প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের মাঠ-ঘাট, বিল-ঝিল, জলাশয়, পুকুর ও নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। অন্যদিকে নলকূপগুলোতেও পানি উঠছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জেলার ছয় উপজেলায় লক্ষাধিক নলকূপে বর্তমানে এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে জেলার শৈলকুপাতেই ৩০ হাজার নলকূপ প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলা সদর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ নলকূপেই পানি উঠছে না। কিছু কিছু জায়গাতে পানি মিললেও চলতি মাসের শুরুতে একেবারেই পানিশুণ্য হয়ে গেছে নলকূপগুলো।
দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্রমেই পানিশুন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলন করে ইরিধানের জমিতে সেচ দেওয়া এবং গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জেলার নলকূপগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন বৃষ্টি নেই। এ ছাড়া প্রতি শুষ্ক মৌসুমে জেলার শৈলকুপায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের সেচ খালগুলোতে পানি দিয়ে থাকে। কিন্তু এবার পানি না দেওয়ায় আরও বেশি বিপাকে পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা।
এমন অবস্থায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। ফলে গৃহস্থালীর কাজে যেমন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তেমনি গরু-ছাগল বা গৃহপালিত পশু-পাখির জন্যও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বাড়িতে নলকূপ বসিয়েছে, তারা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়রদের পরামর্শ নিলে শুষ্ক মৌসুমে পানির এমন সংকট হত না।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলার ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, গড়াইসহ বেশকিছু নদনদী প্রবাহিত হয়েছে। তবে একমাত্র গড়াই বাদে সবই এখন মৃত। এসব নদ-নদীর বুকে হচ্ছে ফসলের চাষ। এমন অবস্থায় ইরিধানের সেচকাজ করতে অনেকে পাঁচ থেকে দশ ফুট মাটি খুড়ে মটর বা শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ কাজ করছেন।
জানা গেছে, জেলার মধ্যে শৈলকুপাতেই রয়েছে ৩৭ হাজার ৫শ নলকূপ। যার মধ্যে ৩০ হাজার নলকূপ পানির অভাবে অকেজো হয়ে গেছে। এতে ২ লক্ষাধীক মানুষের জীবনযাত্রা এখন প্রায় অচল। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর শৈলকুপা উপজেলার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই উপজেলাতে ৩৭ হাজার ৫শ নলকূপ রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি নলকূপ মাত্র ১৫শ। বাকি সব ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত।
এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, উপজেলার বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানির সংকট শুরু হয়েছে। তাদের অফিস পাড়ায় চারটি নলকূপই প্রায় অকেজো।
সরেজমিনে শৈলকুপার মনোহরপুর, বিজুলিয়া, হিতামপুর, পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সমস্ত অগভীর নলকূপ অকেজো। গত মাসেও কিছু নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও চলতি মাসে একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে। মনোহরপুর গ্রামের গৃহবধু সাগরী, কৃষক মোকন মিয়া, বিজুলিয়া গ্রামের কৃষক ভুন্ডলে মিয়াসহ অনেকে জানান, গত কয়েক মাস ধরেই তাদের নলকূপে পানি অল্প উঠছে। কিন্তু সম্প্রতি পানিই উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে নলকূপের নিচে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে ইঞ্জিন চালিত সাবমার্সিবল পাম্প বা এ জাতীয় মটর স্থাপন করে নলকূপের পানি সচল রাখছে।
জেলার টিউবওয়েল ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান জানান, সাধারণত ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে পানির লেয়ার বা স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন নলকূপ স্থাপন করতে গিয়ে ৩২ থেকে ৪০ ফুট নিচে পানির লেয়ার মিলছে। তবুও পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
সুপেয় পনির সংকটে জনস্বাস্থ্য প্রসঙ্গে শৈলকুপা হাসপাতালের ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার না করতে পারলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুকি থেকে যায়। বিশেষ করে শিশুরা ডাইরিয়া, আমাশয়, পেটেরপিড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, জেলাজুড়ে কত হাজার বে-সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে তা তাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে জেলায় ৩২ হাজার নলকূপ রয়েছে। তবে এসব নলকূপের পানি স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম আরও জানান, বিভিন্ন ফোরাম বা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে তারা জানিয়েছেন। যাতে ডিজাইন অনুসারে নলকূপ স্থাপনের আইন পাশ হয়। প্রকৌশলীদের পরামর্শ নিয়ে নলকূপ স্থাপন করলে শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট কমবে।
ঝিনাইদহের মাঠ-ঘাট, বিল-ঝিল, জলাশয়, পুকুর ও নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। অন্যদিকে নলকূপগুলোতেও পানি উঠছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জেলার ছয় উপজেলায় লক্ষাধিক নলকূপে বর্তমানে এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে জেলার শৈলকুপাতেই ৩০ হাজার নলকূপ প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলা সদর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ নলকূপেই পানি উঠছে না। কিছু কিছু জায়গাতে পানি মিললেও চলতি মাসের শুরুতে একেবারেই পানিশুণ্য হয়ে গেছে নলকূপগুলো।
দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্রমেই পানিশুন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলন করে ইরিধানের জমিতে সেচ দেওয়া এবং গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জেলার নলকূপগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন বৃষ্টি নেই। এ ছাড়া প্রতি শুষ্ক মৌসুমে জেলার শৈলকুপায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের সেচ খালগুলোতে পানি দিয়ে থাকে। কিন্তু এবার পানি না দেওয়ায় আরও বেশি বিপাকে পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা।
এমন অবস্থায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। ফলে গৃহস্থালীর কাজে যেমন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তেমনি গরু-ছাগল বা গৃহপালিত পশু-পাখির জন্যও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বাড়িতে নলকূপ বসিয়েছে, তারা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়রদের পরামর্শ নিলে শুষ্ক মৌসুমে পানির এমন সংকট হত না।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলার ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, গড়াইসহ বেশকিছু নদনদী প্রবাহিত হয়েছে। তবে একমাত্র গড়াই বাদে সবই এখন মৃত। এসব নদ-নদীর বুকে হচ্ছে ফসলের চাষ। এমন অবস্থায় ইরিধানের সেচকাজ করতে অনেকে পাঁচ থেকে দশ ফুট মাটি খুড়ে মটর বা শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ কাজ করছেন।
জানা গেছে, জেলার মধ্যে শৈলকুপাতেই রয়েছে ৩৭ হাজার ৫শ নলকূপ। যার মধ্যে ৩০ হাজার নলকূপ পানির অভাবে অকেজো হয়ে গেছে। এতে ২ লক্ষাধীক মানুষের জীবনযাত্রা এখন প্রায় অচল। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর শৈলকুপা উপজেলার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই উপজেলাতে ৩৭ হাজার ৫শ নলকূপ রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি নলকূপ মাত্র ১৫শ। বাকি সব ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত।
এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, উপজেলার বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানির সংকট শুরু হয়েছে। তাদের অফিস পাড়ায় চারটি নলকূপই প্রায় অকেজো।
সরেজমিনে শৈলকুপার মনোহরপুর, বিজুলিয়া, হিতামপুর, পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সমস্ত অগভীর নলকূপ অকেজো। গত মাসেও কিছু নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও চলতি মাসে একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে। মনোহরপুর গ্রামের গৃহবধু সাগরী, কৃষক মোকন মিয়া, বিজুলিয়া গ্রামের কৃষক ভুন্ডলে মিয়াসহ অনেকে জানান, গত কয়েক মাস ধরেই তাদের নলকূপে পানি অল্প উঠছে। কিন্তু সম্প্রতি পানিই উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে নলকূপের নিচে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে ইঞ্জিন চালিত সাবমার্সিবল পাম্প বা এ জাতীয় মটর স্থাপন করে নলকূপের পানি সচল রাখছে।
জেলার টিউবওয়েল ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান জানান, সাধারণত ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে পানির লেয়ার বা স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন নলকূপ স্থাপন করতে গিয়ে ৩২ থেকে ৪০ ফুট নিচে পানির লেয়ার মিলছে। তবুও পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
সুপেয় পনির সংকটে জনস্বাস্থ্য প্রসঙ্গে শৈলকুপা হাসপাতালের ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার না করতে পারলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুকি থেকে যায়। বিশেষ করে শিশুরা ডাইরিয়া, আমাশয়, পেটেরপিড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, জেলাজুড়ে কত হাজার বে-সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে তা তাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে জেলায় ৩২ হাজার নলকূপ রয়েছে। তবে এসব নলকূপের পানি স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম আরও জানান, বিভিন্ন ফোরাম বা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে তারা জানিয়েছেন। যাতে ডিজাইন অনুসারে নলকূপ স্থাপনের আইন পাশ হয়। প্রকৌশলীদের পরামর্শ নিয়ে নলকূপ স্থাপন করলে শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট কমবে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ও গ্রাম পুলিশের সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধনে দেরি হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরই আইনি সহায়তাপ্রত্যাশী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনো অনেক নারী সহিংসতার শিকার হলেও মামলা করছেন না। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে সহিংসতার শিকার নারীদের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচারকসহ সবার সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক আ
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার শাহবাগ থানা কিছুটা সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। থানা সরিয়ে এর প্রবেশ মুখ উত্তর দিকে করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আ
৫ ঘণ্টা আগেইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।
৫ ঘণ্টা আগে