খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), রেজিস্ট্রারসহ ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই হাসপাতালটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে রোগীদের।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১৭ জন বহির্বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন।
অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় ওই ৫১ চিকিৎসক আজ বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেননি। এতে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা। বিশেষ করে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।
খুমেক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। এরপর তিনি দুটি কাগজ ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আকতারুজ্জামানের সামনে দিয়ে তাঁকে চাপ ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার হুমকি দিয়ে কাগজ দুটিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। যার একটি ছিল আকতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র ও অন্যটি হলো তিনিসহ ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ চিকিৎসক কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও নন।
এদিকে আজ দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক সাজিদ হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণ–অবাঞ্ছিত কার্যক্রম সঠিক হয়নি। এতে হাসপাতালের শত শত মানুষের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যেসব চিকিৎসক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিরীহ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে বা যারা চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, তাদের সঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে ঢালাওভাবে পদত্যাগ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিএনপি সমর্থন করে না।’
এর আগে সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত অচল হয়ে যায়। বহির্বিভাগে বেশির ভাগ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় দূর–দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ফিরে যায় চিকিৎসা না পেয়ে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরই মধ্যে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আর ৫১ চিকিৎসককেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসাসেবা।
সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা ৪০ পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর কক্ষের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর কক্ষের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর কক্ষের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর কক্ষের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. সুব্রত কুমার মণ্ডল, ২০৩ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর কক্ষের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর কক্ষের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর কক্ষের ডা. নিরুপম মণ্ডল, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর কক্ষের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর কক্ষের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর কক্ষের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর কক্ষের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার কারণে তাঁরা হাসপাতালে আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আন্তবিভাগে রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ‘ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে নির্ধারিত কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।’
প্রায় একই অভিযোগ ছিল আরও অন্তত ১০ জন রোগীর। যারা টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে না পেরে ফিরে গেছে।
এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া তাঁদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সদ্য পদত্যাগে বাধ্য হওয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি গতকাল মঙ্গলবার কনফারেন্স রুমে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে। তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষ হলে কয়েক শ মেডিকেল শিক্ষার্থী এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় বিভিন্ন গালি ও হুমকি দিয়ে জোর করে দুটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি আমার পদত্যাগ অন্যটি ৫১ জন চিকিৎসকের অবাঞ্ছিত ঘোষণা। আসলে সরকারি চাকরি করি কখনো কোনো দল করি নাই। এখন এভাবে লাঞ্ছিত হতে হলে কীভাবে চাকরি করব।’
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, ‘হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের মোট ৫১ জন চিকিৎসককে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাঁদের হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এই ৫১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), রেজিস্ট্রারসহ ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই হাসপাতালটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে রোগীদের।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১৭ জন বহির্বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন।
অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় ওই ৫১ চিকিৎসক আজ বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেননি। এতে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা। বিশেষ করে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।
খুমেক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। এরপর তিনি দুটি কাগজ ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আকতারুজ্জামানের সামনে দিয়ে তাঁকে চাপ ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার হুমকি দিয়ে কাগজ দুটিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। যার একটি ছিল আকতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র ও অন্যটি হলো তিনিসহ ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ চিকিৎসক কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও নন।
এদিকে আজ দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক সাজিদ হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণ–অবাঞ্ছিত কার্যক্রম সঠিক হয়নি। এতে হাসপাতালের শত শত মানুষের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যেসব চিকিৎসক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিরীহ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে বা যারা চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, তাদের সঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে ঢালাওভাবে পদত্যাগ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিএনপি সমর্থন করে না।’
এর আগে সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত অচল হয়ে যায়। বহির্বিভাগে বেশির ভাগ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় দূর–দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ফিরে যায় চিকিৎসা না পেয়ে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরই মধ্যে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আর ৫১ চিকিৎসককেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসাসেবা।
সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা ৪০ পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর কক্ষের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর কক্ষের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর কক্ষের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর কক্ষের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. সুব্রত কুমার মণ্ডল, ২০৩ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর কক্ষের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর কক্ষের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর কক্ষের ডা. নিরুপম মণ্ডল, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর কক্ষের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর কক্ষের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর কক্ষের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর কক্ষের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার কারণে তাঁরা হাসপাতালে আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আন্তবিভাগে রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ‘ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে নির্ধারিত কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।’
প্রায় একই অভিযোগ ছিল আরও অন্তত ১০ জন রোগীর। যারা টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে না পেরে ফিরে গেছে।
এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া তাঁদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সদ্য পদত্যাগে বাধ্য হওয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি গতকাল মঙ্গলবার কনফারেন্স রুমে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে। তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষ হলে কয়েক শ মেডিকেল শিক্ষার্থী এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় বিভিন্ন গালি ও হুমকি দিয়ে জোর করে দুটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি আমার পদত্যাগ অন্যটি ৫১ জন চিকিৎসকের অবাঞ্ছিত ঘোষণা। আসলে সরকারি চাকরি করি কখনো কোনো দল করি নাই। এখন এভাবে লাঞ্ছিত হতে হলে কীভাবে চাকরি করব।’
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, ‘হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের মোট ৫১ জন চিকিৎসককে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাঁদের হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এই ৫১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৯ ঘণ্টা আগে