অর্থ নয়, অন্য কারণে আত্মহত্যা করেছে কুয়েট শিক্ষার্থী: পরিবারের দাবি

খুলনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) টেক্সটাইল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তু রায় (২১) ‘আত্মহত্যা’ পেছনে আর্থিক সংকট নয়, রয়েছে অন্য কোনো কারণে। এটিই মনে করছেন তাঁর স্বজনেরা। আজ বুধবার কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

গত সোমবার দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অন্তু রায়। তিনি গুটুদিয়া গ্রামের দেবব্রত রায়ের ছেলে। বাবা রাজ মিস্ত্রী, মা গীতা রানী রায় দিন মজুর। দুই ভাই-বোনের মধ্যে অন্তু বড়। তিনি কুয়েটে ড. এম এ রশিদ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। 

জানা যায়, হলে ৬ হাজার ৬৫৫ টাকা বকেয়া ছিল তাঁর। এ ছাড়া সেমিস্টারে ভর্তি বাবদ ২৮শ টাকা প্রয়োজন হয়। সেমিস্টারে ভর্তির টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা সংগ্রহে পরিবারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই সোমবার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। 

নিহত অন্তু রায়ের বাবা দেবব্রত বলেন, ‘ছেলে টাকা চেয়েছিল ভর্তির জন্য ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছিল।’ টাকার জন্য তার ছেলে আত্মহত্যা করেননি বলে মনে করেন তাঁর বাবা। 

নিহত অন্তুর মা গীতা রাণী রায় বলেন, ‘ছেলের টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছিল। টাকা না পেয়ে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে আমি মনে করিনা।’ আত্মহত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন গীতা রাণীও।

অন্তু রায়ের পিসতুতো ভাই সজল কুমার অধিকারী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে অন্তুর মান খারাপ ছিল। কী কারণে মন খারাপ তা বলতে চেয়েছিল কিন্তু বলেনি।’ 

এদিকে অন্তু রায়ের মৃত্যুর ঘটনা টাকার জন্য নয় বলে মনে করেন কুয়েট ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ইসমাঈল সাইফুল্লাহ। ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘টাকা খুব বেশি না। তা ছাড়া এখনই টাকা দেওয়া লাগবে না। পরে দিলেও হবে। কারও সামর্থ্য না থাকলে আবেদন করলে তা মওকুফের সুযোগ রয়েছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত