খুবি প্রতিনিধি
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘মেধাভিত্তিক চাকরি চাই, প্রতিবন্ধী ছাড়া কোটা নাই’; ‘কোটা বাতিল করো, ন্যায়বিচার আনো’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না,’ ‘মেরুদণ্ড সোজা করো, মেধা দিয়ে চাকরি ধরো,’ ’আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার,’ ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান,’ ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা চাকরি পাক’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আজ শুক্রবার (৭ জুন) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা সংস্কারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, কিন্তু এই রায়ে অসন্তুষ্ট আমরা। অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা না হয়, তাহলে আইন ও রাজপথ উভয় দিকেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এটার সমাধান না হলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা পরবর্তীতে বড় পদক্ষেপ নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমরা তো কোনো দোষ করিনি। শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ চেয়েছি। কোটা পদ্ধতি পুনরায় চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। যেটি আমাদের জন্য কষ্টের। কারণ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরির সুযোগ হারাতে হবে।’
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা সংস্কার চাই। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। তাই বলে তাঁদের অর্জনের ফল কেন তাঁদের সন্তান ও নাতি–পুতিরা/// ভোগ করবে। দেশের ছাত্রসমাজ এটা কোনোভাবেই মানবে না।’
মানববন্ধন থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই কোটা প্রথা অবিলম্বে বাতিল না হলে আবারও ২০১৮ সালের চেয়ে আরও ভয়ংকর আন্দোলনে রূপ নিবে।’
উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকবে বলে জানান আইনজীবীরা।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘মেধাভিত্তিক চাকরি চাই, প্রতিবন্ধী ছাড়া কোটা নাই’; ‘কোটা বাতিল করো, ন্যায়বিচার আনো’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না,’ ‘মেরুদণ্ড সোজা করো, মেধা দিয়ে চাকরি ধরো,’ ’আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার,’ ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান,’ ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা চাকরি পাক’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আজ শুক্রবার (৭ জুন) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা সংস্কারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, কিন্তু এই রায়ে অসন্তুষ্ট আমরা। অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা না হয়, তাহলে আইন ও রাজপথ উভয় দিকেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এটার সমাধান না হলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা পরবর্তীতে বড় পদক্ষেপ নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমরা তো কোনো দোষ করিনি। শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ চেয়েছি। কোটা পদ্ধতি পুনরায় চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। যেটি আমাদের জন্য কষ্টের। কারণ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরির সুযোগ হারাতে হবে।’
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা সংস্কার চাই। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। তাই বলে তাঁদের অর্জনের ফল কেন তাঁদের সন্তান ও নাতি–পুতিরা/// ভোগ করবে। দেশের ছাত্রসমাজ এটা কোনোভাবেই মানবে না।’
মানববন্ধন থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই কোটা প্রথা অবিলম্বে বাতিল না হলে আবারও ২০১৮ সালের চেয়ে আরও ভয়ংকর আন্দোলনে রূপ নিবে।’
উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকবে বলে জানান আইনজীবীরা।
আজ রোববার ভোর ৬টায় ও ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
২ ঘণ্টা আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
২ ঘণ্টা আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৯ ঘণ্টা আগে