Ajker Patrika

খুমেকে ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, সেবা ব্যাহত

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ০১
খুমেকে ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, সেবা ব্যাহত

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), রেজিস্ট্রারসহ ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই হাসপাতালটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে রোগীদের।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১৭ জন বহির্বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন।

অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় ওই ৫১ চিকিৎসক আজ বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেননি। এতে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা। বিশেষ করে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।

খুমেক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। এরপর তিনি দুটি কাগজ ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আকতারুজ্জামানের সামনে দিয়ে তাঁকে চাপ ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার হুমকি দিয়ে কাগজ দুটিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। যার একটি ছিল আকতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র ও অন্যটি হলো তিনিসহ ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ চিকিৎসক কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও নন।

এদিকে আজ দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক সাজিদ হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণ–অবাঞ্ছিত কার্যক্রম সঠিক হয়নি। এতে হাসপাতালের শত শত মানুষের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যেসব চিকিৎসক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিরীহ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে বা যারা চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, তাদের সঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে ঢালাওভাবে পদত্যাগ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিএনপি সমর্থন করে না।’

এর আগে সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত অচল হয়ে যায়। বহির্বিভাগে বেশির ভাগ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় দূর–দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ফিরে যায় চিকিৎসা না পেয়ে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরই মধ্যে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আর ৫১ চিকিৎসককেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসাসেবা।

সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা ৪০ পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর কক্ষের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর কক্ষের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর কক্ষের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর কক্ষের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. সুব্রত কুমার মণ্ডল, ২০৩ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর কক্ষের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর কক্ষের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর কক্ষের ডা. নিরুপম মণ্ডল, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর কক্ষের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর কক্ষের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর কক্ষের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর কক্ষের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন।

নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার কারণে তাঁরা হাসপাতালে আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আন্তবিভাগে রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।

বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ‘ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে নির্ধারিত কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।’

প্রায় একই অভিযোগ ছিল আরও অন্তত ১০ জন রোগীর। যারা টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে না পেরে ফিরে গেছে।

এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া তাঁদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সদ্য পদত্যাগে বাধ্য হওয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি গতকাল মঙ্গলবার কনফারেন্স রুমে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে। তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষ হলে কয়েক শ মেডিকেল শিক্ষার্থী এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় বিভিন্ন গালি ও হুমকি দিয়ে জোর করে দুটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি আমার পদত্যাগ অন্যটি ৫১ জন চিকিৎসকের অবাঞ্ছিত ঘোষণা। আসলে সরকারি চাকরি করি কখনো কোনো দল করি নাই। এখন এভাবে লাঞ্ছিত হতে হলে কীভাবে চাকরি করব।’

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, ‘হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের মোট ৫১ জন চিকিৎসককে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাঁদের হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এই ৫১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝালকাঠিতে হাদির গায়েবানা জানাজা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে গায়েবানা জানাজা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে গায়েবানা জানাজা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৬
ভেঙে যাওয়া ভ্যানটি দেখছে এক শিশু। ছবি আজকের পত্রিকা
ভেঙে যাওয়া ভ্যানটি দেখছে এক শিশু। ছবি আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, মা-ভাইসহ আহত ৩

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।

আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।

রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হামলা-ভাঙচুরকারীরা হাদির আদর্শের অনুসারী হতে পারে না: কনকচাঁপা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।

ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’

ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত