Ajker Patrika

লিবিয়া থেকে প্রবাসী যুবককে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ২১: ২৯
লিবিয়া থেকে প্রবাসী যুবককে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

লিবিয়ায় অপহরণ করে জিয়াউর রহমান (২৫) নামে এক প্রবাসী যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জিয়াউর রহমান যশোরের কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। নির্যাতনের ঘটনা জানাতে আজ মঙ্গলবার কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন জিয়াউরের ভাই বেলাল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বেলাল বলেন, তাঁর ভাইকে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তাঁদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেলাল হোসেন বলেন, উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে আদম ব্যাপারী সোহাগ হোসেন ৪ বছর আগে তাঁর ভাই জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে তাকে লিবিয়ায় পাঠান। বর্তমানে লিবিয়ায় অবস্থানরত আরেক আদম ব্যাপারী পার্শ্ববর্তী খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ কিংয়ের কাছে তাঁর অবস্থান করছেন। আব্দুল আজিজের অধীনে থেকে জিয়াউর রহমান কাজ করায় ২ বছরের টাকা আব্দুল আজিজের ছেলে আরাফাত হোসেনের মাধ্যমে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাকি ২ বছরের টাকা আব্দুল আজিজের কাছে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি জিয়াউর রহমানকে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যান। আজিজ জিয়াউরের পাসপোর্ট, ভিসা ও ওই দেশীয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। সেখানেই জিয়াউরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠান আজিজ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনার পর জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে যশোরের জেলা প্রশাসক এবং ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে গত ২৩ মে আবেদন করা হয়। এর জেরে সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সোহাগ সরদার ও ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আরাফাত হোসেন তাদেরকে নানা রকম হুমকি দেওয়া শুরু করেন। তখন এই দুজনের নামে কেশবপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। 

জিয়াউর রহমানকে এভাবে নির্যাতন করে পরিবারের কাছে পাঠানো হয় ভিডিওসংবাদ সম্মেলনে বেলাল লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার জিয়াউরকে দেশে ফেরত আনতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং দালাল ও নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এ বিষয়ে কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগ সরদার ও আরাফাত হোসেনকে গতকাল সোমবার রাতে মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁদেরকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত