খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

খুলনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

চতুর্থ দিনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্নি) চিকিৎসকেরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। হাসপাতালে ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামিসহ ইতিমধ্যেই ২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং অনতিবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার প্রত্যাশা করছি। চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের একাত্মতা জ্ঞাপনপূর্বক তাদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবিগুলোও দ্রুততম সময়ে পূরণ হবে, এই প্রত্যাশা রেখে জনদুর্ভোগ নিরসনে ও রোগীদের কল্যাণার্থে কর্মবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও এখনো দোকান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। 

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি খুলনা শাখার সহসভাপতি এসএম কবীর উদ্দিন বাবলু বলেন, ‘রাতে ওষুধ ব্যবসায়ীদের বৈঠক রয়েছে। ওই সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে সবুজ সরকার নামে মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী কিছু ওষুধ কিনতে যান। ৭০ টাকার ওষুধ কিনে ১০ শতাংশ কমিশন না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আশপাশের ওষুধের দোকানিরা এগিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় ওষুধ ব্যবসায়ীরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। ঘটনার পর থেকে ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত