Ajker Patrika

মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ের জায়গা দখল করে পুকুর খনন

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ের জায়গা দখল করে পুকুর খনন

যশোরের মনিরামপুরের মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ের জায়গা দখল করে পুকুর খনন করা হয়েছে। উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী কঙ্কণ কুণ্ডু বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মুক্তেশ্বরী নদীর প্রায় এক বিঘা জমি দখলে নিয়ে সম্প্রতি পুকুরটি কেটেছেন। কঙ্কণ কুণ্ডুর যশোর শহরে খাবার হোটেলের ব্যবসা রয়েছে। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁকে এই কাজে বাধা দিতে সাহস করেনি।

সরেজমিন দেখা গেছে, মুক্তেশ্বরী নদী যশোর সদর উপজেলার সুতিঘাটা হয়ে মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন দিয়ে ঢুকে হরিদাসকাটি ও কুলটিয়া ইউনিয়ন হয়ে টেকা নদীতে মিশেছে। ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের মুক্তেশ্বরীর পূর্বপাড়ে কুণ্ডুপাড়া। ওই পাড়ায় নিজেদের বাড়ির সীমানা ঘেঁষা মুক্তেশ্বরী নদী। নদীর প্রায় এক বিঘা জমিজুড়ে মাছ চাষের জন্য সম্প্রতি পুকুর খনন করেছেন কুণ্ডুপাড়ার কল্যাণ কুণ্ডুর ছেলে কঙ্কণ কুণ্ডু।

কঙ্কণ কুণ্ডু বাড়িতে বড় জায়গাজুড়ে ‘ঘাসফড়িং এগ্রো’ নামে মুরগির খামার করেছেন। এস্কেভেটর দিয়ে মুক্তেশ্বরী নদীতে পুকুর কেটে সেই মাটি এনে খামারের ভেতরের গর্ত ভরাট করেছেন। মুরগির খামারের পাশাপাশি নদীতে কাটা পুকুরে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, ‘ঢাকুরিয়া অঞ্চলে এর আগে কেউ মুক্তেশ্বরী দখল করতে সাহস করেননি। কঙ্কণ কুণ্ডু প্রকাশ্যে নদীতে এস্কেভেটর লাগিয়ে বিনা বাধায় দুই-তিন দিনের মধ্যে পুকুর খনন করে ফেললেন। এখন এলাকার প্রভাবশালী অনেকেই হয়তো নদীতে পুকুর কাটার চেষ্টা করবে।’

ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তেশ্বরী নদীতে কঙ্কণ কুণ্ডুর পুকুর খননের বিষয়টি আগে জানতে পারিনি। নদীর মাটি খামারে ফেলার পর কয়েক দিন আগে সেই মাটিতে পাথরের মূর্তি পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা গেলে নদী দখলের বিষয়টি নজরে এসেছে।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা, তিনি সেখানে নিজেদের জমির পাশাপাশি পুকুরে নদীর ২০ শতাংশ জায়গা দখলে নিয়েছেন। আমি এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’

নদীর মাটিতে ভরাট করা ঘাসফড়িং এগ্রো। ছবি: আজকের পত্রিকাকঙ্কণ বিশ্বাস বলেন, ‘মুরগির খামারে মাটি দেওয়ার জন্য আমাদের জমিতে একটি পুকুর করেছি। পুকুরের পশ্চিম পাড় হয়তো নদীর ভেতরে পড়তে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৫ দিন ভারতে প্রশিক্ষণে ছিলাম। ফিরে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত