গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গাদন খেলা। গত শনিবার উপজেলার কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় এ প্রতিযোগিতা হয়।
কল্যাণপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে খেলায় আটটি দল অংশ নেয়। খেলা দেখতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান। ফাইনালে ওঠে কল্যাণপুর ও ব্রজপুর। বিজয়ী হয় ব্রজপুর দল।
খেলা দেখতে আসা দর্শকদের দাবি, যদি গ্রামীণ খেলাগুলোকে ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে আবার আনন্দ ফিরে আসবে। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এ খেলাগুলোর কোনো চিহ্নই থাকবে না।
স্থানীয়রা বলেন, আগে গ্রামীণ কত রকম খেলার প্রচলন ছিল, এগুলো এখন শুধুই গল্প। আগে গ্রামবাংলার খেলাধুলায় হাজারো মানুষের ঢল নামত। এখন আর তা নেই। আদি গ্রাম সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, গ্রামীণ ফেডারেশন গঠন করা খুবই জরুরি।
খেলা দেখতে আসা মামুন আলী বলেন, ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আর নেই বললেই চলে। হয়তো বছরের কোনো একসময় শোনা যায় কোথাও গাদন খেলা হচ্ছে। তবে সেই খেলার কথা শুনলে এখনো ছুটে যায় মানুষ। আমাদের সন্তানদের সেই গল্প শোনালে এখন আগ্রহ দেখায় না। খেলাধুলার প্রতি তাদের অনীহা। কারণ তারা হাতে পেয়েছে মোবাইল ফোন। পাবজি আর ফ্রি ফায়ার গেম খেলেই কাটিয়ে দেয় সময়।’
কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামে প্রায় প্রতি বছরই এই খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে আসে এখানে।
সাবেক গাদন খেলোয়াড় মোহাম্মদ বদরুদ্দিন বলেন, ‘বয়সের ভারে এখন আর তেমন চলাফেরা করতে পারি না। গ্রামবাংলার সেই গাদন খেলার কথা মনে পড়ে; কিন্তু কাউকে খেলতে দেখি না। যাঁরা গ্রামবাংলা হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলোর আয়োজন করেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’
খেলার আয়োজক সদস্য কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা বোরহানউদ্দিন বলেন, শহর থেকে গ্রামে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া, আর এর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় বিলীন হতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো। একসময় মানুষের ভেতরে অন্য রকম আনন্দ ও ভালোবাসার অনুভূতি কাজ করত গ্রাম্য খেলাগুলো নিয়ে। যখন খেলাগুলো চলত তখন হাজার হাজার দর্শকে মুখর থাকত পুরো খেলার মাঠ। গ্রামে এখন দেখা যায় শুধু ফুটবল, ক্রিকেট আর ব্যাডমিন্টন। বাকি খেলাগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই কল্যাণপুর গ্রামের সবাই একত্র হয়ে হারিয়ে যাওয়া গাদন খেলার আয়োজন করা হয়।
মেহেরপুরের গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গাদন খেলা। গত শনিবার উপজেলার কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় এ প্রতিযোগিতা হয়।
কল্যাণপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে খেলায় আটটি দল অংশ নেয়। খেলা দেখতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান। ফাইনালে ওঠে কল্যাণপুর ও ব্রজপুর। বিজয়ী হয় ব্রজপুর দল।
খেলা দেখতে আসা দর্শকদের দাবি, যদি গ্রামীণ খেলাগুলোকে ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে আবার আনন্দ ফিরে আসবে। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এ খেলাগুলোর কোনো চিহ্নই থাকবে না।
স্থানীয়রা বলেন, আগে গ্রামীণ কত রকম খেলার প্রচলন ছিল, এগুলো এখন শুধুই গল্প। আগে গ্রামবাংলার খেলাধুলায় হাজারো মানুষের ঢল নামত। এখন আর তা নেই। আদি গ্রাম সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, গ্রামীণ ফেডারেশন গঠন করা খুবই জরুরি।
খেলা দেখতে আসা মামুন আলী বলেন, ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আর নেই বললেই চলে। হয়তো বছরের কোনো একসময় শোনা যায় কোথাও গাদন খেলা হচ্ছে। তবে সেই খেলার কথা শুনলে এখনো ছুটে যায় মানুষ। আমাদের সন্তানদের সেই গল্প শোনালে এখন আগ্রহ দেখায় না। খেলাধুলার প্রতি তাদের অনীহা। কারণ তারা হাতে পেয়েছে মোবাইল ফোন। পাবজি আর ফ্রি ফায়ার গেম খেলেই কাটিয়ে দেয় সময়।’
কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামে প্রায় প্রতি বছরই এই খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে আসে এখানে।
সাবেক গাদন খেলোয়াড় মোহাম্মদ বদরুদ্দিন বলেন, ‘বয়সের ভারে এখন আর তেমন চলাফেরা করতে পারি না। গ্রামবাংলার সেই গাদন খেলার কথা মনে পড়ে; কিন্তু কাউকে খেলতে দেখি না। যাঁরা গ্রামবাংলা হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলোর আয়োজন করেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’
খেলার আয়োজক সদস্য কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা বোরহানউদ্দিন বলেন, শহর থেকে গ্রামে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া, আর এর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় বিলীন হতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো। একসময় মানুষের ভেতরে অন্য রকম আনন্দ ও ভালোবাসার অনুভূতি কাজ করত গ্রাম্য খেলাগুলো নিয়ে। যখন খেলাগুলো চলত তখন হাজার হাজার দর্শকে মুখর থাকত পুরো খেলার মাঠ। গ্রামে এখন দেখা যায় শুধু ফুটবল, ক্রিকেট আর ব্যাডমিন্টন। বাকি খেলাগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই কল্যাণপুর গ্রামের সবাই একত্র হয়ে হারিয়ে যাওয়া গাদন খেলার আয়োজন করা হয়।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খুলনায় দিনব্যাপী পথনাটক ও পটগান প্রদর্শনী হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের উদ্যোগে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিস
২ ঘণ্টা আগেপাহাড়ে একাধিক সশস্ত্র সংগঠন গঠন করে দিয়ে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হলে ভালো ফল বয়ে আনবে না। দীর্ঘ ২৭ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক ধারাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার যে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা
২ ঘণ্টা আগেভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং রাজধানীর উত্তরায় এসব বিক্ষোভ হয়েছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই–আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য কামরুল ইসলামকে আগামী বুধবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে