রাশিদুজ্জামান রাশেদ, মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের সফর মল্লিক। জৈব এই সার যেমন মাটিকে উর্বর করে, তেমনি নেই কোনো ক্ষতিকর দিক। দামেও সস্তা, তাই কৃষকেরও পছন্দ এই সার। কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলায় ইউনিয়নের চর পাড়া, কুশাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সফর মল্লিক। গরুর গোবর থেকে সার বানিয়ে প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
কেঁচো দিয়ে গরুর গোবর থেকে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করেন তিনি। তাঁর খামার থেকে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ১২ হাজার কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হয়। খামারে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন দুজন শ্রমিক। এক সময়কার বেকার সফর মল্লিক খামারের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর দেখাদেখি অনেকেই গড়ে তুলেছেন ভার্মি কম্পোস্টের খামার।
সফর মল্লিক জানালেন, ২০১৬ সালে ১৬টি শেড করে চার লাখ টাকার কেঁচো দিয়ে প্রথম শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্টের খামার। শুরুর দিকে এ সারের প্রচলন না থাকার কারণে বাজারে চাহিদা ছিল না। সাধারণ কৃষকদের বিনা মূল্যে সার দিয়েও এর প্রচলন করতে হয়েছে। তখন কেঁচো দিয়ে সার তৈরির কারণে লোকজন তাঁকে পাগল বলত, বিভিন্ন কটূক্তিও করত অনেকে।
সফর মল্লিক বলেন, ‘এক সময় সার দিতে গেলে লোকজন বকা দিত। এখন সার চাহিদা মতো দিতে না পারায় কথা শুনতে হয়।’
ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের সার। যার মধ্যে ফসলের জন্য উপকারী ২২টি উপাদান রয়েছে। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে চাষাবাদের জন্য উপযোগী করার ক্ষেত্রে এ সার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এই সার সহজেই মাটিতে মিশে যায়। শাক-সবজিসহ যে কোনো ফসলের জমিতেই এটি ব্যবহার করা যায়। ফলে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় কম।’
খামার সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিটি শেডে চার লাখ করে কেঁচো রয়েছে। যা থেকে দ্রুত সময়ে আমি সার উৎপাদন করতে পারি। খামারের কাঁচামাল হিসেবে শুধু গোবর ব্যবহার করি। কেঁচো গুলো গোবর খেয়ে মল ত্যাগ করে। সেই মলই মূলত ভার্মি কম্পোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দুই রঙের ভার্মি কম্পোস্ট বাজারে পাওয়া যায়। একটা বাদামি আর আরেকটা কালো। চাহিদা মতো আমরা দুই রঙের সারই উৎপাদন করি।’
সফর মল্লিক আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি চেষ্টা করি, সবচেয়ে ভালো মানের ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের। সার যত ঝরঝরে ও গন্ধমুক্ত হবে, তত মান ভালো হবে। এ খামারে উৎপাদিত সারের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ, আমরা সবচেয়ে ভালোমানের সার উৎপাদন করি। যা হাতের মুঠোয় চাপ দিলেই ঝরঝরে হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সার বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও এ সার রপ্তানি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কানাডায় এ সার রপ্তানি করে বেশ সুনাম অর্জন করেছি।’
এ সারের কাঁচামাল হিসেবে গোবর ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন খামার থেকে এবং কৃষকদের বাড়ি থেকে কাঁচা গোবর কিনে আনতে হয়। বর্তমানে মানুষ গরু পোষা কমিয়ে দেওয়ায় গোবরের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়। ফলে সারে কেজি প্রতি সীমিত লাভ হয়।
সার প্রস্তুত সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘গরুর কাঁচা গোবর নিয়ে এসে একেকটি শেডে দিই। এরপর শেডগুলোতে কেঁচো দেওয়া হয়। ২০-২৫ দিনের মধ্যে কেঁচো গুলো পুরো শেডের গোবর খেয়ে ফেলে। গরমে যাতে কেঁচোর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বাতাস ও পানির ব্যবস্থা করি। অনেক সময় দেখা যায়, সার প্রায় হয়ে গেছে, তখন কেঁচো ডিম পেড়েছে। তখন বাচ্চা বের হওয়ার জন্য সার সংগ্রহ করতে দেরি হয়। সার সংগ্রহের পরে সেটাকে চালনি দিয়ে চেলে আলাদা করি। পরে সেটার মান পরীক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠাই। ‘অ্যাগ্রো অ্যালকামি’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সারটি আমরা বাজারজাত করছি।’
কৃষক পর্যায়ে পর্যাপ্ত এ সারের প্রচলন না থাকা এবং সঠিক দাম নির্ধারিত না হওয়ায় উৎপাদন করেও অনেক খামারি এ সার বিক্রি করতে পারেন না। ফলে তাকে লোকসান গুনতে হয়। এ প্রসঙ্গে সফর মল্লিক বলেন, ‘১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সার। স্থানীয় কৃষকদের কাছে বা বাজারে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হয়। আর বাইরে বিক্রি করলে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা পাওয়া যায়। মাসে দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার মতো সার বিক্রি হয়। আর খরচ বলতে গোবর কিনতে হয় বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দামে। খামার থেকে গোবর বস্তা প্রতি ৪০ টাকায় কিনি বর্তমানে। এ ছাড়া নিয়মিত দু’জন শ্রমিক কাজ করেন। গোবর কেনা, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বাবদ মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মাসে একবার সার উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করতে পারলে সব খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকার মতো থাকে। বর্তমানে আমার খামারে যে কেঁচো আছে, সেগুলোর মূল্য কয়েক কোটি টাকা।’
রোকোনুজ্জামান নামে এক কৃষক বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্টটা যদি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলন করা যেত, তাহলে খামারিরা লাভবান হতেন। সেই সঙ্গে মাটির জৈব পদার্থ বাড়ত এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ত।’ আমলা এলাকার এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘সবজি চাষের ক্ষেত্রে ভার্মি কম্পোস্ট খুবই কার্যকর। ফলন ও সবজির মান বৃদ্ধি করে। আমি কয়েক বছর ধরে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ভার্মি ও জৈব সার ব্যবহারের কারণে আমার সবজির স্বাদ ও উৎপাদন বেশি হয়। সেই সঙ্গে এ সবজি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।’
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষক পর্যায়ে ৩৮৩৬ মেট্রিক টন, বাণিজ্যিকভাবে ২০ মেট্রিক টন, এনজিওর মাধ্যমে ২৫ মেট্রিক টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হচ্ছে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এ ছাড়া, বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রস্তুতে খামারিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আশা করি, নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে আগ্রহী হবেন কৃষকেরা।’
উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের সফর মল্লিক। জৈব এই সার যেমন মাটিকে উর্বর করে, তেমনি নেই কোনো ক্ষতিকর দিক। দামেও সস্তা, তাই কৃষকেরও পছন্দ এই সার। কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলায় ইউনিয়নের চর পাড়া, কুশাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সফর মল্লিক। গরুর গোবর থেকে সার বানিয়ে প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
কেঁচো দিয়ে গরুর গোবর থেকে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করেন তিনি। তাঁর খামার থেকে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ১২ হাজার কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হয়। খামারে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন দুজন শ্রমিক। এক সময়কার বেকার সফর মল্লিক খামারের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর দেখাদেখি অনেকেই গড়ে তুলেছেন ভার্মি কম্পোস্টের খামার।
সফর মল্লিক জানালেন, ২০১৬ সালে ১৬টি শেড করে চার লাখ টাকার কেঁচো দিয়ে প্রথম শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্টের খামার। শুরুর দিকে এ সারের প্রচলন না থাকার কারণে বাজারে চাহিদা ছিল না। সাধারণ কৃষকদের বিনা মূল্যে সার দিয়েও এর প্রচলন করতে হয়েছে। তখন কেঁচো দিয়ে সার তৈরির কারণে লোকজন তাঁকে পাগল বলত, বিভিন্ন কটূক্তিও করত অনেকে।
সফর মল্লিক বলেন, ‘এক সময় সার দিতে গেলে লোকজন বকা দিত। এখন সার চাহিদা মতো দিতে না পারায় কথা শুনতে হয়।’
ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের সার। যার মধ্যে ফসলের জন্য উপকারী ২২টি উপাদান রয়েছে। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে চাষাবাদের জন্য উপযোগী করার ক্ষেত্রে এ সার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এই সার সহজেই মাটিতে মিশে যায়। শাক-সবজিসহ যে কোনো ফসলের জমিতেই এটি ব্যবহার করা যায়। ফলে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় কম।’
খামার সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিটি শেডে চার লাখ করে কেঁচো রয়েছে। যা থেকে দ্রুত সময়ে আমি সার উৎপাদন করতে পারি। খামারের কাঁচামাল হিসেবে শুধু গোবর ব্যবহার করি। কেঁচো গুলো গোবর খেয়ে মল ত্যাগ করে। সেই মলই মূলত ভার্মি কম্পোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দুই রঙের ভার্মি কম্পোস্ট বাজারে পাওয়া যায়। একটা বাদামি আর আরেকটা কালো। চাহিদা মতো আমরা দুই রঙের সারই উৎপাদন করি।’
সফর মল্লিক আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি চেষ্টা করি, সবচেয়ে ভালো মানের ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের। সার যত ঝরঝরে ও গন্ধমুক্ত হবে, তত মান ভালো হবে। এ খামারে উৎপাদিত সারের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ, আমরা সবচেয়ে ভালোমানের সার উৎপাদন করি। যা হাতের মুঠোয় চাপ দিলেই ঝরঝরে হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সার বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও এ সার রপ্তানি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কানাডায় এ সার রপ্তানি করে বেশ সুনাম অর্জন করেছি।’
এ সারের কাঁচামাল হিসেবে গোবর ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন খামার থেকে এবং কৃষকদের বাড়ি থেকে কাঁচা গোবর কিনে আনতে হয়। বর্তমানে মানুষ গরু পোষা কমিয়ে দেওয়ায় গোবরের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়। ফলে সারে কেজি প্রতি সীমিত লাভ হয়।
সার প্রস্তুত সম্পর্কে সফর মল্লিক বলেন, ‘গরুর কাঁচা গোবর নিয়ে এসে একেকটি শেডে দিই। এরপর শেডগুলোতে কেঁচো দেওয়া হয়। ২০-২৫ দিনের মধ্যে কেঁচো গুলো পুরো শেডের গোবর খেয়ে ফেলে। গরমে যাতে কেঁচোর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বাতাস ও পানির ব্যবস্থা করি। অনেক সময় দেখা যায়, সার প্রায় হয়ে গেছে, তখন কেঁচো ডিম পেড়েছে। তখন বাচ্চা বের হওয়ার জন্য সার সংগ্রহ করতে দেরি হয়। সার সংগ্রহের পরে সেটাকে চালনি দিয়ে চেলে আলাদা করি। পরে সেটার মান পরীক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠাই। ‘অ্যাগ্রো অ্যালকামি’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সারটি আমরা বাজারজাত করছি।’
কৃষক পর্যায়ে পর্যাপ্ত এ সারের প্রচলন না থাকা এবং সঠিক দাম নির্ধারিত না হওয়ায় উৎপাদন করেও অনেক খামারি এ সার বিক্রি করতে পারেন না। ফলে তাকে লোকসান গুনতে হয়। এ প্রসঙ্গে সফর মল্লিক বলেন, ‘১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সার। স্থানীয় কৃষকদের কাছে বা বাজারে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হয়। আর বাইরে বিক্রি করলে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা পাওয়া যায়। মাসে দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার মতো সার বিক্রি হয়। আর খরচ বলতে গোবর কিনতে হয় বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দামে। খামার থেকে গোবর বস্তা প্রতি ৪০ টাকায় কিনি বর্তমানে। এ ছাড়া নিয়মিত দু’জন শ্রমিক কাজ করেন। গোবর কেনা, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বাবদ মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মাসে একবার সার উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করতে পারলে সব খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকার মতো থাকে। বর্তমানে আমার খামারে যে কেঁচো আছে, সেগুলোর মূল্য কয়েক কোটি টাকা।’
রোকোনুজ্জামান নামে এক কৃষক বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্টটা যদি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলন করা যেত, তাহলে খামারিরা লাভবান হতেন। সেই সঙ্গে মাটির জৈব পদার্থ বাড়ত এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ত।’ আমলা এলাকার এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘সবজি চাষের ক্ষেত্রে ভার্মি কম্পোস্ট খুবই কার্যকর। ফলন ও সবজির মান বৃদ্ধি করে। আমি কয়েক বছর ধরে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ভার্মি ও জৈব সার ব্যবহারের কারণে আমার সবজির স্বাদ ও উৎপাদন বেশি হয়। সেই সঙ্গে এ সবজি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।’
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষক পর্যায়ে ৩৮৩৬ মেট্রিক টন, বাণিজ্যিকভাবে ২০ মেট্রিক টন, এনজিওর মাধ্যমে ২৫ মেট্রিক টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হচ্ছে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এ ছাড়া, বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রস্তুতে খামারিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আশা করি, নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে আগ্রহী হবেন কৃষকেরা।’
উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে