খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পর ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ৫৪
Thumbnail image

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ীরাও তাঁদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। টানা তিন দিন ধর্মঘট পালনের পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পরিবেশ। 

দোকান ভাঙচুরে জড়িত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেন খুমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধ মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকানমালিক ও কর্মচারী। ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। ওষুধ কিনতে তাঁদের দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে যেতে হচ্ছিল। 

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জিল্লুর রহমান জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। রাতেই হাসপাতালের সামনের ৯০টি দোকান খুলে দেওয়া হয়। 
 
সংঘর্ষের পর থেকেই খুমেক হাসপাতালের সামনে এবং এই হাসপাতাল এলাকায় একধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের হামলায় জড়িত দুজন গ্রেপ্তার হওয়া, সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য, বিএমএ খুলনার আশ্বাসে জনভোগান্তি বিবেচনা করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহার করা হলো।’ 

গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বিপ্লব সহপাঠীদের নিয়ে মেডিসিন কর্নার নামে হাসপাতালের সামনে একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান। সেখানে ওষুধের দাম নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত