দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি ৪০ কিশোর-কিশোরী

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ২১: ০৯

ভারতে বিভিন্ন সময় পাচার হওয়া বাংলাদেশি ৪০ কিশোর-কিশোরীকে ৭ বছর পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। 

আইনি সহায়তা দিতে বাংলাদেশি ৩টি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) তাদের গ্রহণ করেছে। ফেরত আসা কিশোরদের একনজর দেখতে সীমান্তে ভিড় করেন স্বজনেরা। সন্তানদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। ফেরত আসাদের বাড়ি যশোর, নড়াইল, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, ঢাকা, সিলেট ও কক্সবাজারসহ জেলার বিভিন্ন জেলায়। 

জানা যায়, ভালো কাজের প্রলোভনে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে ভারতে পাচার হয় অনেক বাংলাদেশি। আজ পাচারের শিকার এমন ৪০ জন দেশে ফেরে। সাত বছর আগে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে এদের ভারতে পাচার করা হয়েছিল। দালালের আস্তানায় অন্ধকার জীবনে কাটে বছরের পর বছর। কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময়, কেউ দালালের হাতে প্রতারিত হয়ে আবার কেউ জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় ধরা দেয় পুলিশের হাতে। পরে আদালত থেকে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের জিম্মায় রাখে। সেখান থেকে তথ্য যাচাইয়ের পর দুই দেশের সহযোগিতা নিয়ে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপহাইকমিশন তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা করে। 

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ফেরত আসা শিশুদের মধ্যে যাদের অভিভাবক এসেছের তাদের অভিভাবকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের আইনি সহায়তায় এনজিওর হাতে তুলে দেওয়া হবে। 

এনজিও সংস্থ্যা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারিদের সনাক্ত করে আইনীসহয়তা চায় দেওয়া হবে। 

ভারতীয় এনজিও কর্মকর্তা অরুনিমা দাশু বলেন, ফেরত আসা শিশুদের আইনী সহয়তা দিতে মানবাধিকার সংস্থ্যা জাস্টিস এন্ড কেয়ার ১৮ জন ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ জন ও রাইটস যশোর ১৫ জন শিশুকে গ্রহণ করেছে। শিশুদের স্বদেশ প্রত্যাবাসে সহযোগিতা করতে পারায় আনন্দিত। সহযোগিতার জন্য দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ। 

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব শেখ মারেফাত তারেকুল ইসলাম বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে ৪০ কিশোর-কিশোরীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে। দুই দেশের সরকারের সহযোগীতায় এটা সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত