খুলনা প্রতিনিধি
ধর্ষণের শিকার নারীকে (২৬) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারীর স্বজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে থেকে ফিল্মি স্টাইলে তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় অপহরণকারীরা দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আজ রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই।
এর আগে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। তাঁর অভিযোগ, গতকাল শনিবার চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে তাঁকে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক দিন ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।
রাত সোয়া ১১টায় তিনি নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। আজ বিকেলে ওসিসি থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে আগে থেকে সেখানে হাসপাতালের ওসিসির সামনে উপস্থিত হন গণমাধ্যমকর্মী ও আইনজীবীরা।
ভুক্তভোগীকে আইনি সহায়তা দিতে আসা বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়ক আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই নারীকে আইনি সহায়তা দিতে তাঁদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ হাসপাতালের ওসিসিতে যান। সেখানে অপরিচিত এক ব্যক্তি ওই নারীর ছাড়পত্র নিচ্ছিলেন। তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে ওসিসির দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সবাইকে বাইরে বের করে দেন।
বাইরে বের হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫-২০ জন জোর করে ওই নারী ও তাঁর মাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় দুই সাংবাদিক আহত হন।
মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল ওসিসি। সেখান থেকে ভিকটিমকে যেভাবে অপহরণ করা হলো তাতে আমরা আতঙ্কিত। পুরোটা সময় ওসিসির নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যরা নীরব ছিলেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।’
তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (সোনাডাঙ্গা) আবু নাসের মো. আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ওই নারী তাঁর মায়ের সঙ্গে গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। গাজী তৌহিদ আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।’
ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন রায়কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেল ৫টার দিকে তাঁর (ভুক্তভোগী) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মা ও ভাইয়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ডুমুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেয়েটির জবানবন্দি নিয়েছেন।’
ডা. সুমন আরও বলেন, ‘মেয়েটি জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি থানায় মামলা করতে ইচ্ছুক নন। তিনি থানার পরিবর্তে আদালতে মামলা করতে চান। তাঁর ধারণা, থানায় মামলা করলে বিচার পাবেন না। তাঁকে বলা হয়েছে, তাঁর ভয়ের কোনো কারণ নেই। তাঁর ডকুমেন্ট ওসিসিতে রয়েছে। এরপর তিনি তাঁর ভাই ও মায়ের সঙ্গে চলে গেছেন। তবে বাইরে যাওয়ার পর কী হয়েছে সেটা আমি বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার রাত থেকেই ওসিসিসহ হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে অপরিচিত ব্যক্তিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। সকাল থেকে ওসিসির সামনে অবস্থান নেয় ১২ থেকে ১৫ ব্যক্তি। বিকেলে অপহরণের সঙ্গে তারাই যুক্ত ছিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কিছু আমার জানা নেই।’
ধর্ষণের শিকার নারীকে (২৬) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারীর স্বজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে থেকে ফিল্মি স্টাইলে তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় অপহরণকারীরা দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আজ রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই।
এর আগে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। তাঁর অভিযোগ, গতকাল শনিবার চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে তাঁকে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক দিন ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।
রাত সোয়া ১১টায় তিনি নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। আজ বিকেলে ওসিসি থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে আগে থেকে সেখানে হাসপাতালের ওসিসির সামনে উপস্থিত হন গণমাধ্যমকর্মী ও আইনজীবীরা।
ভুক্তভোগীকে আইনি সহায়তা দিতে আসা বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়ক আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই নারীকে আইনি সহায়তা দিতে তাঁদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ হাসপাতালের ওসিসিতে যান। সেখানে অপরিচিত এক ব্যক্তি ওই নারীর ছাড়পত্র নিচ্ছিলেন। তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে ওসিসির দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সবাইকে বাইরে বের করে দেন।
বাইরে বের হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫-২০ জন জোর করে ওই নারী ও তাঁর মাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় দুই সাংবাদিক আহত হন।
মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল ওসিসি। সেখান থেকে ভিকটিমকে যেভাবে অপহরণ করা হলো তাতে আমরা আতঙ্কিত। পুরোটা সময় ওসিসির নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যরা নীরব ছিলেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।’
তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (সোনাডাঙ্গা) আবু নাসের মো. আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ওই নারী তাঁর মায়ের সঙ্গে গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। গাজী তৌহিদ আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।’
ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন রায়কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেল ৫টার দিকে তাঁর (ভুক্তভোগী) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মা ও ভাইয়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ডুমুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেয়েটির জবানবন্দি নিয়েছেন।’
ডা. সুমন আরও বলেন, ‘মেয়েটি জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি থানায় মামলা করতে ইচ্ছুক নন। তিনি থানার পরিবর্তে আদালতে মামলা করতে চান। তাঁর ধারণা, থানায় মামলা করলে বিচার পাবেন না। তাঁকে বলা হয়েছে, তাঁর ভয়ের কোনো কারণ নেই। তাঁর ডকুমেন্ট ওসিসিতে রয়েছে। এরপর তিনি তাঁর ভাই ও মায়ের সঙ্গে চলে গেছেন। তবে বাইরে যাওয়ার পর কী হয়েছে সেটা আমি বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার রাত থেকেই ওসিসিসহ হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে অপরিচিত ব্যক্তিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। সকাল থেকে ওসিসির সামনে অবস্থান নেয় ১২ থেকে ১৫ ব্যক্তি। বিকেলে অপহরণের সঙ্গে তারাই যুক্ত ছিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কিছু আমার জানা নেই।’
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
২ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৩৩ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ ঘণ্টা আগে