জাহিদ হাসান, যশোর
যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মীকে ভূরিভোজ করিয়েছেন।
সোমবার (৬ মে) বেলা ৩টার দিকে সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি বাজার সংলগ্ন একটি মেহগনি বাগানে এই ভূরিভোজের আয়োজন করেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না। এতে শাহীনের সমর্থিত প্যানেলের তিন প্রার্থীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নেতা–কর্মীদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি শাহীন চাকলাদার।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার রাজনীতি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও অপরটি স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্যের লড়াই শুরু হয়েছে।
শাহীন চেয়ারম্যান পদে তাঁর চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁকে ছাড় দিতে নারাজ যশোর–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনিও একক প্রার্থীর প্যানেল ঘোষণা করেছেন। তাঁর ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মাঠে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।
উপজেলা নির্বাচনে শাহীন প্যানেলে রয়েছেন—চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি।
নাবিলের প্যানেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বাশিনুর রহমান।
দুই প্যানেলে দুই শীর্ষ নেতারা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে এরই মধ্যে শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে সভাসমাবেশ করছেন। তারই অংশ হিসেবে দুপুরে চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান মুন্না কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। বিশেষ অতিথি করা হয় শাহীন সমর্থিত তিন প্রার্থীরা। এ ছাড়া জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে শাহীন চাকলাদার তাঁর সমর্থিত প্রার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘দল অনেক দিন ক্ষমতায়, যেকোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে চায়। অনেকে প্রার্থী হয়েছেও। তবে আমরা বলতে চাই, আমরা কাউকে হত্যা করব না, কাউকে মারব না। আমরা জবাব দিব, প্রতিবাদ করব ব্যালটের মাধ্যমে। ওরা বলছে (নাবিল গ্রুপ) চূড়ামনকাটিতে নাকি মুন্নার লোক নেই। ২৯ তারিখে দেখা যাবে কাদের লোক বেশি। শেখ হাসিনা এবার সুযোগ করে দিয়েছে যাচাই বাছাইয়ের। এই সদর উপজেলাতে এই নির্বাচনই সুযোগ করে দিয়েছে কার জনপ্রিয়তা কত। এটা কিন্তু আপনাদের জন্য, আমাদের জন্য জীবনের শেষ লড়াই। নেত্রী অনেক দিন খেলার সুযোগ করে দেয়নি। এবার একটা খেলার সুযোগ পেয়েছি, এই খেলায় এবার আমাকে আপনাদের জিতবে হবে। আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে যেকোনো মূল্যে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ধান কাটা চলছে। কাজ শেষ করে দুপুরে চূড়ামনকাটি বাজার সংলগ্ন স’ মিলের পেছনে একটি মেহগনি বাগানে নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা দলে দলে যোগ দেয়। সমাবেশে আসা লোকজনকে খাওয়ানোর জন্য বাগানে সকাল থেকে রান্নার আয়োজন চলতে থাকে। সেখানে গরু, খাসির মাংস, সবজি এবং ভাত রান্না করা হয়। কয়েকজন বাবুর্চি দিয়ে দুপুর পর্যন্ত রান্না চলে। সভা শেষে ওয়ার্ড ভিত্তিকভাবে সেখানে কয়েক পদ দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘সভায় আসা লোকজন ও ভোটারদের খাওয়ানোর জন্য সাবেক চেয়ারম্যান মুন্না দুপুরে এ আয়োজন করেন। সেখানে এলাকার অনেকেই এসে খেয়েছেন। সেখানে এলাকার নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বাইরে থেকে আসা অতিথি ও স্থানীয় বাসিন্দারা খেয়েছেন।’
অনুষ্ঠানের আয়োজক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত অনুষ্ঠানটি কর্মিসভা। আমাদের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্যানেল পরিচিত সভা। এই সভায় আমাদের ফুল প্যানেল ফন্টু চাকলাদার, সুলতান মাহমুদ বিপুল, জ্যোৎস্না আরা মিলি যাতে বিজয়ী হয় সেই দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের প্রায় ১২ শ’ নেতাকর্মী অংশ নেয়। আলোচনা শেষে এসব নেতা-কর্মীদের খাওয়ার আয়োজন ছিল। ভাত সবজি, ডাল মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদ পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটারদের আকৃষ্ট করতে আইন ভঙ্গ করে এক প্যানেলের প্রার্থীদের ভূরিভোজ করিয়েছেন। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। দলের প্রভাবশালীর ভাই প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাব বিস্তার করতে এসব করছেন। বিষয়টি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেখা উচিত। আমি কাল আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করব।’
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী দলীয় সমাবেশ ও খাবারের আয়োজন, এমনকি টাকাপয়সা বিতরণ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর সিনিয়র নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ ২৯ মে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফন্টু ছাড়াও শাহীন অনুসারীদের মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল। আর নাবিল গ্রুপের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, যুব মহিলা লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ফাতেমা আনোয়ার।
দুই বলয়ের একক প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে অভ্যন্তরীণ ‘বিদ্রোহ’ দেখা দিয়েছে। তাই শীর্ষ দুই নেতার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দুই বলয়ের আরও ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আধিপত্যের লড়াই শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটি দেখার অপেক্ষায় যশোরবাসী।
যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মীকে ভূরিভোজ করিয়েছেন।
সোমবার (৬ মে) বেলা ৩টার দিকে সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি বাজার সংলগ্ন একটি মেহগনি বাগানে এই ভূরিভোজের আয়োজন করেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না। এতে শাহীনের সমর্থিত প্যানেলের তিন প্রার্থীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নেতা–কর্মীদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি শাহীন চাকলাদার।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার রাজনীতি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও অপরটি স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্যের লড়াই শুরু হয়েছে।
শাহীন চেয়ারম্যান পদে তাঁর চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁকে ছাড় দিতে নারাজ যশোর–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনিও একক প্রার্থীর প্যানেল ঘোষণা করেছেন। তাঁর ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মাঠে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।
উপজেলা নির্বাচনে শাহীন প্যানেলে রয়েছেন—চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি।
নাবিলের প্যানেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বাশিনুর রহমান।
দুই প্যানেলে দুই শীর্ষ নেতারা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে এরই মধ্যে শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে সভাসমাবেশ করছেন। তারই অংশ হিসেবে দুপুরে চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান মুন্না কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। বিশেষ অতিথি করা হয় শাহীন সমর্থিত তিন প্রার্থীরা। এ ছাড়া জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে শাহীন চাকলাদার তাঁর সমর্থিত প্রার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘দল অনেক দিন ক্ষমতায়, যেকোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে চায়। অনেকে প্রার্থী হয়েছেও। তবে আমরা বলতে চাই, আমরা কাউকে হত্যা করব না, কাউকে মারব না। আমরা জবাব দিব, প্রতিবাদ করব ব্যালটের মাধ্যমে। ওরা বলছে (নাবিল গ্রুপ) চূড়ামনকাটিতে নাকি মুন্নার লোক নেই। ২৯ তারিখে দেখা যাবে কাদের লোক বেশি। শেখ হাসিনা এবার সুযোগ করে দিয়েছে যাচাই বাছাইয়ের। এই সদর উপজেলাতে এই নির্বাচনই সুযোগ করে দিয়েছে কার জনপ্রিয়তা কত। এটা কিন্তু আপনাদের জন্য, আমাদের জন্য জীবনের শেষ লড়াই। নেত্রী অনেক দিন খেলার সুযোগ করে দেয়নি। এবার একটা খেলার সুযোগ পেয়েছি, এই খেলায় এবার আমাকে আপনাদের জিতবে হবে। আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে যেকোনো মূল্যে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ধান কাটা চলছে। কাজ শেষ করে দুপুরে চূড়ামনকাটি বাজার সংলগ্ন স’ মিলের পেছনে একটি মেহগনি বাগানে নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা দলে দলে যোগ দেয়। সমাবেশে আসা লোকজনকে খাওয়ানোর জন্য বাগানে সকাল থেকে রান্নার আয়োজন চলতে থাকে। সেখানে গরু, খাসির মাংস, সবজি এবং ভাত রান্না করা হয়। কয়েকজন বাবুর্চি দিয়ে দুপুর পর্যন্ত রান্না চলে। সভা শেষে ওয়ার্ড ভিত্তিকভাবে সেখানে কয়েক পদ দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘সভায় আসা লোকজন ও ভোটারদের খাওয়ানোর জন্য সাবেক চেয়ারম্যান মুন্না দুপুরে এ আয়োজন করেন। সেখানে এলাকার অনেকেই এসে খেয়েছেন। সেখানে এলাকার নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বাইরে থেকে আসা অতিথি ও স্থানীয় বাসিন্দারা খেয়েছেন।’
অনুষ্ঠানের আয়োজক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত অনুষ্ঠানটি কর্মিসভা। আমাদের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্যানেল পরিচিত সভা। এই সভায় আমাদের ফুল প্যানেল ফন্টু চাকলাদার, সুলতান মাহমুদ বিপুল, জ্যোৎস্না আরা মিলি যাতে বিজয়ী হয় সেই দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের প্রায় ১২ শ’ নেতাকর্মী অংশ নেয়। আলোচনা শেষে এসব নেতা-কর্মীদের খাওয়ার আয়োজন ছিল। ভাত সবজি, ডাল মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদ পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটারদের আকৃষ্ট করতে আইন ভঙ্গ করে এক প্যানেলের প্রার্থীদের ভূরিভোজ করিয়েছেন। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। দলের প্রভাবশালীর ভাই প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাব বিস্তার করতে এসব করছেন। বিষয়টি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেখা উচিত। আমি কাল আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করব।’
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী দলীয় সমাবেশ ও খাবারের আয়োজন, এমনকি টাকাপয়সা বিতরণ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর সিনিয়র নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ ২৯ মে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফন্টু ছাড়াও শাহীন অনুসারীদের মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল। আর নাবিল গ্রুপের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, যুব মহিলা লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ফাতেমা আনোয়ার।
দুই বলয়ের একক প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে অভ্যন্তরীণ ‘বিদ্রোহ’ দেখা দিয়েছে। তাই শীর্ষ দুই নেতার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দুই বলয়ের আরও ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আধিপত্যের লড়াই শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটি দেখার অপেক্ষায় যশোরবাসী।
অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
২৬ মিনিট আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
১ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগে