Ajker Patrika

ময়মনসিংহ মহানগরে শ্রেণিকক্ষ-সংকটে ধুঁকছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ  
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭: ২৯
ময়মনসিংহ মহানগরীর গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ৬৩ জন। প্রতিদিনই গাদাগাদি করে বসতে হয় তাদের। এতে ব্যাঘাত ঘটে পাঠ কার্যক্রমে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহ মহানগরীর গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ৬৩ জন। প্রতিদিনই গাদাগাদি করে বসতে হয় তাদের। এতে ব্যাঘাত ঘটে পাঠ কার্যক্রমে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ মাত্র চারটি। এগুলোর মধ্যে একটি আকারে অনেক ছোট। দুই শিফটে ক্লাস পরিচালনা করেও জায়গার সংকুলান হয় না। বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম। শুধু এই একটি বিদ্যালয় নয়, ময়মনসিংহের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরই একই অবস্থা। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ না থাকায় শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ হাজার ১৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৮টিই শ্রেণি-সংকটে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ২৪৬ জন।

সম্প্রতি ময়মনসিংহে এসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।

অবশ্য গত বৃহস্পতিবার গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এক বেঞ্চে বসানো হয়েছে ৪-৫ জনকে। প্রাক্‌-প্রাথমিকে ফ্লোরে ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে।

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্লাসে শিক্ষার্থী বেশি হলে কোনোভাবেই বসা যায় না। বসতে পারলেও লিখতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির এটিও একটি কারণ। সে বলে, ‘আজকে প্রতি বেঞ্চে ৪-৫ জন বসছি।’ আরেক শিক্ষার্থী মানাফ মাহাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই তাদের ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। খেলাধুলার জন্য কোনো মাঠ নেই। টিফিনে বারান্দায় বসে থাকা ছাড়া কিছু করার নেই।

অভিভাবক সাগরিকা দাস বলেন, ‘একদিকে শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে বাচ্চারা শ্রেণিকক্ষে বসতে পারে না, অন্যদিকে খেলাধুলার কোনো মাঠ না থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। গাঙ্গিনারপাড় স্কুলটা এত ছোট যে অভিভাবকদের বসার পর্যন্ত একটু জায়গা নেই। বাচ্চাদের এই স্কুলে ভর্তি করিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকলিমা আক্তার সোনিয়া বলেন, ‘শিশু শ্রেণিতে ৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে আজকে (বৃহস্পতিবার) ২১ জন এসেছে, তারপরও জায়গা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষের মধ্যে ছোট এটি। কক্ষ বড় না হলে শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাসে পড়ানো সম্ভব হয় না।’

গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনার মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায়; কিন্তু শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেককে ভর্তি করতে পারি না। এবার বিদ্যালয়ে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে; তাদের জন্য মোট শ্রেণিকক্ষ চারটি। দুই শিফট করেও গাদাগাদি ক্লাস নিতে হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি।

একই অবস্থা নগরীর গোহাইলকান্দি, নওমহল এবং নামাকাতলা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। নামাকাতলা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের জন্য সাতটি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন; আছে পাঁচটি। এতে হাইস্কুলের দুটি কক্ষ ব্যবহার করতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সমাধান মিলছে না।’

গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আশপাশের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৪৫ জন। শ্রেণিকক্ষ তিনটি। এতে দুই শিফট করেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। বেঞ্চে গাদাগাদি বসিয়ে মনোযোগী করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না।’

এসব ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, প্রধান শিক্ষকদের তথ্যমতে সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে ৬৬টি এবং সদরে ৭২টি শ্রেণিকক্ষ-সংকট রয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে, অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ করে দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। আজ সোমবার গলাচিপা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এই আসনে এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

এদিকে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে আসন সমঝোতার ঘোষণার পরদিনই এই নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনের পক্ষে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ভিপি নুর নির্বাচন করুন বা না করুন, এই আসনে হাসান মামুনকে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেব।’

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনের সমর্থকেরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন করেছেন এবং সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সমভাবে প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ‘বি’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে তাকে আটক করা হয়। আটক পরীক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আমির মাহিন। সে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার দিন দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় জহির রায়হান মিলনায়তন কেন্দ্রের ২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল সাদিয়া আমির মাহিন। এ সময় মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণ করছিল সে। বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকের নজরে এলে প্রক্টরিয়াল বডিকে অবগত করা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ শাস্তিযোগ্য। আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসককে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে পদত্যাগী ছয় ডিনের কাজের দায়িত্বে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়

রাবি প্রতিনিধি: 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পদত্যাগ করা ছয় আওয়ামীপন্থী ডিনের কাজের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দিন ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তাঁদের সাময়িকভাবে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।

অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ছয়টি অনুষদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও আইন অনুষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান।

এর আগে গতকাল রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের মুখে আওয়ামীপন্থী ডিনেরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় পৃথকভাবে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার ধাক্কায় দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) পৃথক মামলা হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত কৃষকেরা হলেন উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের খোর্দ্দ ভূতছাড়ার আবুল কালাম (৫৫) এবং কুর্শা ইউনিয়নের শিবু কুণ্ঠিরামের আলাল উদ্দিন (৫৫)।

ওসি নজমূল হক জানান, গতকাল রাতে কৃষক আবুল কালাম বেইলী ব্রিজ বাজার এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় মহাসড়কে একটি প্রাইভেট কার তাঁকে ধাক্কা দিলে মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি। এ ছাড়া একই দিন রাতে কৃষক আলাল উদ্দিন জুম্মারপাড় এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় তাঁকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের দুই পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কার ও অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দুই গাড়িচালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত