হাবিবুর রনি, বাকৃবি প্রতিনিধি
কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। পুষ্টির রাজা বলা হয়ে থাকে কাঁঠালকে। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে প্রতিবছর দেশে বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল নষ্ট হয়। চাষিদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং সারা বছর কাঁঠালের প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। গবেষক দল কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করেছেন।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) এক সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘কাঁঠালের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।
কর্মশালায় গবেষক ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশকাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।
কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, ‘উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরেও পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে। এ ছাড়া এসব অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রকল্পের মাধ্যমে কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা সফলভাবে কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরি ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ভোক্তাদের সুনাম অর্জন ও আর্থিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, ‘কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। এর জন্য কৃষক পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। গবেষণায় উদ্ভাবিত পণ্যগুলোর তৈরি কৌশল মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া পণ্যগুলো প্যাকেটজাত ও মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ভোক্তাদের মধ্যে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। বিভিন্ন কৃষিজ দ্রব্য প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন প্রযুক্তি দেশেই উদ্ভাবন করতে হবে। এতে করে মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও উদ্যোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন এবং কৃষিজ দ্রব্য পচে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। পুষ্টির রাজা বলা হয়ে থাকে কাঁঠালকে। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে প্রতিবছর দেশে বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল নষ্ট হয়। চাষিদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং সারা বছর কাঁঠালের প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। গবেষক দল কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করেছেন।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) এক সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘কাঁঠালের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।
কর্মশালায় গবেষক ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশকাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।
কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, ‘উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরেও পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে। এ ছাড়া এসব অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রকল্পের মাধ্যমে কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা সফলভাবে কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরি ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ভোক্তাদের সুনাম অর্জন ও আর্থিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, ‘কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। এর জন্য কৃষক পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। গবেষণায় উদ্ভাবিত পণ্যগুলোর তৈরি কৌশল মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া পণ্যগুলো প্যাকেটজাত ও মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ভোক্তাদের মধ্যে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। বিভিন্ন কৃষিজ দ্রব্য প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন প্রযুক্তি দেশেই উদ্ভাবন করতে হবে। এতে করে মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও উদ্যোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন এবং কৃষিজ দ্রব্য পচে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৬ মিনিট আগেঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
১৭ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগে