আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়িতে মড়ক লেগেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। বছরের শুরুতে মাছে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মড়ক ঠেকাতে ঘেরে পানির গভীরতা বৃদ্ধি, অক্সিজেন ট্যাবলেট দেওয়াসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
বাগদাচাষিরা বলছেন, মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এই মড়ক লাগার ঘটনা ঘটেছে। কারও কারও দাবি, কক্সবাজার থেকে নিয়ে আসা রেণু ভাইরাসমুক্ত না হওয়ায় মাছ মারা যাচ্ছে। আবার লোনাপানির সংকটের কথাও উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এই অঞ্চলে ৫৫ হাজার ঘেরে বাগদা চিংড়ির চাষ হয়, আয়তনে যার পরিমাণ ৬৭ হাজার হেক্টর। গত বছর ২৮ হাজার টন বাগদা উৎপাদন হয়েছিল। এবার ৩০ হাজার টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে মৎস্য বিভাগের।
গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকায় বাগদাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মৌসুমে বাগদার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে ছিলেন চাষিরা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে তাঁরা আশা নিয়ে ঘেরে বাগদার রেণু ছেড়েছেন। কিন্তু দুই দফায় রেণু ছাড়ার পরে মাছ একটু বড় হতে না হতেই মারা যাচ্ছে। জাল টানলেই উঠছে মরা বাগদা চিংড়ি। দুই সপ্তাহ ধরে এই অবস্থা চলছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
এল্লারচর এলাকার ঘেরমালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রথম সমস্যা হলো কক্সবাজার থেকে আসা চিংড়ির রেণু স্থানীয় পানির সঙ্গে খাপ খায় না। দ্বিতীয় সমস্যা হলো এখানে লোনাপানি ঠিকমতো পাওয়া যায় না।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বহু কোটি টাকা দিয়ে মরিচ্চাপ নদ খনন করা হয়েছে। তবে সেটি শুধু খোলপেটুয়ার সঙ্গে সংযুক্ত। সাতক্ষীরার দিকে এসে আটকে গেছে।
জোয়ারভাটা হয় না। ফলে আমরা পানি পাই না। সাত-আট বছরের আবদ্ধ পানি ঘেরে রাখতে হয়। ওই পানিতে মাছ ফুটলে, পরে নোনা পানি দিলেই মাছ মারা যায়।’
এল্লারচর এলাকার আরেক চাষি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার ১৩ বিঘা জমিতে ঘের আছে। খরচ রয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে বছরে ন্যূনতম ১০-১২ লাখ টাকা বেচাকেনা করতে হবে। কিন্তু অত টাকা আমরা তুলতে পারছি না। প্রতিবছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে তাপপ্রবাহের কারণে বাগদা মাছ মরে উজাড় হয়ে যাচ্ছে।’
আশাশুনির গুনাকরকাটি এলাকার আলিমুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে আসা বাগদা রেণু সাতক্ষীরার পানির লবণাক্ততার সঙ্গে খাপ খায় না। এ ছাড়া বাগদা রেণুর ভাইরাস পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার অভাবে আমরা রেণুর ভাইরাস শনাক্ত করাতে পারি না।’
জেলা চিংড়িচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় চিংড়ি শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখে তা নয়, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় এই খাত থেকে। কিন্তু বিভিন্নভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
আবুল কালাম বাবলা আরও বলেন, ‘এখন ভরা মৌসুম। মাছ মারা যাচ্ছে। পানিস্বল্পতার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে। নদী-খাল কিছু খনন করা হয়েছে। কিন্তু আন্তসংযোগের অভাবে অধিকাংশ মালিকই ঘেরে পানি পাচ্ছেন না।’ বাগদা রেণুর চাহিদা মেটাতে জেলায় বাগদা চিংড়ির হ্যাচারি স্থাপন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
গত ২১ বছরের মধ্যে সম্প্রতি সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া কার্যালয়। বাগদা চিংড়ির মড়ক ঠেকাতে ঘেরে পানির
গভীরতা বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘চাষিদের প্রতি পরামর্শ হলো, ঘেরে চার-পাঁচ ফুট পানি রাখতে হবে। ভোরে বা রাতে অক্সিজেন ট্যাবলেট দিতে হবে। মাছের খাবার কম দিতে হবে। আর পারলে ঘেরের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে দুপুরের দিকে বাগদা সেখানে গিয়ে থাকতে পারে।’
সাতক্ষীরায় সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়িতে মড়ক লেগেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। বছরের শুরুতে মাছে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মড়ক ঠেকাতে ঘেরে পানির গভীরতা বৃদ্ধি, অক্সিজেন ট্যাবলেট দেওয়াসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
বাগদাচাষিরা বলছেন, মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এই মড়ক লাগার ঘটনা ঘটেছে। কারও কারও দাবি, কক্সবাজার থেকে নিয়ে আসা রেণু ভাইরাসমুক্ত না হওয়ায় মাছ মারা যাচ্ছে। আবার লোনাপানির সংকটের কথাও উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এই অঞ্চলে ৫৫ হাজার ঘেরে বাগদা চিংড়ির চাষ হয়, আয়তনে যার পরিমাণ ৬৭ হাজার হেক্টর। গত বছর ২৮ হাজার টন বাগদা উৎপাদন হয়েছিল। এবার ৩০ হাজার টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে মৎস্য বিভাগের।
গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকায় বাগদাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মৌসুমে বাগদার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে ছিলেন চাষিরা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে তাঁরা আশা নিয়ে ঘেরে বাগদার রেণু ছেড়েছেন। কিন্তু দুই দফায় রেণু ছাড়ার পরে মাছ একটু বড় হতে না হতেই মারা যাচ্ছে। জাল টানলেই উঠছে মরা বাগদা চিংড়ি। দুই সপ্তাহ ধরে এই অবস্থা চলছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
এল্লারচর এলাকার ঘেরমালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রথম সমস্যা হলো কক্সবাজার থেকে আসা চিংড়ির রেণু স্থানীয় পানির সঙ্গে খাপ খায় না। দ্বিতীয় সমস্যা হলো এখানে লোনাপানি ঠিকমতো পাওয়া যায় না।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বহু কোটি টাকা দিয়ে মরিচ্চাপ নদ খনন করা হয়েছে। তবে সেটি শুধু খোলপেটুয়ার সঙ্গে সংযুক্ত। সাতক্ষীরার দিকে এসে আটকে গেছে।
জোয়ারভাটা হয় না। ফলে আমরা পানি পাই না। সাত-আট বছরের আবদ্ধ পানি ঘেরে রাখতে হয়। ওই পানিতে মাছ ফুটলে, পরে নোনা পানি দিলেই মাছ মারা যায়।’
এল্লারচর এলাকার আরেক চাষি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার ১৩ বিঘা জমিতে ঘের আছে। খরচ রয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে বছরে ন্যূনতম ১০-১২ লাখ টাকা বেচাকেনা করতে হবে। কিন্তু অত টাকা আমরা তুলতে পারছি না। প্রতিবছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে তাপপ্রবাহের কারণে বাগদা মাছ মরে উজাড় হয়ে যাচ্ছে।’
আশাশুনির গুনাকরকাটি এলাকার আলিমুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে আসা বাগদা রেণু সাতক্ষীরার পানির লবণাক্ততার সঙ্গে খাপ খায় না। এ ছাড়া বাগদা রেণুর ভাইরাস পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার অভাবে আমরা রেণুর ভাইরাস শনাক্ত করাতে পারি না।’
জেলা চিংড়িচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় চিংড়ি শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখে তা নয়, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় এই খাত থেকে। কিন্তু বিভিন্নভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
আবুল কালাম বাবলা আরও বলেন, ‘এখন ভরা মৌসুম। মাছ মারা যাচ্ছে। পানিস্বল্পতার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে। নদী-খাল কিছু খনন করা হয়েছে। কিন্তু আন্তসংযোগের অভাবে অধিকাংশ মালিকই ঘেরে পানি পাচ্ছেন না।’ বাগদা রেণুর চাহিদা মেটাতে জেলায় বাগদা চিংড়ির হ্যাচারি স্থাপন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
গত ২১ বছরের মধ্যে সম্প্রতি সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া কার্যালয়। বাগদা চিংড়ির মড়ক ঠেকাতে ঘেরে পানির
গভীরতা বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘চাষিদের প্রতি পরামর্শ হলো, ঘেরে চার-পাঁচ ফুট পানি রাখতে হবে। ভোরে বা রাতে অক্সিজেন ট্যাবলেট দিতে হবে। মাছের খাবার কম দিতে হবে। আর পারলে ঘেরের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে দুপুরের দিকে বাগদা সেখানে গিয়ে থাকতে পারে।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে