নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার এলাকার রহিমা বেগম (৫২) নিখোঁজের ঘটনাকে ‘নাটক’ উল্লেখ করে তাঁদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রহিমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজন পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করে।
গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে অপহরণের বিষয়টি ‘কথিত’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মরিয়ম মান্নানসহ জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন গ্রেপ্তার হওয়া মো. মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি। তিনি বলেন, ‘এই মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও সাজানো অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে মামলা করায় রহিমা বেগম, তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও আদুরী আক্তারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘খুলনার দৌলতপুর থানা এলাকার মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ির রহিম বেগম নিখোঁজ হওয়ার ২৯ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার হন। উদ্ধারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী দেখেছে। মরিয়ম মান্নানসহ তাঁর পরিবার কথিত অপহরণের নাটক কীভাবে মঞ্চস্থ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত যে, অপরাধ করেও প্রশাসনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের এখনো পর্যন্ত হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘রহিমা বেগম অপহরণের বিষয়টি একটি সাজানো নাটক। রহিমা বেগম ও তার মেয়ে মান্নান মরিয়মসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় যে মামলা করে, তাতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এই মামলায় প্রতিবেশী খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরীয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল, হেলাল শরীফ অপহরণ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হলে, রহিমা বেগমের বাড়ির চারপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে র্যাব-৬ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার ৫ জনকে ডেকে নিয়ে কয়েক দফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তাদের জড়িত থাকার ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের ছেড়েও দেয়। কিন্তু ঘটনার ১ সপ্তাহ পর মরিয়ম মান্নান প্রভাব খাটিয়ে দৌলতপুর থানা-পুলিশকে দিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করায়।’
সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে মালিহা মাহি বলেন, ‘রহিমা বেগম ফরিদপুরে যে এলাকায় ছিলেন সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলেন তিনি। আমরা মনে করি যে, রহিমা বেগম নিজের এনআইডি পরিবর্তন করে ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত যে নারীর মরদেহ পাওয়া গেয়েছিল ওই মরদেহের পরিচয় দেওয়ার জন্যই জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলেন। এখান থেকে আবার নতুন করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। রহিমা বেগমের কাছে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না, তিনি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে খুলনা না এসে কেন ফরিদপুর গেলেন? রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজের ফোন নম্বরে ফরিদপুর থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার মা ফরিদপুর আছে। কিন্তু মিরাজের স্ত্রী মৌ ইসলাম ফোন রিসিভ করে এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাইনি। কেন মিরাজের স্ত্রী বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়নি মরিয়ম মান্নান?’
মালিহা আরও বলেন, ‘উদ্ধার হওয়ার পর রহিমা বেগম পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে মুখ বন্ধ রেখে রহস্যজনকভাবে চুপ থাকেন। পরবর্তীতে রহিমা বেগম যার জিম্মায় ছিলেন, সেই পুলিশ কর্মকর্তা দোলা দে জানিয়েছেন, রহিমা বেগম তার মেয়ে ও স্বামীর কাছে যেতে চায় না। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই তিনি তার বক্তব্য পাল্টে ফেলেন। তিনি তাঁর মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে নতুন নাটক করছেন। আদালত থেকে মেয়ের সঙ্গেই তিনি বাড়ি চলে গেছেন।’
রহিমা বেগমের আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘রহিমা বেগম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর কথা বলা হয়েছে। এটাও নতুন ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।’
উল্লেখ্য, রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরীয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল ও হেলাল শরীফ।
খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার এলাকার রহিমা বেগম (৫২) নিখোঁজের ঘটনাকে ‘নাটক’ উল্লেখ করে তাঁদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রহিমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজন পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করে।
গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে অপহরণের বিষয়টি ‘কথিত’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মরিয়ম মান্নানসহ জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন গ্রেপ্তার হওয়া মো. মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি। তিনি বলেন, ‘এই মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও সাজানো অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে মামলা করায় রহিমা বেগম, তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও আদুরী আক্তারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘খুলনার দৌলতপুর থানা এলাকার মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ির রহিম বেগম নিখোঁজ হওয়ার ২৯ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার হন। উদ্ধারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী দেখেছে। মরিয়ম মান্নানসহ তাঁর পরিবার কথিত অপহরণের নাটক কীভাবে মঞ্চস্থ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত যে, অপরাধ করেও প্রশাসনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের এখনো পর্যন্ত হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘রহিমা বেগম অপহরণের বিষয়টি একটি সাজানো নাটক। রহিমা বেগম ও তার মেয়ে মান্নান মরিয়মসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় যে মামলা করে, তাতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এই মামলায় প্রতিবেশী খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরীয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল, হেলাল শরীফ অপহরণ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হলে, রহিমা বেগমের বাড়ির চারপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে র্যাব-৬ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার ৫ জনকে ডেকে নিয়ে কয়েক দফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তাদের জড়িত থাকার ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের ছেড়েও দেয়। কিন্তু ঘটনার ১ সপ্তাহ পর মরিয়ম মান্নান প্রভাব খাটিয়ে দৌলতপুর থানা-পুলিশকে দিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করায়।’
সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে মালিহা মাহি বলেন, ‘রহিমা বেগম ফরিদপুরে যে এলাকায় ছিলেন সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলেন তিনি। আমরা মনে করি যে, রহিমা বেগম নিজের এনআইডি পরিবর্তন করে ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত যে নারীর মরদেহ পাওয়া গেয়েছিল ওই মরদেহের পরিচয় দেওয়ার জন্যই জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলেন। এখান থেকে আবার নতুন করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। রহিমা বেগমের কাছে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না, তিনি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে খুলনা না এসে কেন ফরিদপুর গেলেন? রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজের ফোন নম্বরে ফরিদপুর থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার মা ফরিদপুর আছে। কিন্তু মিরাজের স্ত্রী মৌ ইসলাম ফোন রিসিভ করে এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাইনি। কেন মিরাজের স্ত্রী বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়নি মরিয়ম মান্নান?’
মালিহা আরও বলেন, ‘উদ্ধার হওয়ার পর রহিমা বেগম পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে মুখ বন্ধ রেখে রহস্যজনকভাবে চুপ থাকেন। পরবর্তীতে রহিমা বেগম যার জিম্মায় ছিলেন, সেই পুলিশ কর্মকর্তা দোলা দে জানিয়েছেন, রহিমা বেগম তার মেয়ে ও স্বামীর কাছে যেতে চায় না। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই তিনি তার বক্তব্য পাল্টে ফেলেন। তিনি তাঁর মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে নতুন নাটক করছেন। আদালত থেকে মেয়ের সঙ্গেই তিনি বাড়ি চলে গেছেন।’
রহিমা বেগমের আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘রহিমা বেগম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর কথা বলা হয়েছে। এটাও নতুন ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।’
উল্লেখ্য, রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরীয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল ও হেলাল শরীফ।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে