Ajker Patrika

গোবর থেকে প্রতি মাসে আয় লাখ টাকা 

রাশিদুজ্জামান রাশেদ, মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ১৬: ২৮
গোবর থেকে প্রতি মাসে আয় লাখ টাকা 

ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের সফর মল্লিক। জৈব এই সার যেমন মাটিকে উর্বর করে, তেমনি নেই কোনো ক্ষতিকর দিক। দামেও সস্তা, তাই কৃষকেরও পছন্দ এই সার। কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলায় ইউনিয়নের চর পাড়া, কুশাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সফর মল্লিক। গরুর গোবর থেকে সার বানিয়ে প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন তিনি। 

কেঁচো দিয়ে গরুর গোবর থেকে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করেন তিনি। তাঁর খামার থেকে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ১২ হাজার কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হয়। খামারে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন দুজন শ্রমিক। এক সময়কার বেকার সফর মল্লিক খামারের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর দেখাদেখি অনেকেই গড়ে তুলেছেন ভার্মি কম্পোস্টের খামার। 

সফর মল্লিক জানালেন, ২০১৬ সালে ১৬টি শেড করে চার লাখ টাকার কেঁচো দিয়ে প্রথম শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্টের খামার। শুরুর দিকে এ সারের প্রচলন না থাকার কারণে বাজারে চাহিদা ছিল না। সাধারণ কৃষকদের বিনা মূল্যে সার দিয়েও এর প্রচলন করতে হয়েছে। তখন কেঁচো দিয়ে সার তৈরির কারণে লোকজন তাঁকে পাগল বলত, বিভিন্ন কটূক্তিও করত অনেকে। 

সফর মল্লিক বলেন, ‘এক সময় সার দিতে গেলে লোকজন বকা দিত। এখন সার চাহিদা মতো দিতে না পারায় কথা শুনতে হয়।’ 

ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের সার। যার মধ্যে ফসলের জন্য উপকারী ২২টি উপাদান রয়েছে। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে চাষাবাদের জন্য উপযোগী করার ক্ষেত্রে এ সার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এই সার সহজেই মাটিতে মিশে যায়। শাক-সবজিসহ যে কোনো ফসলের জমিতেই এটি ব্যবহার করা যায়। ফলে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় কম।’ 

খামার সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিটি শেডে চার লাখ করে কেঁচো রয়েছে। যা থেকে দ্রুত সময়ে আমি সার উৎপাদন করতে পারি। খামারের কাঁচামাল হিসেবে শুধু গোবর ব্যবহার করি। কেঁচো গুলো গোবর খেয়ে মল ত্যাগ করে। সেই মলই মূলত ভার্মি কম্পোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দুই রঙের ভার্মি কম্পোস্ট বাজারে পাওয়া যায়। একটা বাদামি আর আরেকটা কালো। চাহিদা মতো আমরা দুই রঙের সারই উৎপাদন করি।’ 

সফর মল্লিক আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি চেষ্টা করি, সবচেয়ে ভালো মানের ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের। সার যত ঝরঝরে ও গন্ধমুক্ত হবে, তত মান ভালো হবে। এ খামারে উৎপাদিত সারের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ, আমরা সবচেয়ে ভালোমানের সার উৎপাদন করি। যা হাতের মুঠোয় চাপ দিলেই ঝরঝরে হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সার বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও এ সার রপ্তানি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কানাডায় এ সার রপ্তানি করে বেশ সুনাম অর্জন করেছি।’ 

এ সারের কাঁচামাল হিসেবে গোবর ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন খামার থেকে এবং কৃষকদের বাড়ি থেকে কাঁচা গোবর কিনে আনতে হয়। বর্তমানে মানুষ গরু পোষা কমিয়ে দেওয়ায় গোবরের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়। ফলে সারে কেজি প্রতি সীমিত লাভ হয়। 

সার প্রস্তুত সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘গরুর কাঁচা গোবর নিয়ে এসে একেকটি শেডে দিই। এরপর শেডগুলোতে কেঁচো দেওয়া হয়। ২০-২৫ দিনের মধ্যে কেঁচো গুলো পুরো শেডের গোবর খেয়ে ফেলে। গরমে যাতে কেঁচোর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বাতাস ও পানির ব্যবস্থা করি। অনেক সময় দেখা যায়, সার প্রায় হয়ে গেছে, তখন কেঁচো  ডিম পেড়েছে। তখন বাচ্চা বের হওয়ার জন্য সার সংগ্রহ করতে দেরি হয়। সার সংগ্রহের পরে সেটাকে চালনি দিয়ে চেলে আলাদা করি। পরে সেটার মান পরীক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠাই। ‘অ্যাগ্রো অ্যালকামি’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সারটি আমরা বাজারজাত করছি।’ 

কৃষক পর্যায়ে পর্যাপ্ত এ সারের প্রচলন না থাকা এবং সঠিক দাম নির্ধারিত না হওয়ায় উৎপাদন করেও অনেক খামারি এ সার বিক্রি করতে পারেন না। ফলে তাকে লোকসান গুনতে হয়। এ প্রসঙ্গে সফর মল্লিক বলেন, ‘১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সার। স্থানীয় কৃষকদের কাছে বা বাজারে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হয়। আর বাইরে বিক্রি করলে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা পাওয়া যায়। মাসে দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার মতো সার বিক্রি হয়। আর খরচ বলতে গোবর কিনতে হয় বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দামে। খামার থেকে গোবর বস্তা প্রতি ৪০ টাকায় কিনি বর্তমানে। এ ছাড়া নিয়মিত দু’জন শ্রমিক কাজ করেন। গোবর কেনা, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বাবদ মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মাসে একবার সার উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করতে পারলে সব খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকার মতো থাকে। বর্তমানে আমার খামারে যে কেঁচো আছে, সেগুলোর মূল্য কয়েক কোটি টাকা।’ 

রোকোনুজ্জামান নামে এক কৃষক বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্টটা যদি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলন করা যেত, তাহলে খামারিরা লাভবান হতেন। সেই সঙ্গে মাটির জৈব পদার্থ বাড়ত এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ত।’ আমলা এলাকার এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘সবজি চাষের ক্ষেত্রে ভার্মি কম্পোস্ট খুবই কার্যকর। ফলন ও সবজির মান বৃদ্ধি করে। আমি কয়েক বছর ধরে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ভার্মি ও জৈব সার ব্যবহারের কারণে আমার সবজির স্বাদ ও উৎপাদন বেশি হয়। সেই সঙ্গে এ সবজি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।’ 

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষক পর্যায়ে ৩৮৩৬ মেট্রিক টন, বাণিজ্যিকভাবে ২০ মেট্রিক টন, এনজিওর মাধ্যমে ২৫ মেট্রিক টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হচ্ছে।   

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এ ছাড়া, বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রস্তুতে খামারিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আশা করি, নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে আগ্রহী হবেন কৃষকেরা।’ 

উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত