বেনাপোলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দেরিতে শুরু, দুর্ভোগ যাত্রীরা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ২৫

বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ভোর সাড়ে ৬টার পরিবর্তে সকাল ৭টার পরে শুরু হওয়ায় হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ অবস্থা চললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ভারত ভ্রমণে করের পরিমাণ বাড়লেও সেবা বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাসপোর্টধারীরা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেন বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। বর্তমানে ভিসা ব্যবস্থায় নানা প্রতিবন্ধকতায় যাত্রীর সংখ্যা কমে দিনে ৪-৫ হাজারের ঘরে থাকলেও স্বাভাবিক সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১০ থেকে ১২ হাজার। পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল পৌঁছানোর পর প্রথমে তাকে ১ হাজার ৫৫ টাকা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ভ্রমণ ও পোর্ট ট্যাক্স কাটতে হয়। পরে কাস্টমসে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা লাগেজ চেকিং করিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে ভারতে ঢুকতে হয়। বছরে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকার প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকার ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করে থাকে। 

চেকপোস্টে আগে যাত্রী পারাপার ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে শেষ হতো সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ৫ আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণে মামলা হয় আমলাসহ রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ইমিগ্রেশনে। পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহভাজন পাসপোর্টধারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। এতে দীর্ঘ সময় লাগছে যাতায়াতে। তার ওপর সকাল ৭টার পরে কার্যক্রম শুরু করায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছে। 

ভোর সাড়ে ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে সামনে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাত্রীদের দাঁড়াতে হচ্ছে। পুনরায় ভোর সাড়ে ৬টায় পাসপোর্টধারীদের কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। 

পাসপোর্টধারী রাজিব, রহমত ও মৌসুমী আক্তার জানান, দেরিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমে প্রচণ্ড গরম আর রোদ, বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা অনেক কষ্টকর। ভ্রমণ কর দিন দিন বাড়ালেও যাত্রীদের টয়লেট ও বিশ্রামের সুযোগ নেই। এর মধ্যে হয়রানি তো আছেই। এসব থেকে পরিত্রাণ চান। 
 
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানান, বন্দর খুলছে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে। তবে কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য যারা পাসপোর্টধারীদের তদারকিতে আছেন তারা সবাই একসঙ্গে অফিসের কার্যক্রম শুরু না করায় পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে। দালাল শ্রেণির সঙ্গে কোনো লেনদেন না করার জন্য পাসপোর্টধারীদের সতর্ক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত