Ajker Patrika

আ.লীগের বিরুদ্ধে মধুর অভিযোগ মুখে মুখে, বলছে প্রতিপক্ষরা 

সাইফুল মাসুম ও সৌগত বসু, খুলনা থেকে
আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, ১৭: ০২
আ.লীগের বিরুদ্ধে মধুর অভিযোগ মুখে মুখে, বলছে প্রতিপক্ষরা 

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর। অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে গণমাধ্যম ও পথসভার বক্তব্যে বললেও কখনোই নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে জানাননি। তার প্রতিপক্ষরা বলছেন, ‘মধুর সব অভিযোগ মুখে মুখেই। মূলত ক্ষমতাসীনদের ইশারায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এখন নির্বাচনী মাঠ গরম রাখতেই কৌশল হিসেবে এসব বলছেন।’

শফিকুল ইসলাম মধুর অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, নির্বাচন প্রভাবিত করতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক কালো টাকা উড়াচ্ছেন। তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জাতীয় পার্টির কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। নির্বাচনী আচারবিধি লঙ্ঘন করছেন। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছে। সবখানে আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। নির্বাচন কমিশন এসব দেখেও না দেখার ভান করে আছে।

কেসিসি নির্বাচন সরকারের সাজানো নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন লাঙ্গলের প্রার্থী মধু। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যদি প্রশাসন ঠিক থাকে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল করার চক্রান্ত চলছে। পুলিশ, প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।’

জাতীয় পার্টির এই মেয়র পদপ্রার্থী প্রশ্ন তুলে বলেন, এই সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে? আজকে বিএনপি, জামায়াত ভোটে আসেনি কেন? কারণ আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

মধুর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, ‘এসব বিষয়ে কেউ আমাদের লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

মধুর অভিযোগের বিষয়ে ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আওয়াল বলেন, তিনি সব সময় কালো টাকাসহ বিভিন্ন বাধাবিপত্তির অভিযোগ করেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কখনো লিখিত অভিযোগ দেন না। এইগুলা সব ভিত্তিহীন কথা।

নির্বাচন কমিশনে কেন লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন না জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম মধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ দিলে তাদের ক্ষমতা কতটুকু আছে, সেটা আমি নিজেই জানি। একটা কাগজে অভিযোগ দিলাম, ওই পর্যন্ত তুলে দেবে। তাদের কি ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো? প্রশাসন যদি তাদের সহযোগিতা না করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমি বলেছিলাম আপনার কি স্বাধীনতা আছে সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো। তিনি উত্তর দিতে পারেননি।’ 

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত