নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
মারিয়া আক্তার। বয়স পাঁচ বছর। বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে। গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে শীত নিবারণের জন্য জ্বলন্ত চুলার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। অসাবধানতাবশত চুলা থেকে পোশাকে আগুন লাগে। আগুন থেকে রক্ষা পেতে শিশুটি দৌড় দেয়। পুড়ে যায় পেটের নিচের অংশ ও দুই পায়ের কিছু অংশ। চিকিৎসা করাতে বিলম্ব হওয়ায় শিশুটির শরীরে পচন ধরেছে।
ঝাল মুড়ি বিক্রেতা বিপুল মিয়া ও গৃহিণী আলপিনা আক্তার তাঁদের কন্যাটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে না নিয়ে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যান। পরে স্থানীয় এক কবিরাজের পরামর্শে শিশুটির শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে হলুদ ও লবণ মেখে দেন। ধীরে ধীরে শিশুটির শরীরে পচন ধরে।
ঘটনার নয় দিন পর গত ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় স্কুল শিক্ষিকা আনিছার মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারিয়ার নানা মো. মামুন মিয়া মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাগনি (মারিয়ার মা) খুবই অসহায়। অর্থের অভাবে মেয়েটার চিকিৎসা হয়নি। খুবই খারাপ অবস্থায় আছে মেয়েটা।’
আলপিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটাকে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারিনি। আমি হতভাগা মা স্থানীয় এক কবিরাজের পরামর্শে হলুদ লবণ দিয়েছি। এখন শরীরে পচ ধরেছে।’
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারটি আর হাসপাতালে যায়নি।’
মারিয়া আক্তার। বয়স পাঁচ বছর। বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে। গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে শীত নিবারণের জন্য জ্বলন্ত চুলার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। অসাবধানতাবশত চুলা থেকে পোশাকে আগুন লাগে। আগুন থেকে রক্ষা পেতে শিশুটি দৌড় দেয়। পুড়ে যায় পেটের নিচের অংশ ও দুই পায়ের কিছু অংশ। চিকিৎসা করাতে বিলম্ব হওয়ায় শিশুটির শরীরে পচন ধরেছে।
ঝাল মুড়ি বিক্রেতা বিপুল মিয়া ও গৃহিণী আলপিনা আক্তার তাঁদের কন্যাটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে না নিয়ে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যান। পরে স্থানীয় এক কবিরাজের পরামর্শে শিশুটির শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে হলুদ ও লবণ মেখে দেন। ধীরে ধীরে শিশুটির শরীরে পচন ধরে।
ঘটনার নয় দিন পর গত ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় স্কুল শিক্ষিকা আনিছার মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারিয়ার নানা মো. মামুন মিয়া মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাগনি (মারিয়ার মা) খুবই অসহায়। অর্থের অভাবে মেয়েটার চিকিৎসা হয়নি। খুবই খারাপ অবস্থায় আছে মেয়েটা।’
আলপিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটাকে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারিনি। আমি হতভাগা মা স্থানীয় এক কবিরাজের পরামর্শে হলুদ লবণ দিয়েছি। এখন শরীরে পচ ধরেছে।’
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারটি আর হাসপাতালে যায়নি।’
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
৮ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৩৯ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ ঘণ্টা আগে