ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
দিনের আলো ফুরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। আকাশে বিজলি চমকাচ্ছে। এই বুঝি নামবে বৃষ্টি। এমন সময় হঠাৎ চোখ পড়ে এক যুবকের দিকে। মহাসড়ক ঘেঁষে নালা থেকে কিছু একটা তুলছিলেন তিনি। কৌতূহলবশত কাছে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবক নালার ভেতর থেকে পরিত্যক্ত নষ্ট সিরিজ, স্যালাইনের নলসহ প্লাস্টিকের জিনিস কুড়াচ্ছেন। এক দিন পর ফের দেখা মেলে ওই যুবকের। সেদিনও রাস্তার পাশে ভাগাড়ে খুঁজছিলেন তাঁর জীবিকার রসদ।
সম্প্রতি এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায়। ওই যুবকের নাম মিজান। তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। আলাপকালে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি পাশের নান্দাইল উপজেলার আছারগাঁও গ্রামে। সংসারে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রীসহ ১২ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঈশ্বরগঞ্জের একটি বেকারিতে কাজ করছেন। প্রথমে ৩ হাজার টাকা মাসিক বেতন ছিল। তা বেড়ে এখন সাড়ে ৭ হাজার হয়েছে।
বর্তমান সময়ে এই টাকায় টেনেটুনেও চলে না তাঁর সংসার। এ কারণে অভাবের তাড়নায় বেকারির কাজ শেষে বিকেল হতেই প্লাস্টিকের একটি বস্তা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পৌর এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে। সংগ্রহ করেন বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত জিনিস। পরে সেগুলো বিক্রি করেন ভাঙারির দোকানে। এতে যে টাকা হয়, তা দিয়ে কিছুটা হলেও সংসারের খরচ জোগাতে পারছেন বলে জানান মিজান।
আক্ষেপের স্বরে মিজান বলেন, ‘ঘরে বৃদ্ধ বাপ-মা, বউসহ একটা মাইয়া আছে। মাইয়াডার বয়স ১২ বছর অইব। মাইয়াডা বড় হইতাছে, বিয়াশাদি দেওয়ন লাগব। যা কামাই তা-ই খরচ। এক টেহাও ক্যাশ-পুঁজি (সঞ্চয়) নাই। আর থাকবই কেমনে? বন্দেদিয়া (ফসলি জমি) নাই এক তোলা সম্পদ। চাউল, ডাইল, তেলসহ সবই তো কিনা। বেকারিত কাম কইরা মাসে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টেহা পাই। বর্তমান বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, সংসারই তো চলে না, আবার ক্যাশ-পুঁজি!’
মিজান জানান, বেকারিতে কাজ শেষে বাকি সময় তিনি প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত জিনিস টোকান। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজির মতো টোকানো যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা ধরে ভাঙারিতে বিক্রি করে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হয় তাঁর। বেকারিতে পাওয়া মাসিক সাড়ে ৭ হাজার আর এদিক দিয়ে যা হয়, সব মিলিয়ে কোনো মতে চলছে তাঁর সংসার।
পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের ডাস্টবিনসহ বেশ কিছু জায়গায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় রয়েছে। যেখানে বাসা-বাড়ির পরিত্যক্ত ময়লা-আবর্জনাগুলো ফেলা হয়। ময়লার সেই ডাস্টবিন ও ভাগাড়ে একদিকে পৌর শহরের কুকুরগুলোও ক্ষুধা মেটাতে খুঁজছে পচা-গলা খাবার। অন্যদিকে মিজানের মতো অনেকেই খুঁজে বেড়ান তাঁদের জীবিকার রসদ।
দিনের আলো ফুরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। আকাশে বিজলি চমকাচ্ছে। এই বুঝি নামবে বৃষ্টি। এমন সময় হঠাৎ চোখ পড়ে এক যুবকের দিকে। মহাসড়ক ঘেঁষে নালা থেকে কিছু একটা তুলছিলেন তিনি। কৌতূহলবশত কাছে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবক নালার ভেতর থেকে পরিত্যক্ত নষ্ট সিরিজ, স্যালাইনের নলসহ প্লাস্টিকের জিনিস কুড়াচ্ছেন। এক দিন পর ফের দেখা মেলে ওই যুবকের। সেদিনও রাস্তার পাশে ভাগাড়ে খুঁজছিলেন তাঁর জীবিকার রসদ।
সম্প্রতি এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায়। ওই যুবকের নাম মিজান। তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। আলাপকালে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি পাশের নান্দাইল উপজেলার আছারগাঁও গ্রামে। সংসারে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রীসহ ১২ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঈশ্বরগঞ্জের একটি বেকারিতে কাজ করছেন। প্রথমে ৩ হাজার টাকা মাসিক বেতন ছিল। তা বেড়ে এখন সাড়ে ৭ হাজার হয়েছে।
বর্তমান সময়ে এই টাকায় টেনেটুনেও চলে না তাঁর সংসার। এ কারণে অভাবের তাড়নায় বেকারির কাজ শেষে বিকেল হতেই প্লাস্টিকের একটি বস্তা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পৌর এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে। সংগ্রহ করেন বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত জিনিস। পরে সেগুলো বিক্রি করেন ভাঙারির দোকানে। এতে যে টাকা হয়, তা দিয়ে কিছুটা হলেও সংসারের খরচ জোগাতে পারছেন বলে জানান মিজান।
আক্ষেপের স্বরে মিজান বলেন, ‘ঘরে বৃদ্ধ বাপ-মা, বউসহ একটা মাইয়া আছে। মাইয়াডার বয়স ১২ বছর অইব। মাইয়াডা বড় হইতাছে, বিয়াশাদি দেওয়ন লাগব। যা কামাই তা-ই খরচ। এক টেহাও ক্যাশ-পুঁজি (সঞ্চয়) নাই। আর থাকবই কেমনে? বন্দেদিয়া (ফসলি জমি) নাই এক তোলা সম্পদ। চাউল, ডাইল, তেলসহ সবই তো কিনা। বেকারিত কাম কইরা মাসে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টেহা পাই। বর্তমান বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, সংসারই তো চলে না, আবার ক্যাশ-পুঁজি!’
মিজান জানান, বেকারিতে কাজ শেষে বাকি সময় তিনি প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত জিনিস টোকান। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজির মতো টোকানো যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা ধরে ভাঙারিতে বিক্রি করে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হয় তাঁর। বেকারিতে পাওয়া মাসিক সাড়ে ৭ হাজার আর এদিক দিয়ে যা হয়, সব মিলিয়ে কোনো মতে চলছে তাঁর সংসার।
পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের ডাস্টবিনসহ বেশ কিছু জায়গায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় রয়েছে। যেখানে বাসা-বাড়ির পরিত্যক্ত ময়লা-আবর্জনাগুলো ফেলা হয়। ময়লার সেই ডাস্টবিন ও ভাগাড়ে একদিকে পৌর শহরের কুকুরগুলোও ক্ষুধা মেটাতে খুঁজছে পচা-গলা খাবার। অন্যদিকে মিজানের মতো অনেকেই খুঁজে বেড়ান তাঁদের জীবিকার রসদ।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৪ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৫ ঘণ্টা আগে