আগুন নেভাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে মনিরামপুরের গাওসুল

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২২, ১৮: ২৬
আপডেট : ০৬ জুন ২০২২, ২০: ২২

৫ বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করেন মনিরামপুরের গাওসুল আজম (২৪)। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ। সম্প্রতি ৬ মাসের ডেপুটেশনে যোগ দেন চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে। গত শনিবার সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন তিনি। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন গাওসুল আজম।

আহত গাওসুল আজম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগার আলীর ছেলে। সিয়াম নামে ৬ মাসের ছেলে সন্তান আছে তাঁর। 

জানা যায়, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহকর্মীদের সঙ্গে সেখানে যান গাওসুল। সেখানে তাঁর গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডে সহকর্মীরা মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান গাওসুল। জীবন রক্ষা পেলেও ৭০ ভাগ শরীর অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় ওই দিন রাতেই তাঁকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। 

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় গাওসুলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও ওই দিন রাতে এ খবর পাননি তাঁর পরিবারের লোকজন। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় থেকে মোবাইল ফোনে তাঁর পরিবারকে এ খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউটে ছুটে যান তাঁর বাবা আজগার আলী, ভগ্নিপতি মিজানুর রহমানসহ স্বজনেরা। 

গাওসুলের মা আসিয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাবাকে আল্লাহ তুমি আমার কাছে সুস্থ করে ফিরিয়ে দাও। তোমার কাছে ছেলেরে ভিক্ষা চাই।’ 

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান বলেন, গাওসুল আজম লাইফ সাপোর্টে আছেন। তাঁর অবস্থার একটু উন্নতি হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত