মো. আজিজুল হক, বেনাপোল
২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এ ঘাটতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি। বিগত ১০ বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বেনাপোল বন্দর।
বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো, কাস্টমসে খাদ্যদ্রব্য ও রাসায়নিক পণ্য খালাসে জটিলতা এবং অধিক শুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পদ্মা সেতু চালুর কারণে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ ও সম্প্রতি বন্দরের কিছু কিছু অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আগামী বছর রাজস্ব বাড়বে বলে আশা করছেন বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি পণ্য থেকে এনবিআর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু বছরের শেষ দিকে রাজস্ব পূরণে শঙ্কা দেখা দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। তবে ৩০ জুন বছর শেষে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আদায়ে ঘাটতি থেকে যায় ৫৫৮ কোটি টাকা।
১০ বছর ধরেই বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মধ্যে রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস। রাজস্ব বাড়াতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা ও নিরাপদ বাণিজ্যের ব্যবস্থা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার ঘাটতি হয় ২০৩ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ তে ঘাটতি ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ তে ঘাটতি ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতি পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক শহর হিসাবে পরিচিত কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। আমদানি পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশে রয়েছে কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য। এখান থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়। কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় কাস্টমসে নেই বিএসটিআই ও বিএসআইআরের অফিস। বাইরে থেকে পণ্যের মান পরীক্ষা করা ব্যয়বহুল ও মাসের অধিক সময় লেগে যায়। এতে ৫ গুণ বেশি খরচ বাড়ে। এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
এসবের কারণে অনেক আমদানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়ে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হয়েছেন। এতে আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গত ১০ বছর ধরে রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়ছে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আমদানির চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। একই সঙ্গে এ অবস্থা থেকে বের হতে বন্দরে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে বলেও জানান সহসভাপতি আমিনুল হক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ বলেন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ বাণিজ্য পরিচালনায় বন্দর ও কাস্টমসে আজও গড়ে ওঠেনি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। বন্দরে আড়াই লাখ টন পণ্য রাখার জায়গা প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ৪০ হাজার টনের ধারণক্ষমতা। চাহিদা অনুযায়ী ক্রেন ফর্কক্রিপ না থাকায় ভারী মালামাল খালাসের জন্য মাসের পর মাস সিরিয়ালে থাকতে হয়। দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকলে আরও বেশি ব্যবসায়ীরা এ বন্দরমুখী হবেন।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সব বন্দরে এক নিয়মে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু বেনাপোলে ব্যতিক্রম নিয়মে লোকসান বাড়ছে। পণ্য খালাস সহজ করতে না পারলে ব্যবসায়ীরা যে বন্দরে সুবিধা পাবে সে বন্দরে যাবে। তাই প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে পারলে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ বাড়বে। বাণিজ্য গতিশীল করতে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তবে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনার জন্য বন্দরের অবকাঠামো বাড়ানো খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও বন্দরে জায়গার অভাবে ৪০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। এতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানি পণ্য খালাসকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্রেড বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার জানান, পাঁচ বছর আগে যখন বন্দরের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয় তখন মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন ভারী পণ্য খালাস হতো। এখন খালাসের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ টন। পণ্য খালাসের জন্য বর্তমানে ২৫টি ক্রেন, ফর্ক ক্লিপের প্রয়োজন হলেও তাদের রয়েছে মাত্র ১৬টি। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে চুক্তিতে না আসায় চাহিদামতো ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে।
আমদানি বাণিজ্যে সমস্যার কথা শিকার করে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য থেকে বড় রাজস্ব আসে। তবে বেনাপোল কাস্টমসে বিএসটিআই ও বিএসআইআরের অফিস না থাকায় এ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছেনা। তবে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে এখন পণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে। আশা করছি, সামনের বছর রাজস্ব বাড়বে। তবে দ্রুত বেনাপোল কাস্টমসে পণ্যের মান পরীক্ষণের সব ব্যবস্থা ও বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বাড়াতে হবে। বিষয়টি এরই মধ্যে ওপর মহলে অবগত করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এ পথে বাণিজ্য বৃদ্ধির কথা মাথায় নিয়ে এরই মধ্যে বন্দরে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ, পণ্যাগার তৈরি ও বন্দরের নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। শেষ হয়েছে সিসি ক্যামেরা বসানো ও অটো মেশিন পদ্ধতি স্থাপনের। তবে সব স্থাপনা নির্মাণ শেষ হতে এখনো ২ বছর সময় লাগবে।
২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এ ঘাটতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি। বিগত ১০ বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বেনাপোল বন্দর।
বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো, কাস্টমসে খাদ্যদ্রব্য ও রাসায়নিক পণ্য খালাসে জটিলতা এবং অধিক শুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পদ্মা সেতু চালুর কারণে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ ও সম্প্রতি বন্দরের কিছু কিছু অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আগামী বছর রাজস্ব বাড়বে বলে আশা করছেন বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি পণ্য থেকে এনবিআর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু বছরের শেষ দিকে রাজস্ব পূরণে শঙ্কা দেখা দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। তবে ৩০ জুন বছর শেষে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আদায়ে ঘাটতি থেকে যায় ৫৫৮ কোটি টাকা।
১০ বছর ধরেই বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মধ্যে রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস। রাজস্ব বাড়াতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা ও নিরাপদ বাণিজ্যের ব্যবস্থা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার ঘাটতি হয় ২০৩ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ তে ঘাটতি ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ তে ঘাটতি ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতি পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক শহর হিসাবে পরিচিত কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। আমদানি পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশে রয়েছে কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য। এখান থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়। কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় কাস্টমসে নেই বিএসটিআই ও বিএসআইআরের অফিস। বাইরে থেকে পণ্যের মান পরীক্ষা করা ব্যয়বহুল ও মাসের অধিক সময় লেগে যায়। এতে ৫ গুণ বেশি খরচ বাড়ে। এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
এসবের কারণে অনেক আমদানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়ে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হয়েছেন। এতে আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গত ১০ বছর ধরে রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়ছে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আমদানির চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। একই সঙ্গে এ অবস্থা থেকে বের হতে বন্দরে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে বলেও জানান সহসভাপতি আমিনুল হক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ বলেন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ বাণিজ্য পরিচালনায় বন্দর ও কাস্টমসে আজও গড়ে ওঠেনি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। বন্দরে আড়াই লাখ টন পণ্য রাখার জায়গা প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ৪০ হাজার টনের ধারণক্ষমতা। চাহিদা অনুযায়ী ক্রেন ফর্কক্রিপ না থাকায় ভারী মালামাল খালাসের জন্য মাসের পর মাস সিরিয়ালে থাকতে হয়। দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকলে আরও বেশি ব্যবসায়ীরা এ বন্দরমুখী হবেন।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সব বন্দরে এক নিয়মে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু বেনাপোলে ব্যতিক্রম নিয়মে লোকসান বাড়ছে। পণ্য খালাস সহজ করতে না পারলে ব্যবসায়ীরা যে বন্দরে সুবিধা পাবে সে বন্দরে যাবে। তাই প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে পারলে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ বাড়বে। বাণিজ্য গতিশীল করতে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তবে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনার জন্য বন্দরের অবকাঠামো বাড়ানো খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও বন্দরে জায়গার অভাবে ৪০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। এতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানি পণ্য খালাসকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্রেড বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার জানান, পাঁচ বছর আগে যখন বন্দরের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয় তখন মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন ভারী পণ্য খালাস হতো। এখন খালাসের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ টন। পণ্য খালাসের জন্য বর্তমানে ২৫টি ক্রেন, ফর্ক ক্লিপের প্রয়োজন হলেও তাদের রয়েছে মাত্র ১৬টি। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে চুক্তিতে না আসায় চাহিদামতো ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে।
আমদানি বাণিজ্যে সমস্যার কথা শিকার করে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য থেকে বড় রাজস্ব আসে। তবে বেনাপোল কাস্টমসে বিএসটিআই ও বিএসআইআরের অফিস না থাকায় এ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছেনা। তবে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে এখন পণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে। আশা করছি, সামনের বছর রাজস্ব বাড়বে। তবে দ্রুত বেনাপোল কাস্টমসে পণ্যের মান পরীক্ষণের সব ব্যবস্থা ও বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বাড়াতে হবে। বিষয়টি এরই মধ্যে ওপর মহলে অবগত করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এ পথে বাণিজ্য বৃদ্ধির কথা মাথায় নিয়ে এরই মধ্যে বন্দরে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ, পণ্যাগার তৈরি ও বন্দরের নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। শেষ হয়েছে সিসি ক্যামেরা বসানো ও অটো মেশিন পদ্ধতি স্থাপনের। তবে সব স্থাপনা নির্মাণ শেষ হতে এখনো ২ বছর সময় লাগবে।
চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। বিকেলে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরীর জামালখানে তাঁর অনুসারীরা জড়ো হতে থাকেন।
১ মিনিট আগেঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য উত্তরা দিয়াবাড়ীতে নির্মিত পুনর্বাসন ভিলেজে লটারির মাধ্যমে প্রথম ধাপে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এই লটারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৬ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় পুলিশের গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি ও এপিসি গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের অজ্ঞাতনামা আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগেসাতক্ষীরায় বিভিন্ন সময় হারানো ৯২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে থানা–পুলিশ। এ ছাড়া ভুলে অন্যের বিকাশ নম্বরে চলে যাওয়া ৭১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে