খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় ১৪ বছর ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা গাজী মো. মেহেদী হাসান ফিরোজের সন্ধান চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফিরোজের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর সন্ধান চাওয়া হয়। ফিরোজ উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নিখোঁজ মেহেদী হাসান ফিরোজের ভাই ও খুলনার দিঘলিয়া থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গাজী মনিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, তাঁর ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার পর দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর গুনে তাঁর মা মৃত্যুবরণ করেছেন।
গাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বিকেলে আমার বড় ভাই গাজী মো. মেহেদী হাসান ফিরোজ তাঁর বন্ধু আফজাল হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বের হন। নগরীর নিরালা মুসলমানপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে তাঁদের বাগেরহাটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। পরে র্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। তখন আমার ভাইয়ের বর্ণনা শুনে প্রথমে বলা হয়, এ রকম দুজন তাদের কাছে আছে। দুই ঘণ্টা পর বলা হয়, আমার ভাই ও তাঁর বন্ধু তাদের কাছে নেই। যাদের ধরা হয়েছিল, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
গাজী মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভাইয়ের সন্ধান না পেয়ে ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু ১৪ বছরেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আয়নাঘর থেকে জীবিত বা মৃত অনেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণেই আশান্বিত হয়ে হারিয়ে যাওয়া ভাইকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমার ভাই জীবিত নাকি মৃত, এর সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাচ্ছি।’
নিখোঁজ গাজী ফিরোজের আরেক ভাই গাজী এনামুল হাসান মাসুম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা গাজী সিরাজুল ইসলাম সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪৯টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ছেলের শোকে কিছুদিন আগে আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার আরেক ভাই গাজী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আরেক ভাই গাজী রেজাউল ইসলাম বাবু আটটি রাজনৈতিক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাঁকে আটক করে র্যাব সাত দিন গুম করে রেখেছিল। ছোট ভাই ছাত্রদল নেতা গাজী রবিউল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে পাঁচটি রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে।’
এনামুল হাসান মাসুম আরও বলেন, ‘আমার নিখোঁজ ভাই গাজী ফিরোজ সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে সে খুলনা শহরেই বসবাস করত। আমাদের ধারণা, তাকে গুম করে রাখা হয়েছে।’
খুলনায় ১৪ বছর ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা গাজী মো. মেহেদী হাসান ফিরোজের সন্ধান চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফিরোজের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর সন্ধান চাওয়া হয়। ফিরোজ উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নিখোঁজ মেহেদী হাসান ফিরোজের ভাই ও খুলনার দিঘলিয়া থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গাজী মনিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, তাঁর ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার পর দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর গুনে তাঁর মা মৃত্যুবরণ করেছেন।
গাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বিকেলে আমার বড় ভাই গাজী মো. মেহেদী হাসান ফিরোজ তাঁর বন্ধু আফজাল হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বের হন। নগরীর নিরালা মুসলমানপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে তাঁদের বাগেরহাটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। পরে র্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। তখন আমার ভাইয়ের বর্ণনা শুনে প্রথমে বলা হয়, এ রকম দুজন তাদের কাছে আছে। দুই ঘণ্টা পর বলা হয়, আমার ভাই ও তাঁর বন্ধু তাদের কাছে নেই। যাদের ধরা হয়েছিল, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
গাজী মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভাইয়ের সন্ধান না পেয়ে ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু ১৪ বছরেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আয়নাঘর থেকে জীবিত বা মৃত অনেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণেই আশান্বিত হয়ে হারিয়ে যাওয়া ভাইকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমার ভাই জীবিত নাকি মৃত, এর সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাচ্ছি।’
নিখোঁজ গাজী ফিরোজের আরেক ভাই গাজী এনামুল হাসান মাসুম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা গাজী সিরাজুল ইসলাম সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪৯টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ছেলের শোকে কিছুদিন আগে আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার আরেক ভাই গাজী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আরেক ভাই গাজী রেজাউল ইসলাম বাবু আটটি রাজনৈতিক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাঁকে আটক করে র্যাব সাত দিন গুম করে রেখেছিল। ছোট ভাই ছাত্রদল নেতা গাজী রবিউল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে পাঁচটি রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে।’
এনামুল হাসান মাসুম আরও বলেন, ‘আমার নিখোঁজ ভাই গাজী ফিরোজ সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে সে খুলনা শহরেই বসবাস করত। আমাদের ধারণা, তাকে গুম করে রাখা হয়েছে।’
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৪৪ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে