কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
অপরাধ চক্র, চাঁদাবাজি, প্রেমঘটিত বিষয় ও বাবার কনস্ট্রাকশন ব্যবসা—এই চারটি বিষয়কে সামনে রেখে অর্ণব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুলনায় আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অর্ণব হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশের ধারণা চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে। হত্যার পর অর্ণবের বন্ধু রাব্বানীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আত্মগোপনে। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব কুমার সরকারকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
চার বিষয় সামনে রেখে তদন্ত
অর্ণব হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, রহস্য উদ্ঘাটনে ৪টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে—চাঁদাবাজি, প্রেমঘটিত বিষয়, বাবার কনস্ট্রাকশন ব্যবসা ও অর্ণব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য কিনা। এই চারটি বিষয়ে প্রাথমিক কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, হত্যাকাণ্ডের মোটিফ বুঝতে রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময়ে তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত সামনের দিকে নিয়ে যাবে পুলিশ।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনেকগুলো ডালপালা বের হয়। কিন্তু কেউ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে না। অনেকে বলেছেন, অর্ণব খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ‘বি কোম্পানি’র সদস্য। কেউ বলছেন, অর্ণব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আবার তাঁর বাবার ব্যবসা কেন্দ্রিক বিরোধ নিয়ে তথ্য দিচ্ছেন। তা ছাড়া প্রেমঘটিত বিষয়টিও সামনে আসছে। ফলে এখনই ঘটনার নেপথ্য কারণ বলা সম্ভব নয়।
বাড়ি থেকে একজন যুবক অর্ণবকে ডেকে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে নিয়ে যায় বলে শোনা যাচ্ছে। সে সম্পর্কে মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, এমন তথ্য আমরা শুনেছি, এটারও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে অর্ণব কেন তেঁতুলতলা মোড়ে এসেছিলেন তা কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।
হত্যাকারীদের সঙ্গে অর্ণবের সখ্য ছিল
এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড় এলাকা ঘুরে একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সংস্থা ও সূত্র জানায়, একটি বিষয় বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসছে। সেটি হলো, হত্যাকারীদের সঙ্গে অর্ণবের সখ্য ছিল। তারা একটি স্থানে চাঁদাবাজি করেছিল। যেটির সম্পূর্ণ টাকা অর্ণব আত্মসাৎ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এটির মীমাংসা করার জন্য তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়। তর্ক–বিতর্কের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে প্রথমে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। সাতজন এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। তাদের প্রত্যেকের মুখ মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল। একজনের হাতে শটগান ও বাকিদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। শটগান হাতে থাকা ব্যক্তি অর্ণবকে লক্ষ্য করে একটি ও পিস্তল দিয়ে পরপর ৩টি গুলি করে। অন্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। হত্যাকারীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোটরসাইকেলে চড়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে হারিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, পুলিশের কাছে আসা প্রাথমিক তথ্য বলছে, এ হত্যাকাণ্ডে প্রথমে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে আসে সন্ত্রাসীরা। এরপর আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। আমরা ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলো দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন পথচারী বলেন, অর্ণব রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন তাদের ঘিরে ফেলে। তখন অর্ণব তাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আমি এর সঙ্গে জড়িত নই’। এ কথা বলার পর একজন বলে, ‘তুই তো ওই গ্রুপের সদস্য’। এ কথা বলামাত্র শটগান দিয়ে গুলি করে ওই ব্যক্তি। আশপাশের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে পরপর আরও তিন রাউন্ড গুলি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে শটগানের একটি ও পিস্তলের তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ–পুলিশ কমিশনার খুলনায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে বলেন, এত দিন সন্ত্রাসীদের ওপর আমরা নজর রাখতাম। কিন্তু এখন তারা আমাদের গতিবিধি নজরে আনছে। তাদের দমনে হোন্ডা বাহিনী, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই অপরাধ কমে যাবে।
অর্ণবের সঙ্গে সন্ত্রাসী কানেকশন
একাধিক সূত্র জানায়, অর্ণব ছিলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ‘বি কোম্পানি’র গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এই গ্রুপের সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। চাঁদাবাজির অর্থ ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে অর্ণবসহ অন্যরা পলাশ গ্রুপের টার্গেটে ছিল। শুক্রবার রাতে অর্ণবের সঙ্গে ‘বি কোম্পানি’র আরও তিন সদস্য তেঁতুলতলা মোড়ে উপস্থিত ছিল। প্রতিপক্ষ হামলা করার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
হত্যায় জড়িত ৫ জন
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যা মিশন সফল করে ৫ জন সন্ত্রাসী। এর মধ্যে কালা লাভলু শটগান দিয়ে প্রথমে মাথায় গুলি করে। এ ছাড়া সহযোগী সাইদুল, আসিফ ওরফে ট্যাপা আসিফ, দেলো ও ইনসান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করে। সূত্রটি আরও জানায়, ট্যাপা আসিফ কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া চিংড়ি পলাশের ভাই।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অর্ণব হত্যার ঘটনায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের মরদেহ বেলা পৌনে ১টায় প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গল্লামারী শ্মশানঘাটে নিয়ে সৎকার করা হয়েছে।
অপরাধ চক্র, চাঁদাবাজি, প্রেমঘটিত বিষয় ও বাবার কনস্ট্রাকশন ব্যবসা—এই চারটি বিষয়কে সামনে রেখে অর্ণব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুলনায় আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অর্ণব হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশের ধারণা চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে। হত্যার পর অর্ণবের বন্ধু রাব্বানীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আত্মগোপনে। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব কুমার সরকারকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
চার বিষয় সামনে রেখে তদন্ত
অর্ণব হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, রহস্য উদ্ঘাটনে ৪টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে—চাঁদাবাজি, প্রেমঘটিত বিষয়, বাবার কনস্ট্রাকশন ব্যবসা ও অর্ণব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য কিনা। এই চারটি বিষয়ে প্রাথমিক কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, হত্যাকাণ্ডের মোটিফ বুঝতে রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময়ে তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত সামনের দিকে নিয়ে যাবে পুলিশ।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনেকগুলো ডালপালা বের হয়। কিন্তু কেউ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে না। অনেকে বলেছেন, অর্ণব খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ‘বি কোম্পানি’র সদস্য। কেউ বলছেন, অর্ণব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আবার তাঁর বাবার ব্যবসা কেন্দ্রিক বিরোধ নিয়ে তথ্য দিচ্ছেন। তা ছাড়া প্রেমঘটিত বিষয়টিও সামনে আসছে। ফলে এখনই ঘটনার নেপথ্য কারণ বলা সম্ভব নয়।
বাড়ি থেকে একজন যুবক অর্ণবকে ডেকে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে নিয়ে যায় বলে শোনা যাচ্ছে। সে সম্পর্কে মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, এমন তথ্য আমরা শুনেছি, এটারও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে অর্ণব কেন তেঁতুলতলা মোড়ে এসেছিলেন তা কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।
হত্যাকারীদের সঙ্গে অর্ণবের সখ্য ছিল
এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড় এলাকা ঘুরে একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সংস্থা ও সূত্র জানায়, একটি বিষয় বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসছে। সেটি হলো, হত্যাকারীদের সঙ্গে অর্ণবের সখ্য ছিল। তারা একটি স্থানে চাঁদাবাজি করেছিল। যেটির সম্পূর্ণ টাকা অর্ণব আত্মসাৎ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এটির মীমাংসা করার জন্য তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়। তর্ক–বিতর্কের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে প্রথমে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। সাতজন এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। তাদের প্রত্যেকের মুখ মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল। একজনের হাতে শটগান ও বাকিদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। শটগান হাতে থাকা ব্যক্তি অর্ণবকে লক্ষ্য করে একটি ও পিস্তল দিয়ে পরপর ৩টি গুলি করে। অন্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। হত্যাকারীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোটরসাইকেলে চড়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে হারিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, পুলিশের কাছে আসা প্রাথমিক তথ্য বলছে, এ হত্যাকাণ্ডে প্রথমে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে আসে সন্ত্রাসীরা। এরপর আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। আমরা ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলো দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন পথচারী বলেন, অর্ণব রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন তাদের ঘিরে ফেলে। তখন অর্ণব তাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আমি এর সঙ্গে জড়িত নই’। এ কথা বলার পর একজন বলে, ‘তুই তো ওই গ্রুপের সদস্য’। এ কথা বলামাত্র শটগান দিয়ে গুলি করে ওই ব্যক্তি। আশপাশের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে পরপর আরও তিন রাউন্ড গুলি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে শটগানের একটি ও পিস্তলের তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ–পুলিশ কমিশনার খুলনায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে বলেন, এত দিন সন্ত্রাসীদের ওপর আমরা নজর রাখতাম। কিন্তু এখন তারা আমাদের গতিবিধি নজরে আনছে। তাদের দমনে হোন্ডা বাহিনী, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই অপরাধ কমে যাবে।
অর্ণবের সঙ্গে সন্ত্রাসী কানেকশন
একাধিক সূত্র জানায়, অর্ণব ছিলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ‘বি কোম্পানি’র গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এই গ্রুপের সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। চাঁদাবাজির অর্থ ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে অর্ণবসহ অন্যরা পলাশ গ্রুপের টার্গেটে ছিল। শুক্রবার রাতে অর্ণবের সঙ্গে ‘বি কোম্পানি’র আরও তিন সদস্য তেঁতুলতলা মোড়ে উপস্থিত ছিল। প্রতিপক্ষ হামলা করার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
হত্যায় জড়িত ৫ জন
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যা মিশন সফল করে ৫ জন সন্ত্রাসী। এর মধ্যে কালা লাভলু শটগান দিয়ে প্রথমে মাথায় গুলি করে। এ ছাড়া সহযোগী সাইদুল, আসিফ ওরফে ট্যাপা আসিফ, দেলো ও ইনসান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করে। সূত্রটি আরও জানায়, ট্যাপা আসিফ কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া চিংড়ি পলাশের ভাই।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অর্ণব হত্যার ঘটনায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের মরদেহ বেলা পৌনে ১টায় প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গল্লামারী শ্মশানঘাটে নিয়ে সৎকার করা হয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার পুলিশ রাতে টহলরত অবস্থায় অস্ত্রসহ চার ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে সাদুল্লাপুর পাগলার মাজারের কাছ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১১ মিনিট আগেসাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলায় সাগর-রুনির বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্রকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২ মার্চ) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হকের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
১৪ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের পরীক্ষার হল থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
২৪ মিনিট আগেরাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ এলাকা থেকে পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার দুজন আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে তারা
২৬ মিনিট আগে