তিন বছরেও শেষ হয়নি ইবির ডিজিটাল লাইব্রেরির কাজ

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২২, ০৯: ৪৩
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২২, ১১: ২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আবদুল আজিজ ডিজিটাল লাইব্রেরির কার্যক্রম শুরুর তিন বছর পরেও শেষ হয়নি ডিজিটাল অটোমেশনের কাজ। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রবেশমুখের বাঁ দিকে অবস্থিত এই ডিজিটাল অটোমেশন কক্ষ। দ্রুত সেবাটি গ্রহণের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসন ডিজিটাল লাইব্রেরির কার্যক্রম শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে ক্রয় করা হয় ৩৫টি কম্পিউটার। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের সহযোগিতায় অনলাইনে যুক্ত করা হয় লাইব্রেরিতে থাকা ৫০ হাজার বই। শুরু হয়েছিল শিক্ষার্থী ডাটা এন্ট্রির কাজ। তবে করোনার কারণে থেমে যায় অটোমেশনের কাজ। করোনার সময় তৎকালীন প্রশাসনের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। তাই ওখানেই থেমে যায় ডিজিটাল লাইব্রেরির কাজ। 

দীর্ঘদিন কম্পিউটার চালু না করায় কিছু যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৯টি কম্পিউটার মেরামত করা হয়েছে। বাকি কম্পিউটার পড়ে রয়েছে ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাকসেস সেন্টারে। এ ছাড়া ৩৫টি কম্পিউটারের মধ্যে ২৬টির আইপিএসসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। নষ্ট হওয়া যন্ত্রাংশের বাজার মূল্য কত তা জানে না সংশ্লিষ্ট কেউ।

অন্যদিকে, ডিজিটাল অটোমেশন লাইব্রেরি চালু হলে অনলাইনে সার্চ দিয়ে শিক্ষার্থীরা বই সম্পর্কে সব তথ্য পাবেন। প্রতিটি বইয়ের জন্য থাকা নির্দিষ্ট বারকোড দিয়ে সার্চ করলেই সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এমনকি বিদেশে বসেও যে কেউ লাইব্রেরিতে থাকা বই পড়তে পারবেন। 

দেলওয়ার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডিজিটাল অটোমেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। লাইব্রেরিকে আরও আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে কম্পিউটার ক্রয় করা হয়, যেখানে লাইব্রেরির সব বইয়ের এক্সেস ছিল। এ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব বই শিক্ষার্থীরা এখানে এসে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে পড়তে পারতেন। এখন সেই ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত বিষয়টির সমাধান চাই।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন অভিযোগ তুলেছে যে বিগত প্রশাসন এই প্রকল্পে দুর্নীতি করেছে। তারা তদন্ত করে দেখুক। তার পরও কাজটি চালু হোক সেটা আমরা চাই। কাজটা সফল করার জন্য কিছু সাপোর্ট দরকার। এর কোনো অংশই সাপোর্ট দিতে রাজি হয়নি প্রশাসন। এভাবে চলতে থাকলে এ কাজ আগানো সম্ভব না।’ 

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ডিজিটাল অটোমেশনের বিষয়টি কিছুদিন পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছিল। প্রায় ৫০ শতাংশের অধিক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রশাসনের কাছে তিন বার নোট দিয়েছি। আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে প্রশাসন। এতে ডিজিটাল সেন্টারের কম্পিউটারগুলো অচল হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত