৩৫ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

খুবি প্রতিনিধি 
Thumbnail image
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) আগামীকাল সোমবার ৩৫ বছরে পদার্পণ করছে। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন।

১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছরের ৩১ জুলাই। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে চারটি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। একই বছরের ২৫ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত নতুন প্রজন্মের স্বাধীনতার পর এবার ভিন্ন আলোকে উদ্‌যাপন হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের গতিশীল নেতৃত্বে ৫ আগস্ট পরবর্তী সংকটময় মুহূর্তেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে স্বমহিমায় এগিয়ে চলেছে, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে প্রতিষ্ঠানটি নিঃসন্দেহে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের স্পিরিটের প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন আবহে গড়ে উঠবে প্রাণের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে যে গবেষণাগুলো হবে, তা দেশের উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমনভাবে দক্ষ হয়ে উঠবে, যেখানে যে কাজই করুক, তাদের একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এমনভাবে পরিচালিত হবে, যেন তা সমাজ ও জাতির টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমান প্রশাসনের গতিশীলতা দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য এ বছর বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল পৌনে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনগুলোর গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন। সকাল ১০টায় কেক কাটা, সোয়া ১০টায় আলোচনা সভা, ১০টা ৪০ মিনিটে মুক্তমঞ্চে গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোকে সম্মাননা প্রদান, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও সুবিধাজনক সময়ে মন্দিরে প্রার্থনা, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলগুলো আলোকসজ্জা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত