খুলনা প্রতিনিধি
প্রায় দুই ডজন হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলা কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের বর্বতার নিরব সাক্ষী তার প্রাসাদোপম বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গত মঙ্গলবার এই ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে ১০ কাঠা জমির ওপর তিনতলা ও একটি দোতলা বাড়ি নিয়ে এই স্বর্ণকমল।
এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ১০ কাঠা জমির ওপর তাঁদের পুরোনো তিনতলা এবং একটি দোতলা বাড়ি ছিল। তাঁরা কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন।
‘এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ভেঙে ফেলা পাঁচ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
অন্তত ২৪টি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এরশাদ শিকদারকে ২০০৪ সালের ১০ই মে খুলনা কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তার আগে কয়েক বছর ধরে একের পর এক বেরিয়ে আসছিল হত্যা ও নির্যাতনের রোমহর্ষক সব কাহিনী। দ্রততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন এরশাদ শিকদার।
খুলনা ডকইয়ার্ডের সাধারণ কুলি থেকে ঘাট সর্দার বা কুলিদের সর্দার হয়ে উঠা এরশাদ শিকদারের উত্থান হয়েছিল মূলত এইচএম এরশাদের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৮২ সালেই খুলনার এই এরশাদ ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন। এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনেও তাঁর ক্ষমতায় ভাটা পড়েনি।
অনেককেই তিনি হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলতেন। মৃতদেহ পাওয়া যেত না বলে মামলাও হতো না। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে খুলনার এক যুবলীগ নেতা হত্যার অভিযোগ ওঠার পর পরিস্থিতি ঘুরে যায়। নিজের দেহরক্ষী তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্বাক্ষী হন। সেই হত্যার অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
এরশাদ শিকদার ১৯৭৭ সালের দিকে যখন খুলনার ঘাটে কুলি হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন, তখন তার ডাক নাম ছিল ‘রাঙ্গা চোর’। ওইসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটিতে, ১৯৬৭ সালে তিনি খুলনায় চলে যান। সেখানে রেলস্টেশনে কুলির কাজের পাশাপাশি রেললাইনের পাত চুরি করে বিক্রি করতেন। এই কারণেই তাঁর নতুন নামকরণ।
সেই সময় তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে খুলনা রেল স্টেশন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার।
তাদের প্রশ্রয়ে এরশাদ শিকদার খুলনার ঘাট দখল করে সাম্রাজ্য তৈরি করতে শুরু করে। সেই সরকারে প্রশ্রয়েই তার উত্থান হতে শুরু করে। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ক্ষমতার পাশাপাশি বরফকল, শহরে স্বর্ণকমল নামের প্রাসাদোপম বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে এরশাদ শিকার।
তাঁর অপরাধের কথা সবাই জানতো। কিন্তু কোথাও কোন প্রমাণ থাকতো না। কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস করতো না, কেউ সাক্ষী দিতে চাইতো না। এমনকি তিনি হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলায় মৃতদেহও পাওয়া যেত না।
১৯৮৮ সালে খুলনার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও নির্বাচিত হন এরশাদ শিকদার। ফাঁসিতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন তিনি। কিন্তু কমিশনার হওয়ার পর তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থামেনি। রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের অসংখ্য অপরাধে তিনি জড়িয়ে পড়েন।
এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার। আবার ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। নিজের এতো অপরাদের মধ্যেও এরশাদ শিকদারকে গ্রেপ্তার হতে হয়নি। খুলনার কেন্দ্রস্থলে স্বর্ণকমল নাম একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন এরশাদ শিকদার, যেটিও তার নির্যাতনের অন্যতম কেন্দ্র বলে মনে করা হতো। সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরশাদ শিকদারের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আসার পর এই স্বর্ণকমল নামের বাড়িটি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়। আজো বহু মানুষ খুলনা গেলে শহরের অভিজাতক এলাকা সোনাডাঙ্গা রোডের এই বাড়িটির সামনে একবার ঢুঁ মারতে ভোলে না।
এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে ২৪টি হত্যাকাণ্ড করার সাক্ষ্য দিয়েছেন তার দেহরক্ষী। কিন্তু তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এরশাদ শিকদার ৬০টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। এসব মৃতদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হতো অথবা ইটের ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা হতো।
এরশাদ শিকদারের নির্যাতনের এসব গল্প নিয়ে ‘বরফ কলের গল্প’ শিরোনামে একটি ওয়েব সিরিজও হয়েছে।
প্রায় দুই ডজন হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলা কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের বর্বতার নিরব সাক্ষী তার প্রাসাদোপম বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গত মঙ্গলবার এই ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে ১০ কাঠা জমির ওপর তিনতলা ও একটি দোতলা বাড়ি নিয়ে এই স্বর্ণকমল।
এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ১০ কাঠা জমির ওপর তাঁদের পুরোনো তিনতলা এবং একটি দোতলা বাড়ি ছিল। তাঁরা কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন।
‘এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ভেঙে ফেলা পাঁচ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
অন্তত ২৪টি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এরশাদ শিকদারকে ২০০৪ সালের ১০ই মে খুলনা কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তার আগে কয়েক বছর ধরে একের পর এক বেরিয়ে আসছিল হত্যা ও নির্যাতনের রোমহর্ষক সব কাহিনী। দ্রততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন এরশাদ শিকদার।
খুলনা ডকইয়ার্ডের সাধারণ কুলি থেকে ঘাট সর্দার বা কুলিদের সর্দার হয়ে উঠা এরশাদ শিকদারের উত্থান হয়েছিল মূলত এইচএম এরশাদের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৮২ সালেই খুলনার এই এরশাদ ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন। এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনেও তাঁর ক্ষমতায় ভাটা পড়েনি।
অনেককেই তিনি হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলতেন। মৃতদেহ পাওয়া যেত না বলে মামলাও হতো না। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে খুলনার এক যুবলীগ নেতা হত্যার অভিযোগ ওঠার পর পরিস্থিতি ঘুরে যায়। নিজের দেহরক্ষী তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্বাক্ষী হন। সেই হত্যার অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
এরশাদ শিকদার ১৯৭৭ সালের দিকে যখন খুলনার ঘাটে কুলি হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন, তখন তার ডাক নাম ছিল ‘রাঙ্গা চোর’। ওইসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটিতে, ১৯৬৭ সালে তিনি খুলনায় চলে যান। সেখানে রেলস্টেশনে কুলির কাজের পাশাপাশি রেললাইনের পাত চুরি করে বিক্রি করতেন। এই কারণেই তাঁর নতুন নামকরণ।
সেই সময় তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে খুলনা রেল স্টেশন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার।
তাদের প্রশ্রয়ে এরশাদ শিকদার খুলনার ঘাট দখল করে সাম্রাজ্য তৈরি করতে শুরু করে। সেই সরকারে প্রশ্রয়েই তার উত্থান হতে শুরু করে। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ক্ষমতার পাশাপাশি বরফকল, শহরে স্বর্ণকমল নামের প্রাসাদোপম বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে এরশাদ শিকার।
তাঁর অপরাধের কথা সবাই জানতো। কিন্তু কোথাও কোন প্রমাণ থাকতো না। কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস করতো না, কেউ সাক্ষী দিতে চাইতো না। এমনকি তিনি হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলায় মৃতদেহও পাওয়া যেত না।
১৯৮৮ সালে খুলনার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও নির্বাচিত হন এরশাদ শিকদার। ফাঁসিতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন তিনি। কিন্তু কমিশনার হওয়ার পর তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থামেনি। রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের অসংখ্য অপরাধে তিনি জড়িয়ে পড়েন।
এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার। আবার ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। নিজের এতো অপরাদের মধ্যেও এরশাদ শিকদারকে গ্রেপ্তার হতে হয়নি। খুলনার কেন্দ্রস্থলে স্বর্ণকমল নাম একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন এরশাদ শিকদার, যেটিও তার নির্যাতনের অন্যতম কেন্দ্র বলে মনে করা হতো। সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরশাদ শিকদারের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আসার পর এই স্বর্ণকমল নামের বাড়িটি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়। আজো বহু মানুষ খুলনা গেলে শহরের অভিজাতক এলাকা সোনাডাঙ্গা রোডের এই বাড়িটির সামনে একবার ঢুঁ মারতে ভোলে না।
এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে ২৪টি হত্যাকাণ্ড করার সাক্ষ্য দিয়েছেন তার দেহরক্ষী। কিন্তু তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এরশাদ শিকদার ৬০টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। এসব মৃতদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হতো অথবা ইটের ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা হতো।
এরশাদ শিকদারের নির্যাতনের এসব গল্প নিয়ে ‘বরফ কলের গল্প’ শিরোনামে একটি ওয়েব সিরিজও হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
২৩ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৩২ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৩৩ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
১ ঘণ্টা আগে