প্রতিনিধি, যশোর
‘আমার সামনেই অর্ধশতাধিক রোগী মারা গেছেন। তাঁদের অনেককেই ছটফট করতে করতে মারা যেতে দেখেছি। কিন্তু আমাদের হাতে কিছুই করার ছিল না।’ এমনটিই বলছিলেন যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের ওয়ার্ড ইনচার্জ হাসিয়া খাতুন।
হাসিয়া খাতুন অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই বলছিলেন, ‘এর আগেও অনেক মৃত্যু দেখেছি। অনেক যন্ত্রণাকাতর মানুষকে সেবা দিয়েছি। কিন্তু ১৮ বছরের কর্মজীবনে এত লাশের সারি আর দেখিনি। যেন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন একেকজন। চাকরিজীবনে এর আগে কখনো এতটা অসহায় বোধ করিনি।’
যশোর সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর শুরু থেকেই দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন জ্যেষ্ঠ এই সেবিকা হাসিয়া খাতুন। গত রোববার পর্যন্ত ওই দুটি ওয়ার্ডে মোট ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তিনি জানান, দায়িত্ব পালনকালে এক দিনে সর্বোচ্চ চারজনের মৃত্যু দেখেছেন তিনি। এ সময়ে নানা প্রতিকূলতারও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। উপেক্ষা করতে হয়েছে প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানি। চাকরিচ্যুত হওয়ার হুমকিও পেয়েছেন তিনি।
হাসিয়া খাতুন বলেন, ৫ জুলাই হিরো গাজী নামের একজন করোনা রোগীকে রেড জোনে আনা হয়। এ সময় তাঁর অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রভাবশালী এক নেতার স্বজনেরা অক্সিজেন দিতে চাচ্ছিলেন না। অথচ সে সময় তাঁদের রোগীর অক্সিজেনের কোনো দরকার ছিল না। তারপরও তাঁরা জোর করে সেটি দখলে রাখেন। কিন্তু হিরো গাজীর অবস্থা বেগতিক হওয়ায় একপ্রকার যুদ্ধ করেই তাঁকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়েছে আমাকে। এ সময় প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির স্বজনেরা আমাকে বিভিন্নভাবে শাসিয়ে যান। চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয় আমাকে। এমন ঘটনা নিত্য দিনের।’
এই ফ্রন্ট লাইনার জানান, দুটি ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের ৭১টি পয়েন্ট আছে। অথচ বর্তমানে সেখানে শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব রোগীর সবারই অক্সিজেন প্রয়োজন। অতিরিক্ত যাঁরা আছেন, অনেক সময়ই তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় সেটি দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। তখন রোগীদের ছটফটানি সহ্য করা যায় না। আবার অনেক সময় সিলিন্ডার রিফিল করতে পাঠানো হয়। তখনো কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় রোগীদের কষ্ট দেখে খুবই খারাপ লাগে।
হাসিয়া খাতুন আরও বলেন, ‘গত বছরের জুন মাসে স্বামী-সন্তানসহ আমার পরিবারের ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখনো আমি টিকা নিইনি। কিন্তু পরিবারের আক্রান্ত সবাইকে সে সময় সেবা দিয়েছি। সেটিই ছিল আমার অনুপ্রেরণার মূল উৎস।’ তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে আমার তিন সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তখন একটু খারাপ লাগলেও দমে যাইনি কেউ; বরং রোগীদের অসহায়ত্ব, কষ্ট আমাদের কাজে আরও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
জ্যেষ্ঠ এই সেবিকা বলেন, ‘আমরা করোনা যুদ্ধে জিততে চাই। তবে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যেমন আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, তেমনি রোগী, বিশেষ করে তাঁদের স্বজনকে আরও ধৈর্যশীল হতে হবে। কারণ রোগীর প্রয়োজনটি আমরা বুঝি, চিকিৎসকেরা বোঝেন। তাঁদের পরামর্শ নিয়েই আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা কখনোই চাই না একজন রোগী মারা যাক; বরং আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে, সুস্থ করে তাদের দ্রুত ছুটি দেওয়ার; যাতে অন্য আরেকজন মুমূর্ষু রোগী সেবা পান।
‘আমার সামনেই অর্ধশতাধিক রোগী মারা গেছেন। তাঁদের অনেককেই ছটফট করতে করতে মারা যেতে দেখেছি। কিন্তু আমাদের হাতে কিছুই করার ছিল না।’ এমনটিই বলছিলেন যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের ওয়ার্ড ইনচার্জ হাসিয়া খাতুন।
হাসিয়া খাতুন অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই বলছিলেন, ‘এর আগেও অনেক মৃত্যু দেখেছি। অনেক যন্ত্রণাকাতর মানুষকে সেবা দিয়েছি। কিন্তু ১৮ বছরের কর্মজীবনে এত লাশের সারি আর দেখিনি। যেন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন একেকজন। চাকরিজীবনে এর আগে কখনো এতটা অসহায় বোধ করিনি।’
যশোর সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর শুরু থেকেই দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন জ্যেষ্ঠ এই সেবিকা হাসিয়া খাতুন। গত রোববার পর্যন্ত ওই দুটি ওয়ার্ডে মোট ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তিনি জানান, দায়িত্ব পালনকালে এক দিনে সর্বোচ্চ চারজনের মৃত্যু দেখেছেন তিনি। এ সময়ে নানা প্রতিকূলতারও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। উপেক্ষা করতে হয়েছে প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানি। চাকরিচ্যুত হওয়ার হুমকিও পেয়েছেন তিনি।
হাসিয়া খাতুন বলেন, ৫ জুলাই হিরো গাজী নামের একজন করোনা রোগীকে রেড জোনে আনা হয়। এ সময় তাঁর অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রভাবশালী এক নেতার স্বজনেরা অক্সিজেন দিতে চাচ্ছিলেন না। অথচ সে সময় তাঁদের রোগীর অক্সিজেনের কোনো দরকার ছিল না। তারপরও তাঁরা জোর করে সেটি দখলে রাখেন। কিন্তু হিরো গাজীর অবস্থা বেগতিক হওয়ায় একপ্রকার যুদ্ধ করেই তাঁকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়েছে আমাকে। এ সময় প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির স্বজনেরা আমাকে বিভিন্নভাবে শাসিয়ে যান। চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয় আমাকে। এমন ঘটনা নিত্য দিনের।’
এই ফ্রন্ট লাইনার জানান, দুটি ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের ৭১টি পয়েন্ট আছে। অথচ বর্তমানে সেখানে শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব রোগীর সবারই অক্সিজেন প্রয়োজন। অতিরিক্ত যাঁরা আছেন, অনেক সময়ই তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় সেটি দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। তখন রোগীদের ছটফটানি সহ্য করা যায় না। আবার অনেক সময় সিলিন্ডার রিফিল করতে পাঠানো হয়। তখনো কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় রোগীদের কষ্ট দেখে খুবই খারাপ লাগে।
হাসিয়া খাতুন আরও বলেন, ‘গত বছরের জুন মাসে স্বামী-সন্তানসহ আমার পরিবারের ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখনো আমি টিকা নিইনি। কিন্তু পরিবারের আক্রান্ত সবাইকে সে সময় সেবা দিয়েছি। সেটিই ছিল আমার অনুপ্রেরণার মূল উৎস।’ তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে আমার তিন সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তখন একটু খারাপ লাগলেও দমে যাইনি কেউ; বরং রোগীদের অসহায়ত্ব, কষ্ট আমাদের কাজে আরও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
জ্যেষ্ঠ এই সেবিকা বলেন, ‘আমরা করোনা যুদ্ধে জিততে চাই। তবে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যেমন আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, তেমনি রোগী, বিশেষ করে তাঁদের স্বজনকে আরও ধৈর্যশীল হতে হবে। কারণ রোগীর প্রয়োজনটি আমরা বুঝি, চিকিৎসকেরা বোঝেন। তাঁদের পরামর্শ নিয়েই আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা কখনোই চাই না একজন রোগী মারা যাক; বরং আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে, সুস্থ করে তাদের দ্রুত ছুটি দেওয়ার; যাতে অন্য আরেকজন মুমূর্ষু রোগী সেবা পান।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে