টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে নারীসহ দুজনকে যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৯
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে এক নারীসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আফরোজা বেগম এ রায় দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন—টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের শাহাদত বেপারীর স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (৩৬) ও একই এলাকার মজিবর বেপারীর ছেলে উজ্জল ইসলাম (৩৩)। তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সদ্য বিদায়ী অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষে পরিচালনা করেন। তিনি জানান, বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের সুনীল কুমার দাসের স্ত্রী ঝর্ণা রানী দাস (৪৮) দণ্ডিত মনোয়ারা আক্তারের সঙ্গে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে ঝর্ণা মনোয়ারার কাছে ২ হাজার ৬০০ টাকা পেতেন।

গত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাওনা টাকার জন্য ঝর্ণা মনোয়ারার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন। কিন্তু তিনি রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনেরা খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই রাতে তাঁরা বাসাইল থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানান।

পরে পুলিশ মনোয়ারার বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় মনোয়ারা পুলিশকে জানান সকালে পাওনা টাকা চাইতে আসার পর ঝর্ণা রানীর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁর প্রতিবেশী ভাতিজা উজ্জল ইসলামের সহায়তায় ঝর্ণাকে ঘরে নিয়ে গলায় ফিতা পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঝর্ণার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল খুলে নেন। পরে মনোয়ারার বসতঘরে একটি কক্ষের মেঝেতে ঝর্ণার লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরে পুলিশ মনোয়ারার ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার পরদিন ঝর্ণার স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে দণ্ডিত দুজনের বিরুদ্ধে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। মঙ্গলবার ওই মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত