অসংখ্য গর্তে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ০৯

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মাগুরার বাবুখালী ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট থেকে আলোকদিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কটির বেহাল অবস্থা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে ছোট বড় প্রায় দু শ বেশি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে ইট ভাটার ট্রলি, দশ চাকার ট্রাক ও ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় এই দুরবস্থা বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। রাস্তায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে। প্রায় সময় যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ভাটা মালিকেরা নষ্ট ইট দিয়ে গর্ত বন্ধের ব্যবস্থা করলেও তা ওঠে গেছে। পুনরায় সেখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। 

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের ধরীর ব্রিজ হয়ে সদরের আলোকদিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অথচ এ সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন যাতায়াত করছেন। এই সড়কের পাশে অবস্থিত অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ ও পুখুরিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এখানকার কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া করে। পাশেই পুখুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল। ফলে শিক্ষার্থীদের চলাচলে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। 

স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি অটোরিকশাতে স্কুলে আসার সময় অটো উল্টে কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করেন। সড়কে অনেক বড় বড় গর্ত আছে। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি। 

বাবুখালীর অটোরিকশা চালক আল-আমিন বলেন, দশ বছর ধরে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালায়। গত কয়েক বছরে এই সড়কের বড় বড় গর্তের কারণে বেশ কয়েকবার রোগী ও যাত্রীদের নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এই সড়ক মেরামতের দায়িত্বে মনে হয় কেউ নেই। 

পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হোসেন বলেন, সড়কের দুই পাশে দুই ফুট করে গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে যেকোনো চালক ভয় পায়। দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের বিপদ হয়ে যেতে পারে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর রওনক হোসেন বলেন, অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই ইউনিয়নে ইটভাটা বেশি। শুধু মাত্র ইটভাটার দশ চাকা ও ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তার এই দুরবস্থা। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। 
 
মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই সড়কের কিছু অংশ সদর উপজেলায় পড়েছে। তবে আমাদের অংশের সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত