প্রবাসীর সঙ্গে প্রেম করায় প্রেমিকাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখেন এনামুল: পুলিশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪, ২১: ৪২

নেত্রকোনার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার সুইটি হত্যা মামলার আসামি মো. এনামুল হক (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ রাশেদুল ইসলাম আজ শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার এনামুল হক উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে। আর ভুক্তভোগী সুইটি সোনিয়া আক্তার সুইটি (২০) ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউপির চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহানের মেয়ে। সুইটি পূর্বধলার রাজিবপুরে নানার বাড়িতে থাকতেন। 

গত রোববার দুপুরে পূর্বধলার রাজিবপুরে নানার বাড়ি থেকে সুইটির গলায় ওড়না প্যাচানো মেঝেতে বসা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধ নানা-নানীর দেখা শোনার জন্য সুইটি নানার বাড়ি পূর্বধলার রাজিবপুরে থাকতেন। নানার বাড়িতে থাকা অবস্থায় পাশের খলিশাপুর গ্রামের এনামুল হকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পাশাপাশি পাশের গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী শরিফুল নামের অপর এক যুবকের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলতেন। একই সময়ে দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক চলমান থাকে। এক পর্যায়ে পারিবারিকভাবে প্রবাসী শরিফুলের সঙ্গে বিয়ে পাকাপাকি হয়। এ কথা শুনে এনামুল ক্ষিপ্ত হয়। এটিকে প্রতারণা মনে করে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠে সে। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত শনিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইলফোনে কল করে সুইটিকে ঘরের বাইরে ডেকে নেয় এনামুল। বাইরে ডেকে নিয়ে রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কথা বলার এক পর্যায়ে ওড়না পেঁচিয়ে সুইটিকে হত্যা করে। পরে লাশ নানার ঘরের বারান্দায় আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় এনামুল। তবে সুইটির কোমর মেঝেতে বসা অবস্থায় থাকে। ভোরে প্রতিবেশীরা সুইটির মেঝেতে বসা ও আড়ায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। বিষয়টিকে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করে পুলিশ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পরদিন সুইটির বাবা মো. সুবহান বাদী হয়ে থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। 

পূর্বধলা থানার ওসি মহম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, মামলার পরপরই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এনামুলকে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে এনামুল। সুইটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল এনামুলের সঙ্গে। একইসঙ্গে প্রবাসী শরিফুলের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ও বিয়ের কথাও হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এনামুল পরিকল্পিতভাবে সুইটিকে হত্যা করে। শুক্রবার বিকেলে এনামুলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত