সদলবলে পদত্যাগ করলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

খুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ৪৪
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ০৮

শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হলেও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ ঠেকাতে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে খুবি উপাচার্য আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। 

উপাচার্য ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ট্রেজারার, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকেরা। 

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সামনেই তিনি রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান। 

রাষ্ট্রপতি বরাবর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে ২০২১ সালের ২৫ মে তিনি যোগদান করেন। ব্যক্তিগত কারণে আজ ২০-০৮-২০২৪  তারিখে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে ইস্তফা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি আমার পূর্বতন কর্মস্থল অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে (প্রফেসর গ্রেড-১) প্রত্যাবর্তন করছি।’ 

পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব না। আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও। আমি চাই না তোমরা আর কোনো ধরনের কিছু করো। আমার সম্মানহানি হচ্ছে অনেকভাবে। আমি সম্মানহানি আর নিতে পারছি না ৷ তোমরা সবাই ভালো থাকো।’ 

এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে একযোগে খুবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরীসহ সব আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেন। 

শিক্ষার্থীদের সামনেই খুবি উপাচার্য রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান। ছবি: আজকের পত্রিকাউপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুবির অন্যতম সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম শুধু ভিসি স্যার থাকুক এবং দুর্নীতিবাজ, বিতর্কিত শিক্ষকদের পদত্যাগ। কিন্তু ভিসি স্যার চেয়েছেন তার পুরো টিম নিয়ে থাকতে। মনমতো টিম নিয়ে থাকা আরেকটি স্বৈরাচারী মতবাদের প্রকাশ।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ আগস্ট (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (ডিএসএ) অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন ও ডিএসএ বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া ১৮ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, পাঁচ হলের প্রভোস্ট, ১০ সহকারী প্রাধ্যক্ষ ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক। 

এদিকে গত রোববার উপাচার্য পদত্যাগ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং পদত্যাগ না করার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত