Ajker Patrika

২ দিন ধরে নিখোঁজ খুলনা ছাত্র আন্দোলনের নেতা বদরুল

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪৭
২ দিন ধরে নিখোঁজ খুলনা ছাত্র আন্দোলনের নেতা বদরুল

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা বদরুল হাসানের (২৫) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দুই দিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। থানায় জিডি করা হলেও পুলিশ এখনো তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। আজ শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বদরুলের স্ত্রী সাঈদা খাতুন এ কথা জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোনারবাংলা গলিতে বসবাস করি। বদরুল হাসান সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম জব করতেন।

‘সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য এবং দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ত্রাণ সংগ্রহের কাজে দিনরাত পরিশ্রম করেন।’ 

ঘটনার দিন ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টার দিকে আমার স্বামী বদরুল বাসা থেকে বের হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার সময় মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হলে বদরুল বলেন, ‘আমি ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছি, দ্রুত বাসায় ফিরব। পরে আর বাসায় ফেরেননি। রাত ১১টার পরে আমি আমার স্বামীকে ফোন দিলে একবার নম্বর খোলা পাই। কিন্তু সে রিসিভ করেনি। তার পর থেকে নম্বর বন্ধ।’ 

সাঈদা খাতুন বলেন, ‘এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তা ছাড়া সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেছি, কিন্তু কোনো খোঁজ না পেয়ে পরের দিন ৬ জুলাই সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ৪৩২) করি। 

‘ওই দিন রাতে সদর থানায় আরও একটি জিডি (নম্বর ৩৯৭) দায়ের করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। ফলে পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।’ 

বদরুলের সঙ্গে করও দ্বন্দ্ব ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে এই মুহূর্তে আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছি না। তবে তাকে এখন খুজেঁ বের করা জরুরি।’ 

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বদরুলের স্ত্রী সাঈদা খাতুন। ছবি: আজকের পত্রিকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মুরছালীন ও আহম্মদ হাফিজ রাহাত বলেন, ‘বদরুল হাসান ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা। খুলনায় আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারি থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া রহস্যজনক।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো তার ক্লু পাইনি। তবে সে ত্রাণের কাজ করছিল আমাদের থানার ঠিক বিপরীত দিকে, যেটা পড়েছে সদর থানার মধ্যে। ওখানে কাজ শেষে সে রাত ৯টার দিকে বাসায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সে বাসায় যায়নি। 

‘তারপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। সম্ভাব্য তার যেসব জায়গায় যাওয়ার কথা, সব জায়গাতেই খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ফোনও ট্রেকিং করা হয়েছে, সেখানে দেখানো হচ্ছে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ত্রাণ দেওয়ার কাজ যে জায়গায় করেছিল, সেই জায়গায় দেখাচ্ছে। আমরা তার সন্ধান পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত