শেষ মুহূর্তে গুলিস্তান ও নিউমার্কেটে ভিড়, ব্যবসায়ীরা হতাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৩৯
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ০৩

ঈদের বাকি আর মাত্র এক দিন। তাই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে শেষ মুহূর্তে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ভিড় করছেন নগরবাসী। কেউ পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন জুতা, আবার কেউ ভিড় করছেন জামা-কাপড় কিংবা টুপির দোকানে। অনেকেই বাড়ি ফেরার পথে কিনে নিচ্ছেন প্রিয়জনের জন্য উপহার। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড এলাকার ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সিটি প্লাজা মার্কেট, বঙ্গবাজার, এনেক্সকো টাওয়ার, গাউছিয়া সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, নিউমার্কেট, ইস্টার্ন মল্লিকা, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে টুপি ও জুতার দোকানগুলো। গুলিস্তানের দুই পাশের রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে বসেছে জুতার দোকান। এসব দোকান থেকে পছন্দমতো জুতা কিনছে মানুষ। দোহারে বাড়ি ফেরার আগে গুলিস্তান থেকে জুতা কিনেছেন আলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আগে সব শপিং করেছি, তখন জুতা পছন্দ হয় নাই। এখন শেষ মুহূর্তে বাড়ি যাওয়ার আগে জুতা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।’ 

রাজধানীর গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাতবে ঈদের বাজারে জুতা তেমন একটা বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গুলিস্তানের ব্যবসায়ী আলামিন। তিনি বলেন, ‘ঈদের বাজার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না। ঈদ ছাড়াই এর চেয়ে বেশি বিক্রি হয়।’ ঈদের আগে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

রাজধানীর গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাজুতার পাশাপাশি টুপির দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। গুলিস্তানে ফুটপাতের পাশে থাকা টুপি ও আতরের দোকানগুলোতে বেশ বেচাবিক্রি হতে দেখা গেছে। 

বঙ্গবাজারে প্যান্ট কিনতে এসেছেন সুরুজ আলী। তিনি জানান, আজ কেনাকাটা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সুরুজ আলী বলেন, ‘এখান থেকে সব সময় প্যান্ট কিনি। ছুটি না থাকায় আগে আসতে পারিনি। আজ ছুটি পেয়েছি, কেনাকাটা শেষ করেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেব।’ 

রাজধানীর গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাতবে বঙ্গবাজারের বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, এবারের ঈদে বিক্রি ভালো না। বঙ্গবাজার মার্কেটের পাইকারি বিক্রেতা সৈয়দ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গবাজারে আগুন লাগার আগে যেভাবে বিক্রি হতো, তার চার ভাগের এক ভাগ এবার হয়েছে। পাইকারি ক্রেতারা এখানে আগের মতো খুব একটা আসে না।’ 

বঙ্গবাজারের পাশে এনেক্সকো টাওয়ারেও শার্ট, লুঙ্গি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন কাপড় কিনতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, ধানমন্ডি হকার্স, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকায়। এসব মার্কেটে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। দনিয়ার বাসিন্দা অনীক মাহমুদ খান নিউমার্কেটে মায়ের জন্য শাড়ি কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের শপিং আগেই করা হয়ে গেছে। মায়ের একটা পছন্দের শাড়ি ছিল, সেটা কিনতে এখানে এসেছি।’ 

রাজধানীর গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাগাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন বনশ্রীর বাসিন্দা নূরুন নাহার। তিনি জানান, ঈদের পর ছেলের বিয়ে, তাই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিতে চাচ্ছেন ঈদের আগেই। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ আর ছেলের বিয়ের কেনাকাটা একসঙ্গে করতে হচ্ছে। এদিকে সব একসঙ্গে পাওয়া যায় তাই এদিকে এসেছি।’ 

রাজধানীর গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাএলিফ্যান্ট রোডের সানরাইজ টাওয়ার থেকে প্যান্ট কিনেছেন সোহেল হায়দার। তিনি বলেন, ‘ঈদে এবার কিছুই কেনার ইচ্ছা ছিল না। একটা শার্ট গিফট পেয়েছি, এটার সঙ্গে মিলিয়ে শুধু একটি প্যান্ট কিনেছি।’ 

রাজধানীর গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাতবে বিক্রি নিয়ে হতাশ ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতা মো. আমানুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের মতো এখন আর বেচাকেনা তেমন নেই। মানুষও কম আসছে। মানুষের তো আগে খেয়েপরে বাঁচতে হবে, তারপর না কেনাকাটা!’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত