সড়কের পাশে পড়ে ছিল নিখোঁজ যুবকের বস্তাবন্দী মরদেহ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ৫৪
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ২৮

ঝিনাইদহে সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের ধোপাঘাটা পুরোনো ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। 

ওই যুবকের নাম অমিত সাহা (৩৫)। তিনি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের কচাতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, সকালে পথচারীরা রাস্তার পাশে অর্ধগলিত একটি বস্তাবন্দী মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যার কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ। 

এদিকে নিহতের স্ত্রী তৃষা নন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী অমিত সাহা ডিসি অফিসসংলগ্ন এলাকায় একটা খাবারের ক্যানটিনের ব্যবসা করত। সেই সূত্রে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার রাজনুর হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া তৈরি হয়। এরই মধ্যে অমিতের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু টাকা দেনা হয়ে যায়। এটা শোধ করতে পারছিল না সে। কিন্তু রাজনুর তার দেনার টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে রাজনু আমাকে নানাভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। ফোনে মেসেজও দিত। এটা আমার স্বামীকে জানালে সে ব্যবসা ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার কথা জানায়। তখন রাজনু আপাতত আমাদের সমস্ত খরচ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রামে যেতে নিষেধ করে।

তৃষা নন্দী আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট বিকেলের দিকে রাজনু আমাদের বাসায় এসে অমিতকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেই। আজকে সকালে তাঁর লাশ পেলাম আমরা। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’ 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজনুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত