খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের জেরে এই সংঘর্ষ বাধে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড মোড় অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।
এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থী ও বাসশ্রমিকদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাঁরা একে অপরের দিকে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজনের মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অবস্থান করেন। তবে থানার বাইরে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর বাসশ্রমিকেরা হামলা চালালে কয়েকজন আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের এক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। যাত্রাপথে বাসের সহকারীর সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই শিক্ষার্থীকে খুলনা জিরো পয়েন্টে নামিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর ওই শিক্ষার্থী ভীত হয়ে তারঁ ব্যাচমেটদের খবর দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তাঁকে মারধর করেন রাজিব পরিবহনের শ্রমিকেরা।
পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত, সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও অন্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে গড়ায় এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসশ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে।
খুবির ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনের বাস করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাসশ্রমিকেরা। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী অন্যদের জানালে তাঁরা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন।
সেখানে কথা-কাটাকাটির জের ধরে বাসশ্রমিকেরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালার। এ সময় খুবির ছাত্র আশিক, সিয়াম, জিসান আহমেদ, অরুপ বসু, হৃদয় ও শাহরিয়ার পারভেজ সাদ আহত হন। এ সময় দুজন শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। একপর্যায়ে তাঁরা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আলম হাসান বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিনজনের অবস্থা গুরুতর তাদের খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম জানান, রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাঁকে পরিবহনের সদস্যরা বসার ছিট দেননি। পরিবহনের সদস্যরা তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাঁদের থামানোর সব চেষ্টা চলছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। সেনা ও নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের জেরে এই সংঘর্ষ বাধে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড মোড় অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।
এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থী ও বাসশ্রমিকদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাঁরা একে অপরের দিকে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজনের মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অবস্থান করেন। তবে থানার বাইরে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর বাসশ্রমিকেরা হামলা চালালে কয়েকজন আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের এক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। যাত্রাপথে বাসের সহকারীর সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই শিক্ষার্থীকে খুলনা জিরো পয়েন্টে নামিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর ওই শিক্ষার্থী ভীত হয়ে তারঁ ব্যাচমেটদের খবর দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তাঁকে মারধর করেন রাজিব পরিবহনের শ্রমিকেরা।
পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত, সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও অন্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে গড়ায় এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসশ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে।
খুবির ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজিব পরিবহনের বাস করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাসশ্রমিকেরা। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী অন্যদের জানালে তাঁরা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন।
সেখানে কথা-কাটাকাটির জের ধরে বাসশ্রমিকেরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালার। এ সময় খুবির ছাত্র আশিক, সিয়াম, জিসান আহমেদ, অরুপ বসু, হৃদয় ও শাহরিয়ার পারভেজ সাদ আহত হন। এ সময় দুজন শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। একপর্যায়ে তাঁরা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আলম হাসান বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিনজনের অবস্থা গুরুতর তাদের খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম জানান, রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাঁকে পরিবহনের সদস্যরা বসার ছিট দেননি। পরিবহনের সদস্যরা তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাঁদের থামানোর সব চেষ্টা চলছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। সেনা ও নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
যশোরের মনিরামপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৫৫) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আগের দিন সোমবার রাত ১১টার দিকে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল যশোর-চুকনগর সড়কের লাউড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
১ মিনিট আগেরাজধানীর কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং সংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ, পশ্চিম এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর র
৪ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত। এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা রেজা আরিফ।
১৮ মিনিট আগেনীলফামারীতে বালুবোঝাই ডাম্প ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পূর্ণিমা রায় (২৫) নামে একজন নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৬টায় নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের দারোয়ানী বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে