Ajker Patrika

গোপালপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নদী খননের অভিযোগ

প্রতিনিধি
গোপালপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নদী খননের অভিযোগ

গোপালপুর: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত বৈরাণ নদীতে চলছে নদী খননের কাজ। কিন্তু পৌরশহর এলাকায় নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নদী খননের নামে নদীকে খাল বানানোর অভিযোগ উঠেছে। খনন প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। 

যমুনা নদীর শাখা ঝিনাই নদী। আর ঝিনাই নদীর শাখা বৈরাণ নদী। ৩৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪৭ মিটার গড় প্রস্থের নদীটি উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন দিয়ে প্রবেশ করে নগদাশিমলা, ধোপাকান্দি, আলমনগর, মির্জাপুর ইউনিয়ন ও গোপালপুর পৌরসভার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে পাট ও নারিকেল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বৈরাণের তীরে গড়ে ওঠে গোপালপুর শহর। 

 ১৯৭৪ সালে গোপালপুর পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর এখানের জমিজমার দাম বেড়ে যায়। প্রভাবশালী জমি খেকোরা প্রকাশ্যে নদী ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি শুরু করে। অবৈধভাবে নদীর উভয় পার দখল করে গড়ে তোলা হয় বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও পাকা ভবন। অনেকেই জায়গার বিপরীতে অবৈধভাবে কাগজ তৈরি করে নেয়। বৈরাণ নদীর কোনাবাড়ী বাজার, থানা চত্বর, নন্দনপুর, চরপাড়া ও দক্ষিণ গোপালপুরে দখলের প্রবণতা বেশি। বৈরাণ নদীর সঙ্গে আশপাশের বেশ কয়েকটি খাল ও বিলের সংযোগ রয়েছে। গোপালপুর শহরাংশে নদী দখলের কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রায়ই খাল ও বিল এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে ফসল আবাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে লেকের আকার ধারণ করেছে বৈরাণ নদীমৃতপ্রায় নদীটির সাড়ে ৩৭ কিলোমিটার অংশে গত বছর প্রায় ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন প্রকল্প হাতে নেয় টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা গোপালপুর পৌর এলাকার উজান ও ভাটিতে ২০ মিটার প্রস্থে ২৬ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ শেষ হয়। তবে নদীর পৌর এলাকা অংশে উজান ও ভাটির একই প্রস্থে খনন না করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়।

গোপালপুর পৌরসভা তথ্যে নদীর দুই তীরে প্রায় ২৯১টি বসতি রয়েছে। যার ৮৩টি পাকা ও বহুতল স্থাপনা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী দখলকারীদের স্থাপনা রক্ষা করতে নদীকে উল্টো সরু খালে পরিনিত করছে। এ নিয়ে মানববন্ধনও করেছে স্থানীয়রা। অনৈতিক লেনদেন ও প্রভাবশালী মহলের চাপ প্রয়োগের মতো গুরুতর অভিযোগও তাঁদের।

পৌর এলাকায় নদীকে সরু খালে পরিনিত হওয়ার বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা, ভূমির নকশা জটিলতা ও লিখিত আদেশ না পাওয়ার দাবি করেছেন।

অন্যদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এই দাবী অস্বীকার করে শুষ্ক মৌসুমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত