যশোর প্রতিনিধি
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়ার আগে আধা পাকা টিনের ঘরে বসবাস করতেন রণজিত কুমার রায়। গত ১৫ বছরে সেই রণজিত নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ। নিয়োগ ও টেন্ডার-বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ লুট, জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন তিনবারের এই এমপি। এদিকে সাবেক এই এমপির অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমপি রণজিত কুমার রায়ের যশোর শহরের রেল রোডে একটি পাঁচতলা ও একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। যশোরের লোহাপট্টিতে একটি বাড়ি, যশোর নিউমার্কেটে দুটি ফ্ল্যাট, বাঘারপাড়ায় একটি দুইতলা বাড়ি, বাঘারপাড়ার খাজুরায় একটি চারতলা বাড়ি, ঢাকার মিরপুরে দারুস সালাম রোডে দুটি ফ্ল্যাট, দুই ছেলের নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত ও সল্টলেকে দুটি বাড়ি আছে।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি রণজিৎ কুমারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বন্ধ পাওয়া গেছে তাঁর ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাজীব রায় ও স্ত্রী নিয়তি রানি রায়ের মোবাইল ফোন নম্বরও।
দখলদারত্ব, নিয়োগ ও কমিশন-বাণিজ্য
স্থানীয়দের ভাষ্য, রণজিত কুমার রায়ের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বাণিজ্য। রণজিত, তাঁর স্ত্রী নিয়তি ও দুই ছেলে রাজীব ও সজীব অন্তত ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। টানা ১৫ বছর এমপির চেয়ারে থাকায় একচেটিয়া নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন রণজিত। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বাণিজ্যেও তাঁর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুই উপজেলায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও কলেজ সরকারীকরণের নামে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন রণজিত। অবৈধ টাকা আয়ের আরেকটি উৎস ছিল টেন্ডার-বাণিজ্য ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কমিশন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি জোরপূর্বক ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে খাসজমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে রণজিতের বিরুদ্ধে।
নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে হলফনামায় রণজিত রায়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল সাকল্যে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার। এর মধ্যে ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এক লাখ টাকা মূল্যের চার বিঘা জমি ও চার শতক জমির ওপর ৫০ হাজার টাকা মূল্যের টিনের ঘর।
র্ষিক আয় ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। সে সময় রণজিতের স্ত্রী নিয়তির ছিল নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ তোলা স্বর্ণ। কিন্তু ১৫ বছরের ব্যবধানে রণজিত-নিয়তি দম্পতির সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এমপি হন তিনি।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে নির্বাচন করেননি। তবে ওই নির্বাচন উপলক্ষে রণজিতের দাখিল করা হলফনামায় উল্লেখ করা হয় ৪ কোটি ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তির কথা। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বিঘা কৃষিজমি, ঢাকার পূর্বাচলে ৩০ লাখ টাকা দামের রাজউকের প্লট, ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দালান এবং ১০ লাখ টাকার অকৃষিজমি। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে উল্লেখ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২৩ লাখ টাকার জিপ গাড়ি। রণজিতের স্ত্রী নিয়তির স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার তিনটি বাড়ি ও ৫০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট।
সাবেক এমপি রণজিতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি সাবেক এমপি রণজিতের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা এখনো চিঠি পাইনি।’
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়ার আগে আধা পাকা টিনের ঘরে বসবাস করতেন রণজিত কুমার রায়। গত ১৫ বছরে সেই রণজিত নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ। নিয়োগ ও টেন্ডার-বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ লুট, জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন তিনবারের এই এমপি। এদিকে সাবেক এই এমপির অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমপি রণজিত কুমার রায়ের যশোর শহরের রেল রোডে একটি পাঁচতলা ও একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। যশোরের লোহাপট্টিতে একটি বাড়ি, যশোর নিউমার্কেটে দুটি ফ্ল্যাট, বাঘারপাড়ায় একটি দুইতলা বাড়ি, বাঘারপাড়ার খাজুরায় একটি চারতলা বাড়ি, ঢাকার মিরপুরে দারুস সালাম রোডে দুটি ফ্ল্যাট, দুই ছেলের নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত ও সল্টলেকে দুটি বাড়ি আছে।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি রণজিৎ কুমারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বন্ধ পাওয়া গেছে তাঁর ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাজীব রায় ও স্ত্রী নিয়তি রানি রায়ের মোবাইল ফোন নম্বরও।
দখলদারত্ব, নিয়োগ ও কমিশন-বাণিজ্য
স্থানীয়দের ভাষ্য, রণজিত কুমার রায়ের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বাণিজ্য। রণজিত, তাঁর স্ত্রী নিয়তি ও দুই ছেলে রাজীব ও সজীব অন্তত ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। টানা ১৫ বছর এমপির চেয়ারে থাকায় একচেটিয়া নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন রণজিত। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বাণিজ্যেও তাঁর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুই উপজেলায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও কলেজ সরকারীকরণের নামে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন রণজিত। অবৈধ টাকা আয়ের আরেকটি উৎস ছিল টেন্ডার-বাণিজ্য ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কমিশন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি জোরপূর্বক ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে খাসজমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে রণজিতের বিরুদ্ধে।
নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে হলফনামায় রণজিত রায়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল সাকল্যে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার। এর মধ্যে ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এক লাখ টাকা মূল্যের চার বিঘা জমি ও চার শতক জমির ওপর ৫০ হাজার টাকা মূল্যের টিনের ঘর।
র্ষিক আয় ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। সে সময় রণজিতের স্ত্রী নিয়তির ছিল নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ তোলা স্বর্ণ। কিন্তু ১৫ বছরের ব্যবধানে রণজিত-নিয়তি দম্পতির সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এমপি হন তিনি।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে নির্বাচন করেননি। তবে ওই নির্বাচন উপলক্ষে রণজিতের দাখিল করা হলফনামায় উল্লেখ করা হয় ৪ কোটি ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তির কথা। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বিঘা কৃষিজমি, ঢাকার পূর্বাচলে ৩০ লাখ টাকা দামের রাজউকের প্লট, ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দালান এবং ১০ লাখ টাকার অকৃষিজমি। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে উল্লেখ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২৩ লাখ টাকার জিপ গাড়ি। রণজিতের স্ত্রী নিয়তির স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার তিনটি বাড়ি ও ৫০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট।
সাবেক এমপি রণজিতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি সাবেক এমপি রণজিতের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা এখনো চিঠি পাইনি।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১৫ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
৩০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
৩৪ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
৪৩ মিনিট আগে