মাছ চুরি দেখে ফেলায় হত্যা, মা–ছেলে গ্রেপ্তার 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

নেত্রকোনা বারহাট্টায় মাছ চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় আব্দুস ছাত্তার (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছেন।

আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলার আসমা ইউনিয়নের জয় কৃষ্ণনগর গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী কমলা আক্তার (৪৫) ও মজিবুর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (২০)। তবে প্রধান অভিযুক্ত মজিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

নিহতের পরিবার বলছে, প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশে মইরাতলা বিলে মাছ পাহারা দিতে যান আব্দুস ছাত্তার। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় সকালে তাঁকে খুঁজতে বের হয় পরিবারের লোকজন। পরে বিলের পাশে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরদিন বুধবার তাঁর ছেলে জুনায়েদ হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেদিন রাতেই ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরদিন বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠালে সেখানেও তাঁরা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। 

পুলিশ বলছে, নিজস্ব ডোবা জমিতে দেশীয় জাতের মাছ থাকায় প্রতিদিন পাহারা দিতে বিলে চলে যেতেন আব্দুস ছাত্তার। ঘটনার দিন মাছ পাহারা দিতে গিয়ে দেখেন তার জমিতে জাল পেতে মাছ ধরছেন মজিবুর রহমান। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মজিবুরকে দা দিয়ে কয়েকটি কোপ দেন ছাত্তার। এতে মজিবুর আহত হয়। একপর্যায়ে ছাত্তারকে থামাতে গিয়ে পানির নিচে চেপে ধরেন মজিবুর। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। এভাবে ছাত্তারকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় মজিবুর।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক বলেন, ‘আব্দুস ছাত্তার হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত মজিবুরের স্ত্রী সন্তানকে আটক করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার পুরো ঘটনাটি খুলে বলেছেন। তবে প্রধান অভিযুক্ত মজিবুর পলাতক রয়েছেন। হত্যা শেষে প্রথমে মোহনগঞ্জ ও পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে ঢাকা চলে গেছেন বলে জানা গেছে। মজিবুরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত