তামিম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
কয়েক দিনের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মানুষের পাশাপাশি নাকাল কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহপালিতসহ বন্যপ্রাণীরাও। বৃষ্টির অভাবে পানি শুকিয়েছে নদী-নালার। এতে খাবার ও পানিসংকট দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীর। গৃহপালিত প্রাণীদেরও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যপ্রাণীদের খাবার ও পানি নিশ্চিতের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা। এদিকে উপজেলা বন বিভাগ বলছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য তারা একটি অভয়ারণ্যের প্রস্তাব দিয়েছে। এর বাস্তবায়ন হলে এসব প্রাণী রক্ষায় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
এদিকে গৃহপালিত প্রাণীদের সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গৃহস্থালি ও বন্যপ্রাণীদের দুর্দশার কিছু চিত্র চোখে পড়ে।
বৈশাখের তপ্ত রোদে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিশূন্য পদ্মার কাঁদায় শামুক খুঁজছিল একদল শামুকখোল পাখি। কদিন আগে এখানে দুটি পাখি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নদীর এই স্থানে প্রতিবছর পানি থাকে। এবার খরার মাত্রা বেশি থাকায় পানি শুকিয়ে গেছে। এতে খাবারের সংকট দেখা দেওয়ায় পাখিদের আনাগোনা কমেছে।
স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, পাখিদের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কে এমন করুণ পরিস্থিতি আগে দেখেননি। একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে নদী-নালায় পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছে এসব প্রাণী।
কুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রাণীরা তাদের সঠিক খাবার ও পানি পাচ্ছে না। এতে তারা মারা যাচ্ছে এবং প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এখন উচিত ব্যক্তি উদ্যোগে এসব প্রাণীর খাবার ও পানি নিশ্চিত করা। এতে কিছুটা হলেও এদের কষ্ট লাঘব হবে।
বৈশাখের এই তপ্ত রোদে হাঁসফাঁস করছে কৃষকের যত্নে থাকা গৃহপালিত পশু-পাখিও। পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রাণী ভালো নেই বলে জানিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন নামের এক খামারি। বাড়ির আঙিনায় দুটি গরু, পাঁচটি ছাগল ও ১০টি মুরগির ছোট খামার তাঁর। রোদের তাপে পশুর ঘরে ফ্যানের ব্যবস্থা, গা ধোয়ানোসহ সব ধরনের পরিচর্যা করেন তিনি। তবু গরমে ছটফট করছে তার পশু-পাখিগুলো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে গৃহপালিত প্রাণীদের যত্নে আমরা প্রতিদিন কাজ করছি। আমাদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। প্রতিদিন খামারিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর বলেন, ‘রোদের এই তাপের কারণে বন্য পশু-পাখির খুব কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। এদের রক্ষায় আমরা অভয়ারণ্য তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি। অনুমতি পেলে বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।’
কয়েক দিনের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মানুষের পাশাপাশি নাকাল কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহপালিতসহ বন্যপ্রাণীরাও। বৃষ্টির অভাবে পানি শুকিয়েছে নদী-নালার। এতে খাবার ও পানিসংকট দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীর। গৃহপালিত প্রাণীদেরও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যপ্রাণীদের খাবার ও পানি নিশ্চিতের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা। এদিকে উপজেলা বন বিভাগ বলছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য তারা একটি অভয়ারণ্যের প্রস্তাব দিয়েছে। এর বাস্তবায়ন হলে এসব প্রাণী রক্ষায় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
এদিকে গৃহপালিত প্রাণীদের সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গৃহস্থালি ও বন্যপ্রাণীদের দুর্দশার কিছু চিত্র চোখে পড়ে।
বৈশাখের তপ্ত রোদে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিশূন্য পদ্মার কাঁদায় শামুক খুঁজছিল একদল শামুকখোল পাখি। কদিন আগে এখানে দুটি পাখি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নদীর এই স্থানে প্রতিবছর পানি থাকে। এবার খরার মাত্রা বেশি থাকায় পানি শুকিয়ে গেছে। এতে খাবারের সংকট দেখা দেওয়ায় পাখিদের আনাগোনা কমেছে।
স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, পাখিদের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কে এমন করুণ পরিস্থিতি আগে দেখেননি। একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে নদী-নালায় পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছে এসব প্রাণী।
কুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রাণীরা তাদের সঠিক খাবার ও পানি পাচ্ছে না। এতে তারা মারা যাচ্ছে এবং প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এখন উচিত ব্যক্তি উদ্যোগে এসব প্রাণীর খাবার ও পানি নিশ্চিত করা। এতে কিছুটা হলেও এদের কষ্ট লাঘব হবে।
বৈশাখের এই তপ্ত রোদে হাঁসফাঁস করছে কৃষকের যত্নে থাকা গৃহপালিত পশু-পাখিও। পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রাণী ভালো নেই বলে জানিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন নামের এক খামারি। বাড়ির আঙিনায় দুটি গরু, পাঁচটি ছাগল ও ১০টি মুরগির ছোট খামার তাঁর। রোদের তাপে পশুর ঘরে ফ্যানের ব্যবস্থা, গা ধোয়ানোসহ সব ধরনের পরিচর্যা করেন তিনি। তবু গরমে ছটফট করছে তার পশু-পাখিগুলো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে গৃহপালিত প্রাণীদের যত্নে আমরা প্রতিদিন কাজ করছি। আমাদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। প্রতিদিন খামারিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর বলেন, ‘রোদের এই তাপের কারণে বন্য পশু-পাখির খুব কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। এদের রক্ষায় আমরা অভয়ারণ্য তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি। অনুমতি পেলে বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে