রাজধানীর উত্তরায় বাসার ভেতরে মোহাম্মদ শামসুদ্দিন আহমেদ (৭৪) নামের এক বৃদ্ধকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহতের ছেলে রিপন। উত্তরা পশ্চিম থানায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনি বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন। 

উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা ১৩ নম্বর সড়কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে, যার মামলা নং-২১। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ 

অন্যদিকে একই থানার পরিদর্শক অপারেশন পার্থপ্রতিম ব্রহ্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবাকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে রিপন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির পঞ্চমতলা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে নিহত শামসুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার চর আবুপুর গ্রামের মৃত খামেদ আলী খানের ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। 

এ ঘটনার পর এলাকাবাসী জানান, দুপুরের দিকে শামসুদ্দিন আহমেদের স্ত্রী বাসায় ফিরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাঁর গলায় ছুরি ঢোকানো ছিল। পরে তাকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সকালে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তখন শামসুদ্দিন আহমেদ বাসায় একাই ছিলেন। পরে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে রুমের দরজা খুলে দেখতে পাই রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে রয়েছেন।’ রাশেদা বেগমের দাবি, নিহত শামসুদ্দিনের ভাগনে তানভির ও তাঁর দুই বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।