এসএসসি: দেশসেরা সাফল্য থেকে পিছিয়েছে যশোর বোর্ড

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৮: ২১
Thumbnail image

এসএসসি পরীক্ষায় গত বছরের দেশসেরা ফলাফল থেকে পিছিয়েছে যশোর বোর্ড। এবার পাসের হার কমেছে ৯ শতাংশ; আর জিপিএ-৫ কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। 

এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬১৭ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০ হাজার ৮৯২ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের ওই ফলাফলে দেশসেরা হয়েছিল যশোর। আজ শুক্রবার প্রকাশিত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। 
 
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানান, এ বছর যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২১৩ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬১৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩৭০ এবং ছাত্র ৯ হাজার ২৪৭ জন।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর (২০২২ সালে) যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে পাস করেছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ জন। পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০ হাজার ৮৯২ জন। এই ফলাফলে দেশসেরা হয়েছিল যশোর। 

যশোর বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছরের মতো এবারও যশোর বোর্ডে অন্য বিভাগের তুলনায় তাক লাগানো ফল করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৩৯ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৮ হাজার ৪০০ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৯৩৭ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে মেয়েরা। সর্বোচ্চ এ ফল অর্জনকারীদের মধ্যে ৯ হাজার ৩০১ জন ছাত্রী এবং ৮ হাজার ৬৩৬ জন ছাত্র।

বোর্ডে পাসের হারে বিজ্ঞানের পরেই রয়েছে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা। এই শাখা থেকে ১৭ হাজার ৭৪৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৬ হাজার ৬১৫ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ৬৬৫ ও ছাত্র ৩০৯ জন।
 
মানবিক বিভাগ থেকে ৯৮ হাজার ৭৭৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৯ হাজার ১৯৮ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ১৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭০৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ১ হাজার ৪০৪ জন এবং ছাত্র ৩০২ জন।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানিয়েছেন, ২০২১ ও ২০২২ সালে করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান করা হয়। নির্ধারিত বিষয়ে কম সময়ে কম নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ কারণে ওই দুই বছর ফলাফল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভালো হয়েছিল। এবার পূর্ণ সিলেবাসে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। এ কারণে করোনাকালের আগের স্বাভাবিক সময়ের ফলাফলের কাছাকাছি ফল অর্জিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত