Ajker Patrika

কুমারখালীতে পেঁয়াজের কেজি ৮, তরমুজ ৪০ টাকা

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ১১
কুমারখালীতে পেঁয়াজের কেজি ৮, তরমুজ ৪০ টাকা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১৮ টাকায়। আর পেঁয়াজের তুলনায় ৫-৭ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আজ শুক্রবার উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি ডিগ্রি কলেজ মাঠের সাপ্তাহিক হাটে তরমুজ ও পেঁয়াজ এমন দরে কেনাবেচা হয়।

অন্যদিকে উৎপাদন খরচের তুলনায় পেঁয়াজের বাজারদর কয়েক গুণ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। বিক্রি না করে বাজার থেকে পেঁয়াজ ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আজ শুক্রবার সকালে পান্টি ডিগ্রি কলেজ মাঠের সাপ্তাহিক হাটে এ ঘটনা ঘটে। 

পান্টি সাপ্তাহিক পেঁয়াজ হাটের ইজারাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম আব্দুল্লাহ টিপু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ হাটে ৫ থেকে ৬ হাজার টন পেঁয়াজের আমদানি হয়েছিল। কিন্তু দাম কম থাকায় অসংখ্য কৃষক বিক্রি না করে ফেরত চলে যান। প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৮ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। 

হাটে থাকা কৃষক, ব্যবসায়ী ও হাট পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। আর বর্তমান প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৮ থেকে ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় বর্তমান বাজারদর কয়েক গুণ কম। দাম কম থাকায় অনেক কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি না করে ফিরে গেছেন। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা, যা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বেশি। 

বাজারে কথা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘৪৫০ মণ পেঁয়াজ কিনেছি। আকার ও মানভেদে প্রতি মণ ৩০০ থেকে ৭৫০ টাকা পড়েছে। পেঁয়াজ আজই ট্রাকে করে কুমিল্লায় নেওয়া হবে। 

পেঁয়াজের দাম কম থাকায় বাজার থেকে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে কৃষকচাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের কৃষক চঞ্চল শেখ বলেন, ‘বিক্রির জন্য ২৭ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম হাটে। কিন্তু দাম খুবই কম। তাই ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি আর পেঁয়াজ ৮ থেকে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ 

হাটে আসা খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের দেবীনগর গ্রামের কৃষক আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘পাট চাষের জন্য টাকা প্রয়োজন। ১৬ মণ পেঁয়াজ বিক্রির জন্য এনেছিলাম। কিন্তু দাম নাই পেঁয়াজের। তাই না বেঁচে ফিরে নিয়ে যাচ্ছি।’ 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পান্টি ডিগ্রি কলেজে গেটের সামনেই বসেছে তরমুজের হাট। প্রতি কেজি তরমুজ আকার ও মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘এবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের ২৩ থেকে ২৫ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত