Ajker Patrika

খুলনায় ১৪ বছর ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতার সন্ধান দাবি

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ৫৮
খুলনায় ১৪ বছর ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতার সন্ধান দাবি

খুলনায় ১৪ বছর ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা গাজী মো. মেহেদী হাসান ফিরোজের সন্ধান চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফিরোজের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর সন্ধান চাওয়া হয়। ফিরোজ উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নিখোঁজ মেহেদী হাসান ফিরোজের ভাই ও খুলনার দিঘলিয়া থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গাজী মনিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, তাঁর ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার পর দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর গুনে তাঁর মা মৃত্যুবরণ করেছেন। 

গাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বিকেলে আমার বড় ভাই গাজী মো. মেহেদী হাসান ফিরোজ তাঁর বন্ধু আফজাল হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বের হন। নগরীর নিরালা মুসলমানপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে তাঁদের বাগেরহাটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। পরে র‍্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। তখন আমার ভাইয়ের বর্ণনা শুনে প্রথমে বলা হয়, এ রকম দুজন তাদের কাছে আছে। দুই ঘণ্টা পর বলা হয়, আমার ভাই ও তাঁর বন্ধু তাদের কাছে নেই। যাদের ধরা হয়েছিল, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ 

গাজী মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভাইয়ের সন্ধান না পেয়ে ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু ১৪ বছরেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আয়নাঘর থেকে জীবিত বা মৃত অনেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণেই আশান্বিত হয়ে হারিয়ে যাওয়া ভাইকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমার ভাই জীবিত নাকি মৃত, এর সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাচ্ছি।’ 

নিখোঁজ গাজী ফিরোজের আরেক ভাই গাজী এনামুল হাসান মাসুম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা গাজী সিরাজুল ইসলাম সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪৯টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ছেলের শোকে কিছুদিন আগে আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার আরেক ভাই গাজী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আরেক ভাই গাজী রেজাউল ইসলাম বাবু আটটি রাজনৈতিক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাঁকে আটক করে র‍্যাব সাত দিন গুম করে রেখেছিল। ছোট ভাই ছাত্রদল নেতা গাজী রবিউল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে পাঁচটি রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে।’ 

ফিরোজের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকাএনামুল হাসান মাসুম আরও বলেন, ‘আমার নিখোঁজ ভাই গাজী ফিরোজ সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে সে খুলনা শহরেই বসবাস করত। আমাদের ধারণা, তাকে গুম করে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত