর কৌশিক হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ৪ নভেম্বর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তা হাজির না থাকায় রিমান্ড শুনানির জন্য আজ তারিখ ধার্য করা হয়। সকালে তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শমী কায়সার ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ হত্যার চেষ্টা মামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য তিনি উসকানিদাতা। তিনি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং এর পেছনে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য তিনি অর্থের জোগানদাতা। তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অর্থের লেনদেন সম্পর্কে যাচাই করার জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

রিমান্ড আবেদনে কৌশিক সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমানোর জন্য উসকানিদাতা ও অর্থের জোগানদাতা। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত